‘ছাত্র-জনতা ৩৬ দিনেই গণবিপ্লব ঘটিয়েছে’

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মানিকগঞ্জ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছাত্র-জনতা ৩৬ দিনেই গণবিপ্লব ঘটিয়েছে

ছাত্র-জনতা ৩৬ দিনেই গণবিপ্লব ঘটিয়েছে

বাংলাদেশ জামায়েতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্লাহ বলেছেন, আমরা গত ১৫ বছর বিগত সরকারের শাসনামলে নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছি। বিএনপি জামায়াতসহ অন্যান্য দল মিলে আন্দোলন করেছিলাম, কিন্তু আমরা পারিনি। ছাত্র-জনতা মিলে ৩৬ দিনেই গণবিপ্লব ঘটিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে সকালে জেলার সাটুরিয়া উপজেলার দরগ্রাম ইউনিয়ন ও দুপুরে শিবালয় উপজেলার রুপসা এলাকায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ আফিকুল ইসলাম সাদ এবং রফিকুল ইসলামের কবর জিয়ারত শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, বিগত সরকার বিদেশ থেকে ১৮ লাখ ৩৬ হাজার ঋণ করে উন্নয়নের নামে বড় বড় প্রকল্প হাতে নিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছে। ব্যাংক গুলোকে ফোকলা করে দিয়েছে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা চরম ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে নিয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের নেতারা এ দেশ থেকে দুর্নীতি করে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে।

কেন্দ্রীয় জামায়াতে ইসলামীর এই নেতা আরও বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতিতে ১৮ কোটি জনতা তাদের জীবন পরিচালনা করতে নাভিশ্বাস ছুড়েছেন। অর্থনৈতিক খাতে চরম দুর্নীতিতে ভরে গেছে। বিগত সরকারের কারফিউ ভেঙে দেশের ছাত্র-জনাতা রাজপথে নেমে এসে এক ঐতিহাসিক বিপ্লব ঘটিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা উত্তর অঞ্চলের কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা দেলওয়ার হোসাইন, জেলা আমীর হাফেজ মাওলানা কামরুল ইসলাম, সাটুরিয়া উপজেলার আমীর আবু সাঈদ (বিএসসি),শিবালয় উপজেলা আমীর হাফেজ মোঃ হাতেম আলীসহ আরো অনেকে।

উল্লেখ্য, সোমবার (৫ আগস্ট) দুপুরের দিকে ঢাকা জেলার ধামরাইয়ে হার্ডিঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সামনে মিছিল করা অবস্থায় পুলিশের গুলিতে আহত হন সাদ। পরে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় (৮ আগস্ট) মারা যায় সাদ।

অপরদিকে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার পাটুরিয়া ঘাটে বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা মিছিল নিয়ে যাওয়ার পথে নৌ-পুলিশের অতর্কিত গুলি বর্ষণ করে এবং সেই গুলিতে রফিকুল ইসলাম গুরুতর আহত হয়। রফিকুল ইসলামকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী তাদের নিজ দলের ফান্ড থেকে দুই শহীদ পরিবারকে দুই লাখ করে মোট চার লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা নগদ প্রদান করেন।