পচা সুপারি পরিষ্কারে ব্যবহার হচ্ছে ক্ষতিকর সালফার

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

সারাদেশ থেকে নষ্ট-পচা সুপারি সংগ্রহ করে জমানো হতো গোডাউনে। তারপর খাওয়ার অনুপযোগী সুপারিগুলোকে রাসায়নিক পদার্থ সালফারের মাধ্যমে করা হতো সাদা। সেই সুপারিগুলো পরে বাজারজাত করা হতো। চট্টগ্রাম নগরী চাক্তাইয়ে অভিযান চালিয়ে এমন একটা গোডাউনের সন্ধান পেয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। মানুষকে খাওয়ার অনুপযোগী ক্যামিকেল খাইয়ে প্রতারণার অভিযোগে ‘মেসার্স সালাম স্টোর’ নামের ওই প্রতিষ্ঠানকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

বিজ্ঞাপন

অভিযানে ছিলেন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার, মো. আনিছুর রহমান ও রানা দেব নাথ। একই বাজারে মিস্টিফুল নামের একটি ব্যাকারির দোকানেও অভিযান চালান ভোক্তা অধিকারের কর্মকর্তারা। সেখানে অপরিচ্ছন্নতা, পণ্যের মূল্য-মেয়াদ না লেখায় প্রতিষ্ঠানটিকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা প্রতিষ্ঠানটিতে অভিযান পরিচালনা করি। কিন্তু শুরুতে প্রতিষ্ঠানটির মালিকপক্ষ আমাদের অসহযোগিতা করে। কোনো গোডাউন নেই দাবি করে। তবে আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট থাকায় গোডাউন খুঁজে বের করি। তখন তাঁরা স্বীকার করেন এটা তাঁদেরই গোডাউন। সেই গোডাউনে আমরা পচা-নষ্ট সুপারির বস্তাসহ সালফার নামের রাসায়নিক পদার্থের সন্ধান পাই। সেই সালফারের সাহার্য্যে পচা-নষ্ট সুপারিগুলোকে সাদা করে বাজারজাত করে আসছিল প্রতিষ্ঠানটি।’

বিজ্ঞাপন

নাসরিন আক্তার বলেন, ‘আমরা সালফারের বিষয়ে খাদ্য কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি জানিয়েছেন, এই রাসায়নিক পদার্থ কোনোভাবেই খাওয়ার উপযোগী না, খাবারের মধ্যে এটি ব্যবহারও করা যাবে না।’

তবে গোডাউনের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, তাঁরা না জেনেই সালফার ব্যবহার করে আসছিলেন। ভবিষ্যতে এমনটা আর হবে না।