শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়লেও ক্রেতাদের অসন্তোষ

  • স্টাফ করেস্পন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়লেও ক্রেতাদের অসন্তোষ

শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়লেও ক্রেতাদের অসন্তোষ

বাজারে উঠে গেছে প্রায় সব ধরনের শীতকালীন সবজি। শীতের সবজির পসরা সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। তবে বাজারে সরবরাহ বাড়লেও ওঠানামা করছে শীতের সবজির দাম। বিক্রি হচ্ছে উচ্চমূল্যে। ফলে ক্রেতাদের মনে স্বস্তি ফেরার কথা থাকলেও অসন্তোষ প্রকাশ করছেন।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সকালে  মিরপুর শেওড়াপাড়া বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

বিজ্ঞাপন

ক্রেতা আজাদ হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমদানি থাকা সত্ত্বেও  শীতকালীন শাকসবজি বেশি দামে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। সবজি কিনতেই হিমসিম খেতে হচ্ছে আমাদের। মাছ মাংসের দিকে তো তাকানোর  উপায় নেই, সব কিছু নিয়ন্ত্রণের বাইরে। আমাদের মত নিম্নবিত্তদের সংসার চালাতে কষ্ট হয়।

অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন, এখনও পর্যাপ্ত আমদানি নেই। বেশি দামে কিনে কম দামে তো বিক্রি করতে পারিনা। এতে করে ক্রেতাদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে অসন্তোষ। 

বিজ্ঞাপন

সাপ্তাহিক ছুটির দিন সকালে  বাজার করতে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী এনায়েত উল্লাহ। তিনি  বলেন, বাজার করতে এসে দেখি সবকিছুর দাম বেশি। মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য বাজার করাটা অনেক কষ্টসাধ্য।

সরেজমিন দেখা যায়, বাজারে সবজি বিক্রি হচ্ছে- লাউ-৮০ টাকা পিস, বাঁধাকপি ও ফুল কপি ৪০ থেকে ৬০ টাকা পিস, কালো বেগুন ৭০-৮০ টাকা কেজি, গোল বেগুন ১১০-১২০ টাকা কেজি। শিম-১০০ টাকা কেজি, বরবটি ৯০-১০০ টাকা কেজি। কুমড়া ৫০-৬০ টাকা কেজি, গাজর ১৬০ টাকা কেজি ও কাঁচামরিচ ১০০ টাকা কেজি। শশা ৮০-১০০ টাকা কেজি ও টমেটো ১০০-১৬০ টাকা কেজি, করলা ১০০ টাকা কেজি, মুলা  বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে। আলু-৭৫ টাকা কেজি  ও নতুন আলু ১২০ টাকা কেজি। ঢেঁড়শ ও পটল ৮০ টাকা কেজি।

এদিকে লাল শাক ও পালং শাক ১৫ টাকা করে আঁটি ও সেই সঙ্গে ধনিয়াপাতা ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।


মাছের বাজারে দেখা যায়, গলদা চিংড়ি -৭৫০ টাকা কেজি, কই ২৬০ টাকা কেজি, শিং ৫০০-৬০০ টাকা কেজি, শোল-৭০০ টাকা কেজি, ল্যাটা ৫০০ টাকা কেজি, রুই মাছ-৩৫০-৫০০ টাকা কেজি, টেংরা-৬৫০ টাকা কেজি, পাবদা ৫৫০ টাকা কেজি, কাঁচকি ৪০০ টাকা কেজি, বোয়াল ৭৫০ টাকা কেজি, বাইম-১৫০০ টাকা কেজি, পাঙাস ১৮০ টাকা কেজি, রুপচাঁদা -৮০০ টাকা কেজি ও ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ টাকা কেজি দরে।

এদিকে, সোনালি ও ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমলেও স্থিতিশীল রয়েছে অন্যান্য মাংস ও ডিমের দাম।  ব্রয়লার মুরগি ১৮০ টাকা কেজি ও সোনালি মুরগি ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। 

অপরিবর্তিত আছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। গরু মাংস বিক্রি হচ্ছে- ৭৮০ টাকা ও খাসির মাংস ১২০০ টাকা কেজি।

অন্যদিকে ব্রয়লার মুরগির ডিম ডজন প্রতি ১৫০ টাকা, সাদা ডিম ১৪০ টাকা ডজন, হাঁসের ডিম ২৪০ টাকা ও কোয়েল পাখির ডিম ৫৫ টাকা ডজনে বিক্রি হচ্ছে।

দেশি পেঁয়াজ ১২০ টাকা কেজি, রসুন ২৪০ কেজি, মসুর ডাল ১৪০ টাকা কেজি, মুগডাল ১৮০ কেজি, ছোলার ডাল ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সয়াবিন তেল ১৭০ টাকা লিটার ও আটা ১১০-১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।