ঘুরে দেখতে পারেন চট্টগ্রামের যে ১৮৩ দর্শনীয় স্থান

  • তাসনীম হাসান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

সাগর থেকে পাহাড়। লেক থেকে ঝর্ণা। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে অবস্থান চট্টগ্রাম বিভাগকে যেন দুহাত ভরেই দিয়েছে প্রকৃতি। ৩৩ হাজার ৯০৮ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই বিভাগের ১১টি জেলায় বাস প্রায় ৩ কোটি মানুষের। ঐতিহ্যে ভরপুর এই বিভাগে পর্যটকরা ১৮৩টি দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখতে পারেন।

বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের ‘চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের’ উদ্যোগে কয়েক বছর আগে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ পর্যটন আকর্ষণ, চট্টগ্রাম বিভাগ’ শীর্ষক প্রবন্ধে এসব জায়গার সচিত্র বর্ণনা দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

প্রবন্ধটি অনুসারে বিভাগের কুমিল্লা জেলায় ২২টি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ১২টি, চাঁদপুর জেলায় ১০টি, নোয়াখালী জেলায় ৬টি, লক্ষ্মীপুর জেলায় ৮টি, ফেনী জেলায় ৮টি, চট্টগ্রাম জেলায় ৩৬টি, কক্সবাজার জেলায় ২৬টি, খাগড়াছড়ি জেলায় ১০টি, রাঙামাটি জেলায় ২২টি এবং বান্দরবান জেলায় ২৩টি পর্যটন স্পট রয়েছে। অবশ্য গত কয়েকবছরে নতুন করে আরও কিছু পর্যটন স্পট যুক্ত হয়েছে, আবার কিছু কিছু পর্যটন স্পট জায়গা নিয়েছে অতীতের পাতায়।

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সারাবিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে পর্যটন দিবস। এই দিবসে চট্টগ্রাম বিভাগের এসব পর্যটন স্পটের নামগুলো জেনে নেওয়া যাক আরেকবার।

শালবন বিহার/ছবি: বার্তা২৪.কম

কুমিল্লা: এই জেলার অন্যতম প্রসিদ্ধ স্থানগুলোর মধ্যে ময়নামতি লালমাই পাহাড়, শালবন বিহার, রূপবান মুড়া, ইটাখোলা মুড়া, ভোজ বিহার, কোটিলা মুড়া, চারপত্র মুড়া, আনন্দ রাজার বাড়ি, রানী ময়নামতি প্রাসাদ, ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি, গুনাইঘর বায়তুল আজগর জামে মসজিদ, শাহ সুজা মসজিদ, নূর মানিকচর জামে মসজিদ, ময়নামতি জাদুঘর, বার্ড, কবিতীর্থ দৌলতপুর, নবাব ফয়জুন্নেসার বাড়ি, জমিদার অতুল কৃঞ্চ রায়ের বাড়ি, জগন্নাথ মন্দির, ধর্মসাগর দিঘি, উটখাড়া মাজার ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ। এসব জায়গা দেখতে গিয়ে আপনি চাইলে কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী খাদি বস্ত্র, মৃৎশিল্প আর রসমালাই নিয়েও ফিরতে পারেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ১ হাজার ৯২৭ বর্গকিলোমিটারের এই জেলায় কোল্লাপাথর শহীদ সমাধিস্তল, হাতিরপুল, সরাইলের প্রাচীন মসজিদ ও দিঘি, ভাদুঘর গ্রামের প্রাচীন মসজিদ, কালভৈরব মন্দির, উলচাপাড়া মসজিদ, কল্লা শহীদ মাজার, চম্পক নগর, নাগঘরের বিচিত্র শিব মূর্তি, বিদ্যাকুট সতীদাহ মন্দির, গণিশাহ মাজার শরিফ ও গঙ্গাসাগর দিঘির মতো পর্যটন স্পটগুলো রয়েছে।

চাঁদপুর: ইলিশের বাড়ি খ্যাত চাঁদপুরের পর্যটন স্পটগুলো হাজিগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদ, অলিপুর শাহ্‌ সুজা মসজিদ, আলমগীর মসজিদ, শাহরাস্তি মাজার, সাহেবগঞ্জের নীলকুঠি, লোহাগড়ের মঠ, রূপসার জমিদার বাড়ি, নেওড়া মঠ, তুলাতুলি যাত্রামণির মঠ ও মেহারকালী বাড়ি।

নোয়াখালী: এই জেলার পর্যটন স্পটগুলো হলো সোনাপুর ক্যাথলিক মিশন, গান্ধী আশ্রম, বজরা শাহী মসজিদ, নিঝুম দ্বীপ, হাতিয়া ও রাম ঠাকুরের আশ্রম।

লক্ষ্মীপুর: এই জেলার পর্যটন স্পটগুলো হলো দালাল বাজার জমিদার বাড়ি, কামানখোলা জমিদার বাড়ি, জিনের মসজিদ, খোয়া সাগর দিঘি, তিতা খাঁ জামে মসজিদ, জকি উদ্দিন আল হোসাইনি (র.) এর দায়রা শরিফ, ঘাসিয়ার চর ও বয়ার চর।

চাঁদগাজী ভূঁইয়া মসজিদ/ছবি: বার্তা২৪.কম

ফেনী: এই জেলার পর্যটন স্পটগুলো হলো শমসের গাজীর কেল্লা, চাঁদগাজী ভূঁইয়া মসজিদ, রাজা-ঝি’র দিঘি, সোনাগাজী মুহুরী সেচ প্রকল্প, পাগলা মিঞার মাজার, শিলুয়া প্রাচীন ঢিবি ও শার্শাদি গ্রামের প্রাচীন মসজিদ।

হযরত বায়েজিদ বোস্তামির (র.) মাজার/ছবি: বার্তা২৪.কম

চট্টগ্রাম: এই জেলার পর্যটন স্পটগুলো হলো হযরত বায়েজিদ বোস্তামির (র.) মাজার, কমনওয়েলথ ওয়ার সিমেট্রি, হযরত শাহ আমাতন (র.) মাজার, লালদিঘি ময়দান, আন্দরকিল্লা মসজিদ, চট্টগ্রাম আদালত ভবন, মাইজভাণ্ডার শরিফ, ক্যাথেড্রাল চার্চ, শ্রী শ্রী চট্টেশ্বরী কালী বিগ্রহ মন্দির, হযরত শাহ বু আলী কালান্দরের মাজার, চন্দ্রনাথ পাহাড় ও মন্দির, সীতাকুণ্ড ইকোপার্ক ও বোটানিক্যাল গার্ডেন, জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘর, চেরাগী পাহাড়, বাংলাদেশ মিলিটারি একাডিম, ভাটিয়ারি হ্রদ ও গলফ ক্লাব, বাটারফ্লাই পার্ক, মহামায়া সেচ প্রকল্প ও হ্রদ, শেখ রাসেল অ্যাভিয়অরি অ্যান্ড রিক্রিয়েশন পার্ক, ফয়’স লেক, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, বাঁশখালী ইকোপার্ক, খৈয়াছড়া জলপ্রপাত, সন্দ্বীপ, শ্রীপুর বুড়া মসজিদ, হযরত মোহসেন আওলিয়ার (র.) মাজার, চন্দনপুরা মসজিদ, কৈবল্য ধাম, রেলওয়ে জাদুঘর, বুদ্ধ গয়ার বোধিতরু, কাঁলাচাঁদ ঠাকুর বাড়ি, টাইগার পাস, বাটালি হিল, ডিসি হিল এবং কর্ণফুলী নদী।

সেন্টমার্টিন দ্বীপ/ছবি: বার্তা২৪.কম

কক্সবাজার: এই জেলার পর্যটন স্পটগুলো হলো সমুদ্র সৈকত, কুতুবদিয়া দ্বীপ (কুতুব আউলিয়ার মাজার, বাতিঘর), কাকারা শাহ ওমর মাজার. বিমুক্তি বিদর্শন ভাবনা বিহার, লামার পাড়া বৌদ্ধ বিহার, শ্রী শ্রী রামকুট তীর্থধাম, মহাসিংদোগ্রী বৌদ্ধ মন্দির, পাতাবাড়ি বৌদ্ধ মন্দির, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক, মহেশখালী দ্বীপ ও আদিনাথ মন্দির, সোনাদিয়া, বরইতলী গোলাপ বাগান, ইনানী সমুদ্র সৈকত, হিমছড়ি, কুদুম গুহা, চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, রাবার বাগান, সেন্টমার্টিন দ্বীপ, ছেঁড়া দ্বীপ, টেকনাফ সমুদ্র সৈকত, মাথিনের কূপ, কানা রাজার গুহা, শাহ পরীর দ্বীপ এবং নাফ নদী।

খাগড়াছড়ি: এই জেলার পর্যটন স্পটগুলো হলো শান্তিপুর অরণ্য কুটির, আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র, আলুটিলা পাহাড়ের পাকৃতিক সুড়ঙ্গ, দেবতার পুকুর, রিছাং ঝরণা, ধর্মপুর আর্য বনবিহার, মানিকছড়ির রাজবাড়ি, সাজেক ভ্যালি, গরম পাহাড় ও রামগড়।

কাপ্তাই হৃদ?ছবি: বার্তা২৪.কম

রাঙামাটি: এই জেলার পর্যটন স্পটগুলো হলো ঝুলন্ত সেতু, রাজবন বিহার, চাকমা রাজার বাড়ি, ক্ষুদ্র –নৃ-গোষ্ঠীর জাদুঘর, কাপ্তাই হৃদ ও জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র, প্যাদা টিং টিং ও চাং পাং, টুক টুক ইকো ভিলেজ, বনশ্রী পর্যটন কমপ্লেক্স, শুভলং ঝরণা, কাট্টলি হৃদ, কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান, ন’কাবা ছঢ়া ও পাংখোপাড়া, রাইংখ্যং পুকুর, কাসালং, সাজেক ভ্যালি, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফের সমাধিস্থল, তিনটিলা বনবিহার, ওয়াগ্‌গা চা অ্যাস্টেট, ফুরমোন পাহাড়, চিৎমরং বৌদ্ধ বিহার, কর্ণফুলী পেপার মিলস এবং বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র।


বান্দরবান: এই জেলার পর্যটন স্পটগুলো হলো বুদ্ধ ধাতু জাদি ক্যাং, মেঘলা পর্যটন কমপ্লেক্স, নীলাচল, নীলগিরি, বগা লেক, প্রান্তিক লেক, মিলনছড়ি, মিরিঞ্জা, পাইন্দু সাইতার জলপ্রপাত, বাকলাই জলপ্রপাত, চিম্বুক পাহাড়, বিজয় শৃঙ্গ, কেওক্রাডং, জাদিপাই ঝরণা, বোমাং রাজার বাড়ি, রিজুক ঝরনা, তিন্দু বড়ো পাথর, নাফুখম ঝরনা, সাঙ্গু ব্রিজ, শৈলপ্রপাত, উপবন লেক, আলীর সুড়ঙ্গ এবং জীবননগর পাহাড়।