আশুলিয়ায় মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ

  • স্টাফ করেসপন্টেন্ড, বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

সাভারের আশুলিয়ায় জিন্স প্লাস লিমিটেড নামের একটি পোশাক কারখানায় বাৎসরিক অর্জিত ছুটির পাওনা টাকার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা। নবীনগর -চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করে এ বিক্ষোভ করেন তাঁরা। এতে সড়কের উভয়পাশে প্রায় দুই ঘন্টা যানচলাচল বন্ধ থাকে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদেরকে সড়ক থেকে সরিয়ে দেন।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে আশুলিয়ার নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের শ্রীপুরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা।

জিন্স প্লাস লিমিটেডের একাধিক শ্রমিক জানান, বেশ কিছুদিন ধরো বাৎসরিক অর্জিত ছুটির টাকা পরিশোধের দাবি জানাচ্ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের পাওনা পরিশোধের আশ্বাস দেন। তবে বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে শ্রমিকদের অ্যাকাউন্টে পাওনা টাকার মধ্যে খুব সামান্য পরিমান টাকা ঢুকলে ক্ষুব্ধ হন শ্রমিকেরা। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং শনিবার (৩০ নভেম্বর) সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন।

বিজ্ঞাপন

তবে শনিবার সকালে তারা কারখানার সামনে গিয়ে অনিবার্য কারণে কারখানাটির সকল সেকশনে কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের নোটিশ দেখতে পান। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে কারখানা সংলগ্ন নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন শ্রমিকরা। বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কারখানার এক শ্রমিক বলেন, আমাদের দাবি বাৎসরিক অর্জিত ছুটির সব টাকা দিতে হবে। দুইমাস আগে বলেছিলো আমাদের পাওনা টাকা দেয়া হবে। গত বৃহস্পতিবার অর্জিত ছুটির টাকা দেয়া হচ্ছেনা কেন জানতে চাইলে বিকেলে আমরা যা পাবো তার অর্ধেক, অর্ধেকের কম টাকা দেয়া হয়। এরপর বলা হইছিলো আজকে সমাধান করা হবে। কিন্তু আজ কারখানার এসে দেখি কারখানা বন্ধ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কারখানার এক উর্দ্ধতন কর্মকর্তা বলেন, শ্রম আইন অনুযায়ী বৃহস্পতিবার শ্রমিকদের টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। কিন্তু তারা নিয়মের বাইরে কিছু দাবি জানাচ্ছেন। শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা চলছে আশা করছি বিষয়টির সমাধান হয়ে যাবে।

সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সওগাতুল আলম বলেন, শ্রমিকেরা প্রায় ২ ঘন্টা মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছিলেন। এখন সড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।