মেহেরপুরে সবজির দাম কমলেও বেড়েছে পেঁয়াজ-রসুন

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মেহেরপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

মেহেরপুরে পেঁয়াজ, রসুন, আদা ও আলুর দাম বেড়েছে কেজিতে ১০-২০ টাকা পর্যন্ত। তবে দাম কমেছে সব ধরনের সবজির। ঈদের সময় সবজির দাম আরও কমার কথা জানালেন ব্যবসায়ীরা।

রোববার (৭ এপ্রিল) মেহেরপুর তহ বাজার ও গাংনী কাঁচা বাজার জেলার সবচেয়ে বড় পাইকারি সবজির বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ পাইকারিতে ১০ টাকা বেড়ে ৫৪ টাকা, রসুন ২০ টাকা বেড়ে ১৬৩ টাকা এবং আদা ৩০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা পর্যন্ত।

বিজ্ঞাপন

পাইকারিতে দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে খুচরা বাজারের দাম। হাটবাজারগুলোতে খুচরা পর্যায়ে এসব মশলা পণ্য কেজিতে আরও ২০-৫০ টাকা পর্যন্ত বেশি দাম বেড়েছে।

গাংনী কাঁচা বাজারের আড়তদার সাহাদুল ইসলাম বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হওয়ায় পেঁয়াজের দাম কমেছে। তবে স্থানীয় পেঁয়াজ সংরক্ষণ শুরু হওয়ায় দাম বেড়েছে। বিশেষ করে ফরিদপুর ও পাবনা অঞ্চলে মৌসুম ভিত্তিক পেঁয়াজ সংরক্ষণের কাজ শুরু হয়েছে। অন্যদিকে ঈদের সময়ে পেঁয়াজ, রসুন ও আদার চাহিদা বৃদ্ধি পায়। এ কারণেও দাম বৃদ্ধি হতে পারে বলে মনে করছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

এদিকে আশঙ্কাজনকহারে সব ধরনের সবজির দাম কমেছে মেহেরপুরে।  গত এক সপ্তাহের মতই আজও লাউ, কুমড়া, পটল, ঢেঁড়স, বেগুন ও পুঁইশাকের দাম রয়েছে ১০ টাকার নিচে। ঈদে মাংসের প্রচলন থাকায় আগামী এক সপ্তাহ সবজির দাম আরও পড়বে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।


রোজায় এবার সবচেয়ে বেশি আলোচিত ছিল শসার দাম। রোজার মাঝের সময়টাতেও শসার বাজারে ব্যাপক অস্থিরতা ছিল। ১০০-১২০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছিল। সেই শসার কেজি মাত্র ১১ টাকা। খুচরা পর্যায়ে গিয়ে ১৫-২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

পাইকারি বাজারে সবজি কিনতে আসা সবজি ব্যবসায়ী আলতাফ হোসেন জানান, গত সপ্তাহে কেজি পটলের দর ছিল ৬০ টাকা। এখন দর পতনের মধ্য দিয়ে তা বিক্রি হচ্ছে মাত্র ২৫ টাকা। তাছাড়া ঢেঁড়সের দাম অর্ধেকে নেমে বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজি। অন্যদিকে আগের মতই কম দামে পাওয়া যাচ্ছে লাউ, পুঁইশাক ও বেগুন।

ব্যবসায়ী মোশাররফ হোসেন জানান, রমজান মাস এবং ঈদের কয়েকদিন পর পর্যন্ত সবজির চাহিদা স্বাভাবিকভাবেই কম থাকে। তবে এবার এ সময়টাতে স্থানীয় সবজির ব্যাপক জোগান থাকায় অনেকটাই পানির দামে বিক্রি হচ্ছে শীতকালীন এসব সবজি। ঈদের পরে ভোক্তা পর্যায়ে সবজির চাহিদা বৃদ্ধির সাথে উৎপাদন কমে আসবে। এতে আবারও সবজির দর আকাশচুম্বি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।