মেঘনায় খিরা চাষে সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত, কৃষকদের মুখে হাসি

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় খিরা চাষের জমির পরিমাণ গত বছরের তুলনায় সামান্য কম হলেও কৃষকদের মনে স্বস্তি ফিরেছে। অনুকূল আবহাওয়ার কারণে এবছর ভালো ফলন হওয়ায় লাভের আশায় রয়েছেন কৃষকরা।

চলতি বছর ২২৭ হেক্টর জমিতে খিরা চাষ হয়েছে, যা গত বছরের থেকে ১১ হেক্টর কম। তবে স্থানীয় কৃষি বিভাগ আশাবাদী, এ বছরই খিরা চাষের জমির পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাবে। 

বিজ্ঞাপন

কম সময়ে ভালো আয় হওয়ার সুযোগ থাকায় রবি মৌসুমে মেঘনার কৃষকদের জন্য এটি একটি জনপ্রিয় ফসল হলো খিরা চাষ।

কৃষকদের থেকে জানা যায়, নিজস্ব জমিতে প্রতি বিঘায় খিরা চাষের জন্য খরচ হয় ১৫-২০ হাজার টাকা। জমি লিজ নিলে খরচ কিছুটা বাড়লেও তা খুব একটা বেশি নয়। এর বিপরীতে, এক বিঘা জমি থেকে ৫০-৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত লাভের সম্ভাবনা রয়েছে। 

বিজ্ঞাপন

স্থানীয় কৃষক আবদুল মান্নান জানান, গত বছরের তুলনায় এবার ফলন ভালো। বাজার দর ঠিক থাকলে এবার ভালো লাভ হবে।

আরেক কৃষক শাহীন মিয়া বলেন, খিরা চাষে সময় কম লাগে। ফলনও ভালো হওয়ায় আমরা বেশ লাভবান হচ্ছি। এবছর খুবই সন্তুষ্ট।

জমি থেকে খিরা তুলছেন কৃষকরা, ছবি: বার্তা২৪.কম

এদিকে কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে মাঠপর্যায়ে কৃষকদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। রোগবালাই দমন থেকে শুরু করে আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদে তাদের সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানা যায়।

মেঘনা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শাহে আলম বলেন, আবহাওয়া একদম অনুকূলে। রোগবালাই কম থাকায় কৃষকরা ভালো ফলন পাচ্ছেন। মাঠপর্যায়ে আমরা নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। আশাকরি কৃষকরা এবার খিরা চাষ থেকে উল্লেখযোগ্য মুনাফা করতে পারবেন।

তিনি আরও বলেন, রবি মৌসুমে মেঘনার খিরা চাষ অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে। সঠিক ব্যবস্থাপনা এবং বাজারে চাহিদা বজায় থাকলে কৃষকরা এ সফলতা আরও দীর্ঘস্থায়ী করতে পারবেন।