ঈদযাত্রার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শনে সায়দাবাদ টার্মিনালে আইজিপি
আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এরই মধ্যে শুরু হয়েছে ‘নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা’ ঘরমুখো মানুষের ঢল। ঈদযাত্রায় ঘরমুখো মানুষের নিরাপত্তা ও ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনা পরিদর্শনে সায়দাবাদ বাস টার্মিনালে গিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
রোববার (৭ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৩টার পর সায়দাবাদ বাস টার্মিনালে পরিদর্শনে আসেন তিনি।
এ সময় আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দূরপাল্লার যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বা কোনো ধরনের ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন কিনা এসব বিষয়ে জানতে চান। এছাড়াও পরিবহন শ্রমিকদের কাছে ঈদ যাত্রার বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন তিনি।
জানা গেছে, সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে দুপুর ৪টা নাগাদ সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এবং সাড়ে ৪টা নাগাদ কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শন করবেন তিনি।
এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন- ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন) হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত কমিশনার (ট্র্যাফিক) মুনিবুর রহমান, যুগ্ম কমিশনার (অপারেশন) বিপ্লব কুমার সরকার ও মেহেদী হাসান (ট্র্যাফিক, দক্ষিণ)।
এদিকে ঈদ উপলক্ষে ১৩টি নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
নির্দেশনাগুলো হলো-গ্যাস সিলিন্ডার অথবা গ্যাসের লাইন, পানির লাইন, সব ধরনের লাইট, ফ্যানের সুইচ, বৈদ্যুতিক প্লাগ বন্ধ করে বের হতে হবে।
বাসাবাড়িতে অগ্নিদুর্ঘটনা রোধে ছুটি শেষে বাড়ি থেকে ফিরে এসে দরজা-জানালা খুলে ঘরে জমে থাকা গ্যাস বের না হওয়া পর্যন্ত কোনো অবস্থাতেই গ্যাসের চুলা জ্বালানো কিংবা বৈদ্যুতিক সুইচ অন করা যাবে না।
বাসাবাড়িতে সিসি ক্যামেরা বসাতে হবে। আগে বসানো সিসি ক্যামেরা সচল আছে কিনা পরীক্ষা করতে হবে।
বাসার চারপাশে বৈদ্যুতিক আলোর ব্যবস্থা রাখতে হবে।
নগদ টাকা কিংবা স্বর্ণালংকার ব্যাংক কিংবা নিকটাত্মীয়দের কাছে নিরাপদে রাখতে হবে।
রাতে কিংবা দিনে একসঙ্গে মুখে মাস্ক এবং মাথায় ক্যাপ পরিহিত অপরিচিত সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের গতিবিধি নজরদারি করতে হবে।
প্রয়োজনে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিতে হবে।