কোথায় ঈদের নামাজ পড়বেন, জানেন না শহিদুল

  • মবিনুল ইসলাম, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কোথায় ঈদের নামাজ পড়বেন, জানেন না শহিদুল

কোথায় ঈদের নামাজ পড়বেন, জানেন না শহিদুল

রাজধানীর নর্থসাউথ রোডে বংশাল এলাকায় একটি ব্যাংকের এটিএম বুথের নিরাপত্তাকর্মী শহিদুল। তার গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার ধরণীবাড়ি ইউনিয়নের রুপারখামার গ্রামে।

তিনি ১২ বছর ধরে চাকুরি করেন একটি সিকিউরিটি কোম্পানিতে নিরাপত্তাকর্মী হিসাবে। তিন ছেলে বিয়ে করে আলাদা থাকেন। নিজে স্ত্রী নিয়ে ঢাকার সূত্রাপুরের বানিয়ানগরে থাকেন। রোববার বার্তা২৪.কমের সাথে কথা হয় তার।

বিজ্ঞাপন

আক্ষেপের সুরে তিনি বলেন, গার্ডের আবার ঈদ। ঈদের দিন কোথায় ডিউটি পড়বে তা-ই জানি না। তাই ঈদের নামাজ কোথায় পড়তে পারবো তা-ও বলতে পারবো না। যেখানে ডিউটি পড়বে সেখান থেকে মসজিদ-ঈদগাহ দুরে হলে বুথ অরক্ষিত থেকে নামাজ পড়তে যাওয়াও সম্ভব হবে না।

তিনি বলেন, আমাদের কোনো সাপ্তাহিক ছুটি নাই, মাসিক কিংবা বাৎসরিক ছুটি নাই। কোনো অসুখ বিসুখ হতে নেই। বছরে ৩৬৫ দিনই ডিউটি। অসুখে পড়ে একদিন ডিউটিতে না আসলে ওইদিন বেতন নাই। মোটকথা কাজ করলে ভাত, না করলে ভাত নাই।

বিজ্ঞাপন

তবে বোনাসটা সময়মতো পেয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ঈদের আগে বেতনটা হলে ঈদটা একটু ভাল কাটবে।

পাশেই আরেকটি ব্যাংকে নিরাপত্তাকর্মী হিসাবে কাজ যিনি কাজ করছেন তার নামও শহিদুল। একই কোম্পানীতে কাজ করেন। এ শহিদুলের বাড়ি রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলায়।

তিনি বার্তা২৪.কম-কে জানান, শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা মাথায় নিয়ে রাতদিন সারাদেশের এটিএম বুথে আমরা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করি। অথচ পরিবার পরিজন নিয়ে আমরা নিজেরাই মানবেতর জীবন যাপন করি। আমাদের সবদিনই একই রকম।

নর্থসাউথ রোডের আরেকটি এটিএম বুথের নিরাপত্তাকর্মী শাহীন ও দধিনাথ। শাহিনের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলায়। আর দধিনাথের বাড়ি দিনাজপুরের বীরগঞ্জ। তারা অন্য এক সিকিউরিটি কোম্পানিতে কাজ করেন।

শাহীন জানান, আমাদের বুথে দুইজন করে নিরাপত্তাকর্মী থাকায় ঈদের নামাজ পড়তে অসুবিধা হয় না। তাছাড়া তাদের বেতন বোনাসও নিয়মিত হয়। তবে বেশীরভাগ সিকিউরিটি সার্ভিস কোম্পানীর অবস্থা খারাপ বলে তিনি শুনেছেন।