ভাঙন আতঙ্কে তিস্তার পাড়ের বাসিন্দারা

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

টানা বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে তিস্তার পানি বেড়ে এখন বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানির চাপ বেড়ে যাওয়ায় বন্যা ও ভাঙন আতঙ্কে আছেন তিস্তা পাড়ের বাসিন্দারা। পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের সবকটি জলকপাট খুলে রেখেছে কর্তৃপক্ষ।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টায় তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহের উচ্চতা রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ১২ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার নিচে।

বিজ্ঞাপন

এরআগে, গতকাল রাত সাড়ে ১১টায় পানিপ্রবাহের উচ্চতা রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ১৭ সেন্টিমিটার। অর্থাৎ বিপৎসীমার দশমিক ২ সেন্টিমিটার (বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার) ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছিলো।

নীলফামারীর ডিমলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ডিমলা উপজেলার গয়াবাড়ি, পশ্চিম ছাতনাই, পূর্ব ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাপানী ও ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের প্রায় ১০টি গ্রাম ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে । এলাকায় প্রায় কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। বেশ কিছু স্থানে তিস্তা নদীর বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। পানির নিচে ডুবে গেছে চর ও নিম্নাঞ্চলের আমন ধান, আগাম শীতকালীন সবজির ক্ষেত ও চলাচলের সড়ক। ভেসে গেছে পুকুর ও মাছের খামার। অনেকে গবাদিপশু নিয়েও বিপাকে পড়েছেন।

এছাড়াও টানা বৃষ্টিপাতে নদ-নদীর পানির পাশাপাশি বিলের পানিও বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। এতে রাস্তাঘাট ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে। সেই সাথে ফসলি জমিতে পানি ওঠায় নষ্ট হচ্ছে আগাম শীতকালীন শাকসবজি, বীজতলাসহ বিভিন্ন ফসল।

তবে আজ সকাল থেকে ঘরবাড়ির পানি নেমে যেতে শুরু করেছে। পানি নেমে যাওয়ায় নতুন করে ভাঙন দেখা দিচ্ছে। এতে আতঙ্কে আছেন তিস্তা পাড়ের বাসিন্দারা।

ডিমলার খালাসি চাপনী এলাকার বাসিন্দা হাসাম আলী বলেন, গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে। আজ সকাল থেকে পানি নেমে যাওয়া শুরু করেছে। এতে করে আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে।

আরেক বাসিন্দা মমতা বেগম বলেন, আজ সকাল থেকে ঘরবাড়ির পানি নেমে যেতে শুরু করেছে। পানি নেমে যাওয়ায় বাড়ির আশপাশের জায়গা গাছপালা নদীতে ভেঙে যাচ্ছে। খুব ভয়ে আছি কখন যে বসতবাড়ি পানিতে ভেঙে যায়।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া শাখার উপ-প্রকৌশলী মোহাম্মদ রাশেদীন বলেন, গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে পানি বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিলো। আজ বেলা ১২টার দিকে পানি নেমে বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে পানি নেমে যাওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন দেখা যাচ্ছে।