ঢাবিতে টেকসই উন্নয়নে নারীর অংশগ্রহণ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার এন্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ-এর উদ্যোগে 'Women's Digital Transformation: A Gateway to Sustainable Development' শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (৫ মে) ঢাবির নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শামসুন নাহার হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসিফ হোসেন খান এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার এন্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. তানিয়া হক আলোচনায় অংশ নেন।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বাংলাদেশে নারীরা তথ্য-প্রযুক্তিতে দক্ষতা অর্জন করে নিজেদেরকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করছেন এবং দেশ-বিদেশের প্রযুক্তি নির্ভর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নানামুখী কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ করে ফ্রিল্যান্সিং-এ নারী সমাজের ব্যাপক কর্মসংস্থান হয়েছে। এর ফলে নারীরা গৃহকর্মের পাশাপাশি ঘরে বসেই অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হয়েছেন।
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে তিনি নারী সমাজের প্রতি আহ্বান জানান।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল তথ্য-প্রযুক্তি খাতের প্রসার ও উন্নয়ন এবং এতে নারীর অধিকহারে অংশগ্রহণের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, শিক্ষাজীবন শেষে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশে নারীরা পুরুষের সাথে সমানতালে এগিয়ে যাচ্ছেন। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার এন্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের মাধ্যমে নারী শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান এবং ডিজিটাল প্লাটফর্ম-নির্ভর কর্মে তাদেরকে ব্যাপকভাবে সম্পৃক্ত করার কার্যকরী উদ্যোগ নেয়া হবে বলে উপাচার্য উল্লেখ করেন।
উপাচার্য আরও বলেন, ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহারে নারী-পুরুষ উভয়কেই সচেতন ও আগ্রহী করে তুলতে হবে। তথ্য-প্রযুক্তি, শিক্ষা, শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সকল ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে এবং নারীদের জন্য যথাযথ কর্ম-পরিবেশ নিশ্চিত করতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান।