বিয়ের চারদিনের মাথায় লাশ হলেন নববধূ

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

চরজব্বার থানা

চরজব্বার থানা

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে স্বামীর মোবাইল ফোনে সাবেক প্রেমিকের পাঠানো মেসেজ, ভিডিও নিয়ে অপবাদের জেরে প্রাণ দিতে হলো নববধূ ফাহিমা আক্তার পপিকে (২২)।

নিহত পপি উপজেলার চরবাটা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মো. সেলিমের মেয়ে। তিনি সৈকত সরকারি কলেজে বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকার ওয়ান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এর আগে, ২০ নভেম্বর বিকেলে উপজেলার চরবাটা ইউনিয়নের নিজ বাড়ির পাশে এক আত্মীয় বাড়িতে ফাহিমা আক্তার পপি গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।

বিজ্ঞাপন

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত পপি স্থানীয় সৈকত সরকারি কলেজের ছাত্রী ছিল। কলেজে পড়াশোনা করার সময় পপির সঙ্গে মহিন ইসলাম রিয়াদের পরিচয় ছিল। তবে পারিবারিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে গত ১৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় বিজিবি সদস্য আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। বিয়ের পর রিয়াদ পপির স্বামী মাহমুদের কাছে দাবি করে পপির সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এরপর রিয়াদ পপির সংসার ভাঙার জন্য তার সাথে পপির বিভিন্ন মেসেজ, ভিডিও তার স্বামীর মোবাইল ফোনে পাঠায়। এ নিয়ে মাহমুদ ও তার পরিবারের সদস্যরা নববধূকে চরিত্র ভালো নয় বলে বিভিন্ন অপবাদ দিতে থাকে। পরবর্তীতে মাহমুদ পপির সাথে সংসার করবে না বলে জানায় এবং তার মত মেয়ে বেঁচে না থেকে মরে যাওয়ার জন্য বলে অপবাদ দেয়।

এর জেরে গত বুধবার সন্ধ্যায় নিজ বাড়ির পাশে এক আত্মীয় বাড়িতে পপি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তাৎক্ষণিক পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে গেলে শুক্রবার সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন মিয়া বলেন, এ ঘটনায় নিহত নববধূর চাচা বাদীয় হয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন। পুলিশ লাশের সুরতহাল প্রতিদেবন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।