লালমনিরহাটে বাড়ছে শীতের দাপট, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষরা

  • মনিরুজ্জামান মুন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

ঘন কুয়াশায় ঢেকে পড়েছে লালমনিরহাটের বিভিন্ন এলাকা। শীত ও হিমেল হাওয়ায় চরম বিপাকে পড়তে শুরু করছে এ জেলার মানুষ। উত্তরের হিমেল হাওয়ার কারণে তাপমাত্রার পারদ ক্রমশ নামতে শুরু করেছে। ফলে দিন দিন শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে। এতে তিস্তা, ধরলা ও সানিয়াজান চর এলাকার মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন। গতকাল সারাদিন সূর্যের দেখা মেলেনি। হঠাৎ এমন আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ জেলা হিমালয়ের অনেকটা কাছাকাছি হওয়ায় তাপমাত্রা হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি ঘন কুয়াশা এবং হিমশীতল বাতাসের প্রবাহ বাড়িয়ে দিচ্ছে শীতের তীব্রতা।

লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টজনিত রোগের প্রায় ৩৫ জন শিশু ও বৃদ্ধ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

বিজ্ঞাপন

সিন্দুর্না ইউনিয়নের তিস্তার চরের কৃষক আইয়ুব আলী বলেন, এই ঠান্ডায় কাজকাম করা যায় না। হাত গুটিয়ে আসে। খুবই কষ্টের মধ্যে আছি আমরা।

পাটিকাপাড়া ইউনিয়নের ভ্যান চালক মোকলেছুর রহমান বার্তা ২৪ কমকে জানায়, কষ্ট হলেও নিজের জীবিকার তাগিদে ভোরেই ভ্যান নিয়ে বের হতে হয়েছে। আজ অনেক বেশি ঠান্ডা পড়েছে। এত বেশি ঠান্ডায় অনেকেই ভ্যানে চড়তে চায় না। তবুও বের হয়েছি। পরিবার বাঁচানোর জন্য তো ভ্যান চালাতেই হবে।

হাতীবান্ধা উপজেলা প্রকল্প ও বাস্তবায়ন কর্মকর্তা উত্তম কুমার নন্দী বলেন, কনকনে ঠান্ডায় শীতার্ত মানুষের জন্য এই উপজেলায় জন্য ২৫০ পিস কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম।

হাতীবান্ধা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার খিতিশ খালকো বার্তা ২৪ কমকে বলেন, শীত বাড়ার সাথে সাথেই নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট জনিত রোগের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছে। এজন্য শিশু-বৃদ্ধের খেয়াল রাখতে হবে যাতে কোন প্রকার ঠান্ডা না লাগে।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক রকিব হায়দার বলেন, শীতার্ত ও ছিন্নমূল মানুষের জন্য প্রায় ১ হাজার কম্বল বরাদ্দ করা হয়েছে। পাঁচ উপজেলয় ইতিমধ্যে নির্বাহী অফিসারগণ তা বিতরণ শুরু করেছেন।