টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ে বেড়েছে জলবিদ্যুতের উৎপাদন

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাঙামাটি
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধিতে বেড়েছে জলবিদ্যুতের উৎপাদন

কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধিতে বেড়েছে জলবিদ্যুতের উৎপাদন

কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ের জনজীবনে স্থবিরতা নেমে আসলেও কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধির ফলে দেশের একমাত্র পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রে বেড়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদন।

শনিবার (৩ আগস্ট) সকাল থেকে কাপ্তাই জল বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিটের মাধ্যমে ২০৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে বলে প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এ টি এম আব্দুজ্জাহের।

বিজ্ঞাপন

মুঠোফোনের মাধ্যমে তিনি জানান, কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতের ফলে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জল বিদ্যুৎকেন্দ্রের সবগুলো ইউনিট সচল রেখে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে।

তিনি জানান, বর্তমানে কাপ্তাই হ্রদে রুলকার্ভ অনুসারে পানি রয়েছে ৯৪.০৮ ফুট মিন সি লেভেল। বৃষ্টিপাত ছাড়া স্বাভাবিকভাবে এই সময়ে পানি থাকার কথা ৮৯.০৬ এম.এস.এল।

বিজ্ঞাপন

এই বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কাপ্তাই বাঁধের স্পিলওয়েগুলো খুলে দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে ৩২ থেকে ৩৫ হাজার কিউসেক পানি কাপ্তাই হ্রদ থেকে কর্ণফূলী নদীতে ছাড়া হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ষাটের দশকে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে তোলার লক্ষ্যে খরস্রোতা কর্ণফুলী নদীতে বাঁধ দেয়ার কারণে গড়ে ওঠে বিস্তীর্ণ কৃত্রিম কাপ্তাই হ্রদ। পরবর্তী সময়ে ১৯৬২ সালে রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী নদীতে বাঁধ দেয়া অংশে চালু করা হয়েছে দেশের একমাত্র জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্র। শুরুর দিকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির উৎপাদন সক্ষমতা ছিল ৮০ মেগাওয়াট।

পরবর্তী সময়ের দুই ধাপে স্থাপনাটির বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধি করে মোট ২৩০ মেগাওয়াটে উন্নীত করা হয়েছে। এ উৎপাদনের পুরোটাই যোগ হচ্ছে জাতীয় গ্রিডে। কাপ্তাই বাঁধের মধ্যে ১২ দশমিক ২ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১১ দশমিক ৩ মিটার প্রস্থের ১৬টি স্পিলওয়ে বা জলকপাট রয়েছে। এই ১৬টি জলকপাট দিয়ে একত্রে প্রতি সেকেন্ডে ৫ লাখ ২৫ হাজার কিউসেক পানি নির্গমন করতে পারে।