যমুনা নদীর ডানতীর রক্ষা প্রকল্পে চাঁদাবাজির অভিযোগে কাজ বন্ধ

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করছেন চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন সুইট

ছবি: সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করছেন চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন সুইট

গাইবান্ধায় যমুনা নদীর ডানতীরের ভাঙন রক্ষা প্রকল্পে চাঁদাবাজির অভিযোগে বন্ধ রয়েছে কাজ। স্থানীয় আ.লীগের একাংশের একদল চাঁদাবাজ প্রকল্পের ওই কাজে ১০ লাখ টাকা অথবা কাজের অর্ধেক ছেড়ে দেওয়ার দাবি করে । ফলে চলমান এ প্রকল্পটির কাজ বন্ধ হয়ে যায়।

শনিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে সাঘাটা উপজেলার সাঘাটা ইউনিয়নের ভরতখালীহাট এলাকার নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের কাছে এসব অভিযোগ করেন সাঘাটা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন সুইট।

বিজ্ঞাপন

এসময় লিখিত বক্তব্যে চেয়ারম্যান উল্লেখ করেন, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদী বেষ্টিত গাইবান্ধার চার উপজেলা ভাঙন প্রবণ হওয়ায় সরকার যমুনা নদীর ডানতীরের ভাঙন হতে ফুলছড়ি উপজেলার কাতলামারী এবং সাঘাটা উপজেলার গোবিন্দী, হলদিয়া ও মুন্সিরহাট এলাকা রক্ষা প্রকল্প গ্রহণ করে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজটির দায়িত্ব পান ঢাকার হাসান ব্রাদার্স ও বিজে কনস্ট্রাকশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান। দায়িত্ব পেয়ে প্রকল্পটির কাজও শুরু করেন তারা। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কাজটি সুষ্ঠুভাবে তদারকি ও দেখভালের জন্য স্থানীয় প্রতিনিধি হিসেবে ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন সুইটকে দায়িত্ব দেয়া হয়। সে অনুযায়ী কাজটির তদারকি করতে থাকেন চেয়ারম্যানের ছোট ভাই সুজা ও চেয়ারম্যানের লোকজন। সুষ্ঠভাবে এগিয়ে চলে প্রকল্পের কাজ।

কিন্তু ৫ আগস্ট আ.লীগ সরকারের পতনের পর গত ২০ আগস্ট এলাকার আ.লীগেরই একাংশের আলমগীর হোসেন, আলতামাস আহম্মেদ সোহাগ, আনোয়ার হোসেন, গোলাম হোসেন, বেকো, বিপুলসহ চিহ্নিত চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের একটি গ্রুপ মুন্সিরহাট প্রকল্প এলাকায় এসে শ্রমিকদের কাজ বন্ধ করে দেয়। এ সময় তারা ১০ লাখ টাকা চাঁদা অথবা কাজের অর্ধেক ছেড়ে দেওয়ার দাবি করে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেয়।

বিজ্ঞাপন

চাঁদাবাজির বিষয় নিয়ে চেয়ারম্যান সুইট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পরামর্শে মামলা করার প্রস্তুতি নিলে সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে তার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে অপপ্রচারে লিপ্ত হয় বলেও সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়।

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চাঁদাবাজরা আ.লীগেরই একাংশ। তারা মরহুম ফজলে রাব্বী তথা ফুলছড়ি উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারজানা রাব্বী বুবলীর লোকজন। বিগত সময়ে তারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে গিয়ে, তার (চেয়ারম্যানের) জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে এসব অপপ্রচার ও হুমকি-ধামকি দিচ্ছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন সুইট।

সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান প্রকল্পের কাজ সুষ্ঠুভাবে শেষ করতে প্রশাসনের কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের পাশাপাশি সন্ত্রাসী চাঁদাবাজদের বিচার আওতায় আনার দাবি জানান।