মিঠাপুকুরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর ভাঙচুর/ছবি: বার্তা২৪.কম

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর ভাঙচুর/ছবি: বার্তা২৪.কম

রংপুরের মিঠাপুকুরে ভূমিদস্যুদের কালো থাবার প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে ২ একর ৩৮ শতাংশ সরকারি খাস জমিতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৭৮টি ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়। বার বার ভূমিদস্যুদের ছোবলে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকে ঘরের অবকাঠামো। ক্রান্তিলগ্নে যখন বসবাসের স্বপ্ন দেখছিলেন গৃহহীনরা ঠিক তখনই রাতের আঁধারে ঘরগুলোর দরজা, জানালা ভেঙে, ইট, রড চুরি করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এমনকি জমি দখল করে সীমানা নির্ধারণ করেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, মিঠাপুকুর উপজেলার ৭নং লতিবপুর ইউনিয়নের জায়গীরহাট সংলগ্ন ২ একর ৩৮ শতাংশ খাস জমিতে নির্মাণাধীন ঘর ভেঙে ফেলা হয়েছে। বেশকিছু তৈরি করা ঘরের দরজা, জানালা লুটপাট ও টয়লেটের রিংগুলো ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, আমরা মুখ খুলতে পারবো না। ভূমিদস্যু মন্টু মিয়া, চান মিয়া, রবিউল, হামিদুল, বাদশা তাদের গুন্ডা বাহিনী আমাদের উপর লেলিয়ে দিবে। আমরা এসব অন্যায় দেখেও কিছু করতে পারছিনা। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা তোজাম্মেল প্রিন্সিপালের আত্মীয়-স্বজন ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারি সম্পত্তি জোরপূর্বক ভোগ দখল করার পায়তারা করছে।

ঘটনার সত্যতা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আশ্রয়ণের ঘরগুলি নির্মাণের শুরু থেকেই উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং ঘর নির্মাণ ও তদারকির দায়িত্বে থাকা শ্রমিকরা নানাভাবে হুমকী ও বাঁধার সম্মুখীন হয়েছে। গত ০৫ আগস্ট স্বৈরাচার সরকার পতনের সুযোগে দলবল নিয়ে আবাসনের ঘরগুলো ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। এখানে যারা কাজ করছিল তাদের মারপিট করা হয়েছে। মিস্ত্রীদের কেউ কেউ আশেপাশের বাসায় লুকিয়ে প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন। এঘটনার পর উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি স্বাভাবিক করলেও তারা আবারও কয়েক দিনে সব ভেঙে লুটপাট ও চুরি করে।

অভিযুক্তসহ আশ্রয়ন প্রকল্পের বেশকয়েকজন বলেন, ভূমিদস্যুরা হুমকি দিছে এখানে যারা আসবে তাদের মাথা কুপিয়ে ফেলে দেয়া হবে।

এ বিষয়ে মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিকাশ চন্দ্র বর্মণ জানান, এলাকার অসহায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য ২ একর ৩৮ শতাংশ সরকারি খাস সম্পত্তিতে একক পাকা ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে ভূমিদস্যুরা আশ্রয়ণের ঘরের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। এমনকি ঘর ভাঙচুরসহ ৪০ থেকে ৪৫ লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। ঊদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। সরকারি কাজে বাঁধা ও সরকারি সম্পত্তি বিনষ্ট কারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।