জেদ মানতে না পারায় জোসনাকে হত্যা করে স্বামী

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

জোসনা আক্তার। ছবি: সংগৃহীত

জোসনা আক্তার। ছবি: সংগৃহীত

লালমনিরহাটের আদিতমারীর তিস্তার চরে জোসনা আক্তার (১৮) নামে এক তরুণীর মেহেদী রাঙানো হাত বাঁধা অবস্থায় গত রোববার মরদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী জাহিদুল ইসলামকে (২০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার স্বামী জাহিদুল তাকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে ডিমলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবাশীষ রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

জোসনা নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের জহর আলীর মেয়ে। সম্প্রতি একই উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের পূর্বপাড়া গ্রামের বাসিন্দা জাহিদের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। জাহিদ দিনাজপুর শহরে ভেকু গাড়ী চালান বলে জানা গেছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বিয়ের পরপরই জোসনা স্বামীর কাছে তাকে ঢাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য জেদ ধরেন। জোসনা জাহিদকে জানান, তিনি জাহিদের সঙ্গে ঢাকায় থাকতে চান। ঢাকায় না নেওয়া হলে আত্মহত্যা করবেন বলেও হুমকি দেন জোসনা।

এ কথা শুনে জোসনাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন জাহিদ। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত শুক্রবার বিকেলে জাহিদ ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে জোসনাকে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার মহিপুরে শেখ হাসিনা সেতুতে বেড়তে নিয়ে যান। ওই সেতু থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে জোসনাকে হত্যা করেন জাহিদ।

জোসনা নিখোঁজের দুই দিন পর জাহিদ সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে থানায় আসেন। পরে উদ্ধার হওয়া মরদেহের ছবি দেখে তার স্ত্রী জোসনার বলে নিশ্চিত করেন এবং স্ত্রী নিখোঁজের সময় দিনাজপুরে ছিলেন বলে জানান জাহিদ।

ওসি আরও বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় জাহিদের অবস্থান নির্ণয় করি। এরপর তাকে আরও ব্যাপকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করার একপর্যায়ে তিনি স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। এরপর জাহিদকে ঘটনাস্থলে নেওয়া হয়। তখন জাহিদ নিজেই হত্যার ঘটনার বর্ণনা দেন।