সাফজয়ী তিন নারী ফুটবলারকে রাঙামাটিতে সংবর্ধনা
পরপর দুবার সাফ জয় করে দেশের সুনাম সমৃদ্ধি করার পেছনে রূপনা, ঋতুপর্ণা ও মনিকা চাকমার অবদান প্রশংসনীয়। তাদের সাফল্যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে রাঙামাটি জেলার নামও ঝলমল করছে সমানতালে। তাদের এই সাফল্য গাঁথা গল্প এখন পাহাড়ি জেলা রাঙামাটির আনাচে কানাচে বিস্তৃত।
দেশ ও দেশের বাইরের ক্রীড়াঙ্গনে প্রতিভার স্বাক্ষর রাখা এবং জেলার নাম উজ্জল করা তিন ফুটবলকন্যা রূপনা, ঋতু ও মনিকাকে শনিবার (২৩ নভেম্বর) জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে সংবর্ধনা দিয়েছে রাঙামাটিবাসী।
উইমেন'স সাফ চ্যাম্পিয়ন বিজয়ী পাহাড়ের মেধাবী এই তিন কন্যাকে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার যৌথ উদ্যোগে শনিবার রাঙামাটি মারী স্টেডিয়ামে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। বেলা সাড়ে ১০টায় কাউখালীর ঘাগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে সুসজ্জিত ট্রাকে করে সাফজয়ী ঋতুপর্ণা, মনিকা ও রূপনাদের নিয়ে মোটর শোভাযাত্রা যোগে রাঙামাটি শহর প্রদক্ষিণ করে মারী স্টেডিয়ামে নিয়ে আসা হয়।
তিন কৃতি নারী ফুটবলারকে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন, রাঙামাটি সেনা রিজিয়ন, রাঙামাটি জেলা পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে এক লাখ টাকা করে ও রাঙামাটি পৌরসভার পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়। রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খানসহ অন্যরা সন্মানার চেক ও ক্রেস্ট তুলে দেন।
পরে রাঙামাটির বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনসহ জেলা সর্বস্তরের সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচছা ও সম্মান প্রদান করা হয়। এ ছাড়াও ফিফার রেফারি ও রাঙামাটির কৃতী সন্তান জয়া চাকমাকে সম্মাননা জানানো হয়।
গত ৩১ অক্টোবর নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে বাংলাদেশ। ফাইনালে মনিকা ও ঋতুপর্ণা চাকমা দুই গোলে করে এ অর্জনে বড় অবদান রাখেন। পাশাপাশি পুরো টুর্নামেন্টে অসাধারণ নৈপুণ্যে সেরা খেলোয়াড় ঋতুপর্ণা ও রূপনা চাকমা সেরা গোলরক্ষক হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। তারা তিনজনই রাঙামাটির মেয়ে এবং জাতীয় দলের হয়ে নিয়মিত ফুটবল খেলছেন।