বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত দেড় শতাধিক মানুষের পাশে পিএনআরএফআর

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লাসহ বৃহত্তর নোয়াখালী, ফেনী অঞ্চলে সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যায় ঘর-বাড়িসহ সব হারানো দেড় শতাধিক পরিবারের পুনর্বাসনের জন্য আর্থিক অনুদান দিয়েছে প্রফেসর নজরুল রিউমাটোলজি ফাউন্ডেশন এন্ড রিসার্চ ট্রাস্ট (পিএনআরএফআর)। ট্রাস্টের বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ফেনী, নোয়াখালী ও কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার একাধিক গ্রামের ১৫৬টি পরিবারের মাঝে অনুদান তুলে দেয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর এক মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দেয়া হয়।

আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৫৩টি পরিবারের পাশাপাশি ট্রাস্টের ৩ জন সদস্য, দুজন দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত রোগী ও মোহাম্মদপুরের একটি মসজিদের উন্নয়ন কাজের জন্য মোট ২০ লাখ টাকার অনুদান দেয়া হয়।

‘পিএনআরএফআর’ এর চেয়ারম্যান, বাতরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ট্রাস্টের উপদেষ্টা আন্তর্জাতিক চিকিৎসাবিজ্ঞানী অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলি, মেজর জেনারেল কাজী ইফতেখারুল আলম, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আমিনুল ইসলাম, সাবেক যুগ্ম সচিব আনোয়ারা বেগম।

অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, বন্যা পরবর্তী ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পুনর্বাসন খুব বেশি প্রয়োজন। সেই চিন্তা থেকেই এই উদ্যোগ হাতে নেয়া হয়। এই কাজে ট্রাস্টের কার্যনির্বাহী সদস্য এম এম আমিনুর রহমান সাব্বির, সাউথইস্ট ব্যাংকসহ যেসব সদস্য সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি আমাদের অশেষ কৃতজ্ঞতা। এই ট্রাস্ট সূচনালগ্ন হতেই বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত। বাত রোগীদের চিকিৎসা সহায়তার পাশাপাশি, ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, ফ্রি ওষুধ বিতরণ, বাতরোগী ছাড়াও অন্যান্য দূরারোগ্য রোগীদের জন্য এককালীন চিকিৎসা সহায়তা প্রদান, গরীব ও মেধাবী ছাত্রদের এককালীন সহায়তা ও বাৎসরিক বৃত্তি প্রদান, উত্তর বঙ্গে অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস, শীত বস্ত্র ও পঙ্গু রোগীদের হুইলচেয়ার বিতরণ, ধর্মীয় উপাসনালয় তৈরি ও মেরামতের কাজ নিয়মিত করে আসছে।

অনুষ্ঠানে আগত অতিথিরা এমন উদ্যোগের জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি আগামী দিনে এমন দুর্যোগে যাতে আরও বড় পরিসরে কার্যপক্রম পরিচালনা করা যায় সেজন্য স্থায়ী কোনো পরিকল্পনা নেয়ারও পরামর্শও দেন।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. নীরা ফেরদৌস, সেক্রেটারি জেনারেল ড. পীযুষ কান্তি বিশ্বাস, ডেপুটি সেক্রেটারি ডা. বর্ষা ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ আব্দুস সোবহান, কার্যনির্বাহী সদস্য মো. এনামুল হক, এম এফ ইসলাম মিলন, সামিউল হক, জোবায়ের আহমেদ, মো. বোরহান উদ্দিন, মো. ইউসুফ প্রমুখ।