জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল ভোলার মহিষের দুধের কাঁচা দই

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ভোলার মহিষের দুধের কাঁচা দই। ছবি: সংগৃহীত

ভোলার মহিষের দুধের কাঁচা দই। ছবি: সংগৃহীত

জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিফিকেশন (জিআই) বা ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে ভোলার মহিষের দুধের কাঁচা দই। জিআই-৫৫ নম্বরে এটি তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। মহিষের দুধের কাঁচা দই ভোলার দুই শ বছরের ঐতিহ্যবাহী খাবার, যা স্থানীয়ভাবে ‘মইষা দই’ নামে পরিচিত।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর ভোলার মহিষের দুধের কাঁচা দধিকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। একই দিনে এর সঙ্গে আরো দুটি পণ্য জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। অন্য দুটি পণ্য হলো মধুপুরের আনারস ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টি।

বিজ্ঞাপন

শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মুনিম হাসান জানান, ঐতিহ্যবাহী মহিষের দুধের কাঁচা দইকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির জন্য গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর ভোলার জেলা প্রশাসক পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৯ নম্বর শ্রেণিতে পণ্যটি জিআই-৫৫ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। মহিষের দুধের কাঁচা দই জিআই সনদপ্রাপ্তির মধ্য দিয়ে পণ্যটির স্বীকৃতি মিলেছে।

ভোলা জেলা সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সভাপতি মোবাশ্বির উল্লাহ চৌধুরী জানান, বিষয়টি ভোলাবাসীর জন্য আনন্দের। এ স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে ভোলায় মহিষ পালনকারী ও দই উৎপাদনকারীদের জন্য সুযোগ তৈরি হয়েছে।

ভোলার জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান জানান, ভোলার মহিষের দুধের কাঁচা দইয়ের যে স্বীকৃতি, সেটি অন্য জেলায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। মহিষের দুধের কাঁচা দই ভোলার ঐতিহ্য। এটি অন্য জেলার হতে পারে না। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসন ও স্থানীয়রা অনেক চেষ্টা করে এটি ফিরে পেয়েছে।

পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মুনিম হাসান আরও জানান, ২৪ সেপ্টেম্বর অধিদপ্তর থেকে এসংক্রান্ত তিনটি সার্টিফিকেট দেয়া হয়েছে। বাকি দুটি পণ্য হলো মধুপুরের আনারস ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টি। আরো বেশ কয়েকটি পণ্যকে স্বীকৃতি দেওয়া হলেও তারা এখনো সার্টিফিকের ফি জমা না দেওয়ায় তাদের সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়নি। সেগুলো খুব দ্রুত হয়ে যাবে।