‘পরীক্ষায় পাসের খবরে কলিজা ফেটে যাচ্ছে’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ শেখ শাহরিয়ার বিন মতিন জিপিএ-৪.৮৩ পেয়ে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। এই খবরের উচ্ছ্বাসের বদলে বিষাদের সৃষ্টি হয়েছে শাহরিয়ারের পরিবার, সহপাঠী ও স্বজনদের মধ্যে।
শহিদ শাহরিয়ারের বাড়ি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার কুমড়াশাসন উত্তরপাড়া গ্রামে। তার বাবার নাম আব্দুল মতিন। পরিবারের দুই সন্তানের মধ্যে শাহরিয়ার ছিল বড় সন্তান। সে এবার ঈশ্বরগঞ্জ আইডিয়াল কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সারমিন সাত্তার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শহীদ শাহরিয়ারের চাচা আব্দুল মোতালেব বলেন, ‘পরীক্ষা পাসের খবরে কলিজা ফেটে যাচ্ছে। আমার ভাতিজা আন্দোলনে শহীদ হয়েছে প্রায় তিন মাস আগে। এখন তার পরীক্ষার ফলাফল হয়েছে, সে পাস করেছে। আমরা দুই ভাইয়ের মধ্যে একটি মাত্র ছেলে সন্তান ছিল শাহরিয়ার। এখন আমাদের দুই ভাইয়ের বংশে আর কোনো প্রদীপ নেই।’
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শহীদ শাহরিয়ার এর বাবা আব্দুল মতিন স্ত্রী ও কন্যা সন্তান নিয়ে বতর্মানে ওমরা হজ করতে সৌদি আরবে অবস্থান করছেন। সেখানে থেকেই তিনি ছেলের ফলাফলের খবর পেয়েছেন।
এর আগে গত ১৮ জুলাই ঢাকার মিরপুরে ১০ নম্বরের গোলচত্বরের কাছে গুলিবিদ্ধ হন শেখ শাহরিয়ার বিন মতিন। তার ডান চোখের পাশ দিয়ে গুলি ঢুকে মস্তিষ্ক ছেদ করে বেরিয়ে যায়।
শাহরিয়ারের পরিবার জানায়, পরীক্ষার মধ্যে বন্ধ পেয়ে ঢাকায় মায়ের কাছে যায় শাহরিয়ার। পরে মিরপুর ২ নম্বরে খালার বাসায় বেড়াতে যায়। সেখানে খালাতো ভাইয়ের সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নেয়। পরে মিরপুর ১০ নম্বরের গোল চত্বরের কাছে গুলিবিদ্ধ হয় শাহরিয়ার। সেখানে তার খালাতো ভাইও গুলিবিদ্ধ হয়েছিল।
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সারমিন সাত্তার বলেন, আমরাও শহিদ শাহরিয়ারের ফলাফল দেখেছি। শুনেছি তার পরিবারের লোকজন ওমরা হজ পালন করতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফিরেছে কিনা বিষয়টি জানা নেই।