পটুয়াখালীতে কালবৈশাখি ঝড়: নিহত ২, নিখোঁজ ২

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পটুয়াখালী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় কালবৈশাখি ঝড়ে দুজন নিহত হয়েছেন। এসময় মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন আরও দুজন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন ।

রোববার (০৭ এপ্রিল) সকালের দিকে উপজেলায় ৫০-৬০ কিলোমিটার বেগে ধমকা হাওয়াসহ ঝড় ও বজ্রসহ ঝড়বৃষ্টি আঘাত হানে।

বিজ্ঞাপন

এসময় উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নে রাতুল শিকদার (১৩) বজ্রপাতের শিকার হয়ে মৃত্যু হয়। ঘূর্ণিঝড় শেষে রাতুলকে রাস্তায় মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। বজ্রপাতের শব্দে হার্ট অ্যাটাক করে মারা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। রাতুল নাজিরপুর ইউনিয়নের রায় তাঁতের কাঠি গ্রামের জহির সিকদারের ছেলে।

এছাড়াও উপজেলার দাশপাড়া ইউনিয়নে সুফিয়া বেগম (৮০) নামে এক বৃদ্ধা গাছের চাপায় মারা যায়। তিনি মারা দাশপাড়া ইউনিয়ন এর চরআলগী গ্রামের মৃত আহম্মেদ প্যাদার স্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

এদিকে তেতুলিয়া নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে ঝড়ের তোপে পরে চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের মন্নান ফরাজি ছেলে ইব্রাহিম ফরাজি (৪৩) ও মনু রাঢ়ীর ছেলে ইসমাইল রাঢ়ি নিখোঁজ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাউফল থানার ওসি।

কালবৈশাখি ঝড়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় শতাধিক আধাপাকা বাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এসময় গাছ পড়াসহ ঘরের গ্লাস ভেঙে অন্তত দশ জন আহত হওয়ার খবর গেছে।

এব্যাপারে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মারজান বলেন, রাতুলকে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই সে মারা গেছে। তবে তার শরীরে বজ্রপাতে ঝলসানোর কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে বজ্রপাতের শব্দে হার্ট অ্যাটাক করে মারা যেতে পারে।

বাউফল থানার ওসি শোণিত কুমার গাইন হতাহতের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তেতুলিয়া নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে দুজন জেলে নিখোঁজ হয়েছেন। নিখোঁজদের উদ্ধার ও অনুসন্ধানে কাজ চলছে।

এবিষয়ে বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বশির গাজী বলেন, কালবৈশাখি ঝড়ে আমার উপজেলায় দুজন নিহত হয়েছে। এছাড়াও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য কৃষি বিভাগ ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।