চট্টগ্রাম বন্দরে ক্রেনের হুক ছিঁড়ে পড়লো কনটেইনার, আহত ২
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
|
হুক ছিঁড়ে পড়লো কনটেইনার/ছবি: বার্তা২৪.কম
জাতীয়
চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজের ক্রেনের হুক ছিঁড়ে একটি কনটেইনার নিচে পড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে ২ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন।
রোববার (১ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিতো বন্দরের জেনারেল কার্গো বার্থের (জিসিবি) ১১ নম্বর জেটিতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
বন্দরের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করা শর্তে জানান, মায়েরস্ক ঢাকা নামে একটি জাহাজের ৩ নম্বর ক্রেনের হুকের রিং ছিঁড়ে একটি দুর্ঘটনা ঘটে। এতে এভারেস্ট পোর্ট সার্ভিস লিমিটেডের দুইজন ডক শ্রমিক গুরুতরভাবে আহত হন। আহতদের দ্রুততার সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সে করে বন্দর শ্রমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
বেক্সিমকোর ১৬ কারখানা খোলার দাবিতে শ্রমিকদের কর্মসূচি
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
|
শ্রমিকদের মানববন্ধন, ছবি: বার্তা২৪.কম
জাতীয়
এলসি চালু ও কারখানা খুলে দেয়ার দাবিতে বেক্সিমকো গ্রুপের ১৬টি বন্ধ কারখানার প্রায় ৪০ হাজার শ্রমিক নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন। মহাসড়কটির ঢাকা-মুখী লেনে মাথায় ব্যানার বেঁধে অবস্থান নেন তারা।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ১০ টা থেকে এই কর্মসূচি শুরু হয়। ২ ঘণ্টা মহাসড়কের পাশে অবস্থান শেষে দুপুর ১ টায় শ্রমিকরা সড়ক থেকে সরে যাবে বলে জানান।
এর আগে গাজীপুরের চক্রবর্তী এলাকায় বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের সামনে সকাল ৮টা থেকে জড়ো হতে থাকেন শ্রমিকরা। পরে মহাসড়কের যানজট প্রবণ এলাকা গুলো বাদ দিয়ে পুরো মহাসড়কে সারিবদ্ধ হয়ে অবস্থান নেন শ্রমিকরা।
উল্লেখ্য, গত ১৫ ডিসেম্বর শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বেক্সিমকোর শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রম ও ব্যবসায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের কমিটির সভার সিদ্ধান্তের পর বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ১৬টি কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্ণধার শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান ফজলুল রহমান। বন্ধের কারণ হিসেবে সরকার জানায়, কারখানাগুলোতে অর্ডার না থাকা ও ব্যাংকে ঋণখেলাপি থাকায় প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা সম্ভব হচ্ছে না।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এর আগে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে কয়েক দফায় চন্দ্রা-নবীনগর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকেরা। সর্বশেষ গত ২১ ডিসেম্বর বিক্ষোভে শ্রমিকদের কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরপর তারা আর কোনো বিক্ষোভ না করে শান্তিপূর্ণভাবে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে আসছেন। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজ মঙ্গলবার কয়েক হাজার শ্রমিক গাজীপুর মহানগরীর চক্রবর্তী এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। পরে পুরো নবীনগর থেকে চন্দ্রা মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনে বিভিন্ন স্পটে অবস্থান নিয়ে মানববন্ধন করেন তারা।
বেক্সিমকো কারখানার শ্রমিক জামিলা বলেন, কোন জায়াগায় গিলি আমাগের চাকরিই হয়না, আমরা রুম ভাড়া দিতি পারিনা। আমাগের ফিরাই দেয়, বলে বেক্সিমকোর শ্রমিকগের কোন চাকরি হবেনা। তালি কি কইরে খাব আমরা, কোথায় যাব আমরা? কোন জায়গায় চাকরি নিতি গেলি আমাগের নেয়ইনা, আমাগের চাকরি দেইইনা। বাড়িওয়ালারা বলে বাড়ি থেকে টাকা এনে দিয়ে যাও। আমরা বাড়ি থেকে কোথা থেকে টাকা এইনে দিব! আমাগের বাড়িতে জমি-জাতি আছে নাকি? আমরা গেরস্ত নাকি? দোকান বাকিও দিতে পারতেছিনা, দোকানদারও শোনেনা। বলে আর কত দিন বাকি দেব?
বেক্সিমকোর কোয়ালিটি ইন্সপেক্টর মো. জামাল উদ্দিন বলেন, আমাদের আজকের কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হলো আমাদের কোম্পানির এলসি খুলে দেয়া ও বেতন ভাতা পরিশোধ করা। এবং কোম্পানিটা খুলে দেওয়া। এই কোম্পানির সাথে হাজার হাজার শ্রমিক জড়িত। এই কোম্পানি খুলে দিলে আমরা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পারব। আমরা চাই বেতন ভাতা পরিশোধ করা হোক, এতে আমাদের ফ্যামিলিগুলো সুন্দরভাবে চলতে পারবে। আমরা উশৃং্খল কোন পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইনা, আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থানে আছি। এই কোম্পানি বাচলে আমাদের পরিবার বাচবে। চন্দ্রা থেকে নবীনগর পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজার শ্রমিক আমরা রাস্তায় অবস্থান নিয়ে আছি।
বরিশাল-ঢাকা নৌরুটে প্রতিদিন দুইটি করে লঞ্চ চলাচল করছে রোটেশন ব্যবস্থায়। কিন্তু দিনের পর দিন কোনো কেবিন খালি না থাকার সত্ত্বেও মালিকদের দাবি, তারা লোকসানের মুখে। অথচ বাস্তব পরিস্থিতি দেখে প্রশাসন ও যাত্রীরা মনে করছেন, এ দাবি শুধু নতুন ঋণের সুবিধা পেতে লঞ্চ মালিকদের চাল।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বরিশাল নৌবন্দরে সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকাগামী এমভি অ্যাডভেঞ্চার ৯ ও এমভি মানামী লঞ্চের পরিস্থিতি। সকাল থেকেই যাত্রীরা কেবিন পাওয়ার জন্য ছুটোছুটি করলেও কোনো কেবিন ফাঁকা নেই। বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মো: আলম হাওলাদার সকাল থেকে অ্যাডভেঞ্চার ও মানামী লঞ্চে কেবিন খুঁজে বেড়ালেন। কিন্তু সব অফিস আর টিকিট কাউন্টার থেকে একই উত্তর কেবিন ফাঁকা নেই।
সব কেবিন বুকড, তবুও লোকসান
জানা গেছে, প্রতিটি লঞ্চে কমপক্ষে সাড়ে তিনশো কেবিন, এর মধ্যে ৭০ থেকে ৭৫টি ডাবল কেবিন ও ১২৫ থেকে ১৩০টি সিঙ্গেল কেবিন থাকে। ভাড়া যথাক্রমে ২২০০ ও ১১০০ টাকা। এছাড়া ভিআইপি ও ফ্যামিলি কেবিনও পূর্ণ থাকে। ডেকে থাকা যাত্রীদের ভিড় তো আছেই। এরপরও কীভাবে লঞ্চ মালিকরা লোকসানের দাবি করেন এ প্রশ্ন তুলছেন যাত্রীরাও।
প্রতিদিন বিকেল ৫টার পর লঞ্চঘাটে যাত্রীর কোলাহল তুঙ্গে ওঠে। সন্ধ্যা নাগাদ লঞ্চ স্টাফদের হাঁকডাকে পুরো এলাকাটি কর্মব্যস্ত হয়ে ওঠে। ৮টা বা ৯টায় লঞ্চ ছাড়ার আগে কেবিন ভাড়া থেকে শুরু করে স্টাফদের বাসস্থানও যাত্রীদের কাছে ভাড়া দেয়া হয়। এমনকি লঞ্চের ডেকে বিছানা পেতে টিকিটসহ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়।
বরিশাল থেকে ঢাকাগামী যাত্রী ইয়াছিন হাওলাদার জানান, ডেকের ইঞ্জিন রুমের পাশে শীতের রাতে একটু গরমের জন্য জায়গা চাইতে গেলেও তাকে বাধা দেয়া হয়। অন্যদিকে, নিজের বিছানা পেতে থাকা একজন যাত্রী বলেন, সড়কে দুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় লঞ্চে যাত্রী বাড়ছে। আর এই সুযোগে লঞ্চ শ্রমিকরা ইচ্ছামতো স্বেচ্ছাচারিতা করছে।
বেশ কয়েকজন যাত্রীরা এক কথায় স্বীকার করছেন, পদ্মা সেতুর কারণে লঞ্চে যাত্রী কমার যে ধরণা ছিল তা এখন পুরোপুরি উল্টো। বরং শীতকালীন ছুটিতে ঢাকার সদরঘাট থেকে শুরু করে লঞ্চের প্রতিটি রুটে যাত্রীদের বাড়তি চাপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
মানামী লঞ্চের মালিকের মো: আবদুল সালাম বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে লোকসানের অভিযোগ তোলা সঠিক নয়, আমরা সবসময় যাত্রীদের সেবা নিশ্চিত করতে সচেষ্ট। রোটেশন ব্যবস্থার চাপ এবং অন্যান্য সমস্যার মধ্যেও সঠিক সেবা দিতে কাজ করছি।
যুবরাজ লঞ্চের মালিক মো: কালাম হোসেন বলেন, ডেকের যাত্রী দিয়ে লঞ্চ চলে। কেবিনের যাত্রী দিয়ে নয়। তিনি স্বীকার করেন, বর্তমানে লঞ্চ ব্যবসায় লোকসান নেই, তবে নতুন লঞ্চগুলো রোটেশনে ঢুকতে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে।
সুরভী লঞ্চের মালিক রিয়াজুল কবির এবং সুন্দরবন লঞ্চের ব্যবস্থাপক জাকির হোসেন রিপনের মতে, রোটেশন ব্যবস্থায় নির্ধারিত লঞ্চ চলায় কিছুটা চাপ তৈরি হলেও ব্যবসা টিকিয়ে রাখার জন্য এটি কার্যকর। তারা বলছেন, রোটেশন তুলে নিলে যে সামান্য মুনাফা এখন হচ্ছে তাও থাকবে না।
এ্যাডভেঞ্চার লঞ্চের নিজাম শিপিং লাইনস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিজাম উদ্দিন জানান, যাত্রীদের চাপ অনেক বেড়েছে, তবে আমাদের উদ্দেশ্য একটাই প্রতিটি যাত্রীকে সুন্দর ও মানসম্মত সেবা প্রদান করা। রোটেশন ব্যবস্থার কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তবে আমরা আমাদের ব্যবসাকে আরও সমৃদ্ধ করতে এবং যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
অন্যদিকে নৌবন্দরের উপপরিচালক শেখ মোহাম্মদ সেলিম রেজা জানান, রোটেশন পুরোপুরি মালিক সমিতির স্বেচ্ছাচারিতার ফসল। এ পদ্ধতি জনসাধারণের জন্য হয়রানির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রোটেশন তুলে নিয়মিত তিনটি লঞ্চ চালানোর অনুরোধ করলেও মালিক পক্ষ কোনো সাড়া দেয়নি।
যাত্রীদের কষ্টের মধ্যে লঞ্চ মালিকদের মুনাফার প্রতিযোগিতা যেনো থেমে নেই। তবে দৃষ্টিকটু বিষয় হলো, পূর্ণ যাত্রী নিয়েও লোকসানের দাবী করা মালিকদের দ্বিচারিতা। সাময়িক চাপকে পুঁজি করে যদি এ ব্যবসায়ীরা যাত্রীসেবার পরিবর্তে মুনাফার দিকে মনোযোগী হয়, তাহলে নৌপথে ভোগান্তির চিত্র আরও ভয়াবহ হতে পারে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
দ্য লন্ডন ক্লিনিকে’ চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. জেড এম জাহিদ হোসেন।
রোববার (১২ জানুয়ারি) বিশেষায়িত এই হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সবশেষ পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন তিনি।
তিনি জানান, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়েও ভালো। তিনি একা একা হাঁটতেও পেরেছেন। দেশের খোঁজ-খবরও নিয়েছেন তিনি। এ সময় খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গী এনামুল হক চৌধুরীও উপস্থিত ছিলেন।
উন্নত চিকিৎসার জন্য গত বুধবার (৮ জানুয়ারি) খালেদা জিয়া লন্ডনে আসেন। ওই দিনই লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে সরাসরি তাকে লন্ডনের বিশেষায়িত বেসরকারি হাসপাতাল ‘দ্য ক্লিনিকে’ নেওয়া হয়। এরপর থেকে প্রতিদিনই খালেদা জিয়ার ‘রুটিন স্বাস্থ্য পরীক্ষা’ চলছে। তবে আগামীকাল সোমবার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শে বিশেষ কিছু পরীক্ষা করানো হতে পারে বলেও জানান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
তিনি আরও জানান, রবিবার অধ্যাপক জন প্যাট্রিক কেনেডি খালেদা জিয়াকে দেখে গেছেন। এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অধীনেই লন্ডনে দ্য ক্লিনিকে তার চিকিৎসা চলছে। এছাড়া এদিন খালেদা জিয়াকে ফিজিওথেরাপিও দেওয়া হয়েছে। গতকালের চেয়ে তার অবস্থা স্ট্যাবল ছিল।
অন্যান্য দিনের মতো রবিবারও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান খালেদা জিয়াকে দেখতে এসেছেন।
এদিকে, ব্রিফিংকালে যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমেদ বলেন, খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় যুক্তরাজ্য বিএনপির সব ইউনিটকে স্ব স্ব এলাকার মসজিদে দোয়া মাহফিল আয়োজনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ফের ১০ ডিগ্রির নিচে পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা, ছবি: বার্তা২৪.কম
জাতীয়
শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পঞ্চগড়ে ফের ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা নেমেছে। তাপমাত্রার এ ওঠানামায় বেড়েছে শীতজনিত রোগ।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা শতকরা ৯৯ ভাগ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পঞ্চগড়ের প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ।
জানা যায়, সোমবার (১৩ জানুয়ারি) তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শীতের কারণে আয় রোজগার কমেছে নিম্নআয়ের মানুষদের। ঠিকমতো কাজে যেতে না পারায় দুর্ভোগে পড়েছেন ভ্যানচালক, পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক, দিনমজুর থেকে নিম্ন আয়ের মানুষ।
স্থানীয়রা বলছেন, তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। এই মেঘলা দিনে রয়েছে কুয়াশার সঙ্গে ঠান্ডা বাতাস। আবার রোদ উঠলেও সকালে কনকনে শীত হাড় কাঁপাচ্ছে। এমন শীতে পরিবারের কেউ না কেউ জ্বর, সর্দি, শ্বাসকষ্টসহ অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
এ বিষয়ে জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ বলেন, ‘দুদিন তাপমাত্রা বাড়ার পর আজকে আবার তাপমাত্রা কমে ৯ ডিগ্রির ঘরে এসেছে। এ তাপমাত্রায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। মঙ্গলবার ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে আশঙ্কা করছি। গতকাল সোমবার তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।’