বিলুপ্তির পথে শুক্রবারের ঐতিহ্যের শিন্নি-বাতাসা বিতরণ

  • ছাইদুর রহমান নাঈম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, কিশোরগঞ্জ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

আবহমান গ্রাম বাংলায় একসময়ের ঐতিহ্য ছিলো শুক্রবার জুমার দিনে মসজিদে মসজিদে শিন্নি-বাতাসা বিতরণ। সে সময়ে মসজিদে ভিড় জমাতো শিশুরা। নামাজ শেষে একসাথে সবাই হৈহুল্লোড় করে শিন্নি-বাতাসা নিতে ভিড় করতো। এদিন অনেকেই শিন্নি নিতে কলাপাতাও নিয়ে আসতো। এছাড়া যিনি বিতরণ করতেন তিনিও কলাপাতা কেটে নিয়ে আসতেন। তবে কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে এই ঐতিহ্য।

কিশোরগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় এখনো কালেভদ্রে দেখা মিলে মসজিদে তাবারক বিতরণের সেই পুরনো দৃশ্য। তবে আগের এই ঐতিহ্য অনেকটাই কমে গেছে।

বিজ্ঞাপন

জানা যায়, ইসলামের দৃষ্টিতে পবিত্র জুমার দিনের গুরুত্ব অপরিসীম। এ দিনকে সাপ্তাহিক ঈদের দিন বলা হয়েছে। জুমার দিনের সওয়াব ও মর্যাদা ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার মতোই। এ দিন ইসলামি ইতিহাসে বড় ও মহৎ কিছু ঘটনা ঘটেছে।

রাসুল (সা.) একটি হাদিসে বলেছেন, মুমিনের জন্য জুমার দিন হলো সাপ্তাহিক ঈদের দিন। (ইবনে মাজাহ, হাদিস নম্বর ১০৯৮)।

বিজ্ঞাপন

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার কেন্দ্রীয় দরগাহ কলামহল মসজিদে শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) নামাজ শেষে শিশুদের বাতাসা সংগ্রহ করতে দেখা যায়। আনন্দের সাথে সবাই বাতাসা নিচ্ছে আর হাসিমুখে বিদায় নিচ্ছে৷

মুসল্লি আব্দুল মান্নান বলেন, 'আগে অনেকেই শিন্নি ও জিলাপি নিয়ে আসতো বিতরণের জন্য। এখন আর তেমন দৃশ্য দেখতে পাই না৷ ছোট সময় আমারাও কলাপাতার মধ্যে শিন্নি খাইতাম আনন্দ করে। আজো দেখলাম শিশুরা বাতাসা নিচ্ছে৷'

শিশু আহনাফ (৬), সামি (৭), মুন্না (৮) জানায়, আজকে নামাজের পর তাদের বাতাসা খেয়ে ভালো লাগছে। দলবেধে একসাথে সহপাঠীরা মিলে বাতাসা সংগ্রহ করেছে৷'

আরেক মুসল্লী জামাল মোস্তফা বলেন,' শৈশবে শুক্রবারে গ্রামের মসজিদে শিন্নি খাইতাম। এখনো কোনো কোনো গ্রামে এই প্রচলন রয়েছে৷ এগুলো সবার মধ্যে আন্তরিকতা বৃদ্ধি করে৷'