ভারতীয় আগ্রাসন ও আধিপত্যবাদ বিরোধী ৮ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল
বাংলাদেশকে নিয়ে গুজব ও সাম্প্রদায়িক উস্কানি বন্ধসহ ভারতীয় আগ্রাসন ও আধিপত্যবাদ বিরোধী ৮ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে আগ্রাসন বিরোধী ছাত্র জনতা।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাজধানীর টিএসসির রাজু ভাস্কর্যে আগ্রাসন বিরোধী ছাত্র জনতা আয়োজিত ভারতীয় আগ্রাসন ও আধিপত্যবাদ বিরোধী ৮ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
সেখানেই এই আট দফা দাবি জানান গণ অধিকার পরিষদের ছাত্রসংগঠন- ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা।
বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, আমরা দেখছি এই পৃথিবীর হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার চিন্ময় দাসকে গ্রেফতার করায় প্রতিবাদ জানিয়েছে। আমরা ধিক্কার জানাই। বাংলাদেশের আদালত প্রাঙ্গণে একজন আইনজীবীকে শহীদ করা হলো বিজেপি সরকার সেই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করা বা সুষ্ঠ তদন্ত করার দাবি পর্যন্ত তারা করতে পারলো না। নিন্দা পর্যন্ত জানাতে পারলো না। তাহলে উগ্রবাদী হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার তাদের উদ্যেশ্যটা কি? তারা কি চায়?
তিনি বলেন, পৃথিবীর এতোগুলো দেশ কোনো দেশেই শেখ হাসিনা বা গণহত্যাকারীরা এখন পর্যন্ত আশ্রয় পায়নি, এই উগ্রবাদী হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার তাদেরকে আশ্রয় দিয়েছে। সুতরাং এই বাংলাদেশের মানুষ যে গণঅভ্যুত্থানকে ধারন করে বাংলাদেশকে চালাতে চায়, এই বিজেপি সরকার সেই গণঅভ্যুত্থানের বিপরীতে গিয়ে কাজ করছে। এই গণঅভ্যুত্থানে উগ্রবাদী ভারত সরকার আমাদের সহযোগিতা করেনি। তারা এই অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে ছিল। এই বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হিন্দুত্ববাদী সরকারের সহযোগিতা আমাদের দরকার নেই। আমরা সমানে সমানে ন্যয্যতার সম্পর্ক চায়।
তিনি আরও বলেন, ভারত বাংলাদেশের চিন্ময়ী দাসের গ্রেফতার নিয়ে উদ্বিগ্ন অথচ তাদের নিজের দেশেয় সংখ্যালঘুদের উপরে নির্যাতন হয়। সারা বিশ্ব নিন্দা জানায় তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে না।
আমরা আট দফা দাবিতে এই সমাবেশ ডেকেছি। এই দাবিগুলো হলো,
১. বাংলাদেশের অভ্যন্তরিন বিষয়ে ভারতের অযাচিত হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে।
২. ভারতে আশ্রয় নেয়া গণহত্যাকারী শেখ হাসিনাসহ সকল সন্ত্রাসীকে ফিরিয়ে দিতে হবে।
৩. ভারতের অভ্যন্তর হতে বাংলাদেশকে নিয়ে গুজব ও সাম্প্রদায়িক উস্কানি বন্ধ করতে হবে। এই ক্ষেত্রে ভারত সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের প্রতি আমরা কঠোর ভুমিকা গ্রহনের আহ্বান জানাবো।
৪. আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন দেশে নিষিদ্ধ ও বিতর্কিত সংগঠন ইস্কনকে বাংলাদেশের মানুষ নিষিদ্ধের দাবি জানাচ্ছে, কোর্টের আইনজীবীরাও নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে। আমরাও নিষিদ্ধের দাবি জানাচ্ছ।
৫. সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে হবে।
৬. বিগত ১৬ বছরে ভারতের সাথে করা আওয়ামী লীগের সকল চুক্তি রিভিউ করতে হবে এবং দেশবিরোধী সকল চুক্তি বাতিল করতে হবে।
৭. তিস্তাসহ সসকল নদীর ন্যয্যহীস্বা নিশ্চিত করতে হবে।
৮. ভারতের অভ্যন্তরে সংখ্যালঘু নির্যাতন, জাতীগত বিধান ও ধর্মীয় উপাসনালয় ভাংচুর বন্ধ করতে হবে।