কাউনিয়ায় তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার ওপরে

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কাউনিয়ায় তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে/ছবি: সংগৃহীত

কাউনিয়ায় তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে/ছবি: সংগৃহীত

টানা তিনদিনের ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য সূত্রে, দুপুরে এই পয়েন্টের পানি সামান্য কমলেও সন্ধ্যা থেকে তিস্তার পানি আবারো বাড়বে বলে সর্তক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

বিজ্ঞাপন

টানা বৃষ্টিতে অস্থায়ীভাবে পানিবন্দি হয়েছে হরিচরণ শর্মা, ঢুষমারা, পাঞ্জরভাঙ্গা, বালাপাড়া, চরগনাই, টেপামধুপুর, গোপিঙ্গা, গদাই আজমখাঁ, হয়বত খাঁ, বিশ্বনাথের চর, রাজিব চর ও তালুক শাহবাজপুরসহ চরাঞ্চলের অসহায় পরিবারগুলো। সেই সাথে আগাম ফসল ও পুকুরের মাছ ভেসে গেছে পানিতে। এতে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির পাশাপাশি ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে তিস্তা পাড়ের মানুষ।

আতঙ্কিত তিস্তাপাড়ের এক বাসিন্দা বলেন, 'একপাকে পানি বাড়োছে,আগপাকে ফের ভাঙা ধইরছে। আল্লাহ জানে হামরা এ্যালা টিকবার পামো কি না? শুধু শুনি তিস্তার উন্নতি হইবে কোটে সেই উন্নতি।'

বালাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আনসার আলী জানান, 'আজ বৃষ্টি হয়নি, তবে রাতের মধ্যে পানি বাড়ছে। সাবধানে থাকতে বলা হয়েছে নদীপাড়ের মানুষজনকে।'

পানি উন্নয়ন বোর্ড রংপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, তিস্তার কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহ হচ্ছে। যা রাতে আরও বাড়বে। এছাড়া পানি বাড়ায় তিস্তা সংলগ্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বিষয়গুলো নিয়ে সবসময় মনিটরিং করা হচ্ছে। যাতে রাস্তা ঘাট, ব্রীজ ভেঙে না যায় সেই বিষয়গুলো মাথায় রেখে কাজ করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে রংপুরের জেলা প্রশাসক রবিউল ফয়সাল জানান, কয়েকদিনের বৃষ্টিপাত আর উজানের ঢলে তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বেশকিছু এলাকার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এমন তথ্য পেয়েছি। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে পানিবন্দি পরিবারগুলো মাঝে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হচ্ছে। তবে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে পানি কমে গিয়ে মানুষের দুর্ভোগ কমে যাবে বলে জানান তিনি।