দেশ গড়ার দ্বিতীয় সুযোগ যেন কোনোভাবেই নষ্ট না হয়: আইন উপদেষ্টা
জাতীয়
তরুণদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে রাষ্ট্র গঠনের যে দ্বিতীয় সুযোগ আমরা পেয়েছি, সেই সুযোগ যেন আমরা কোনভাবেই নষ্ট না করি- বলে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের পর তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
আসিফ নজরুল বলেন, একটি দলের ব্যর্থতার জন্য ১৯৭১ সালের যে উদ্দেশ্যে স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার তা ব্যর্থ হয়েছে। দেশের প্রতি ভালোবাসা নিয়ে সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়েছিল মুক্তিযোদ্ধরা। তারই ধারাবাহিকতায় জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান।
তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে দেখেছি ছাত্ররা জীবনের মায়া ত্যাগ করে লড়াই করেছে গণতন্ত্রের জন্য, মানুষের অধিকার ও বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য। আজকে এই শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে এসে তাদের কথা মনে পড়েছে।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালে বহুমানুষের, বহু শহীদদের আত্মত্যাগের পরও আমরা স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে ব্যর্থ হয়েছিলাম, এক ধরণের মানসিকতার জন্য, একটা দলের ব্যর্থতার জন্য। সেই ব্যর্থতার যেন পুনরাবৃত্তি না হয়। তরুণদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে রাষ্ট্র গঠনের যে দ্বিতীয় সুযোগ আমরা পেয়েছি। সেই সুযোগ যেন আমরা কোনভাবেই নষ্ট না করি। এই বুদ্ধিজীবী দিবসে এটাই আমাদের কাম্য।
যুক্তরাজ্যের লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন মা খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন ছেলে তারেক রহমান।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সেন্ট্রাল লন্ডনের বিশেষায়িত হাসপাতাল দ্য লন্ডন ক্লিনিকে স্ত্রী’সহ মাকে দেখতে যান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
হাসপাতালের প্রবেশপথে অপেক্ষমান সংবাদকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে মায়ের জন্য দোয়া চাওয়া ছাড়া আর কোনো মন্তব্য করেননি তারেক রহমান। তিনি বলেন, দেশবাসীর কাছে এটাই বলবো, সন্তান হিসেবে মায়ের জন্য দোয়া চাই।
এদিকে, রাতের মধ্যেই খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ড বসার কথা রয়েছে। বোর্ডে তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানের পাশাপাশি যুক্ত থাকবেন লন্ডন ক্লিনিক ও বাংলাদেশের চিকিৎসকরা। যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিনস হাসপাতালের ডাক্তাররাও ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন।
এর আগে, সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সব রিপোর্ট শুক্রবারের (১৭ জানুয়ারির) মধ্যে পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছিলেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ শারীরিক নানা অসুস্থতায় ভুগছেন। যুক্তরাজ্যের দ্যা লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
বন্দরনগরী পতেঙ্গায় চট্টগ্রাম বোট ক্লাব। পাশে বিশাল সমুদ্র। সকাল থেকেই নোনাজল আর ঠাণ্ডা বাতাস যেন প্রশান্তির ছোঁয়া দিচ্ছে। তারই মাঝে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে শত শত তরুণ-তরুণী, গায়ে কালো গাউন, মাথায় সমাবর্তনের টুপি। চোখে আনন্দ, গর্ব আর সামনের দিনগুলোর স্বপ্ন। আজ চট্টগ্রাম ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির (সিআইইউ) সমাবর্তন ২০২৫।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় অনুষ্ঠান শুরুর আগেই শিক্ষার্থীরা ধাপে ধাপে সুশৃঙ্খলভাবে প্রবেশ করেন অনুষ্ঠানস্থলে। কারও হাতে ক্যামেরা, কেউ বন্ধুদের জড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউ বাবা-মায়ের সঙ্গে আবেগঘন মুহূর্ত কাটাচ্ছেন। আজকের এই আয়োজন তাদের দীর্ঘ পরিশ্রম আর অধ্যবসায়ের উদযাপন।
নতুন পোশাক, নতুন উচ্ছ্বাস শুধু কালো গাউনেই সীমাবদ্ধ নয় সাজ। অনেকেই গাউনের নিচে পরেছেন বর্ণিল শাড়ি, সুদৃশ্য স্যুট, পাঞ্জাবি। সাজের এই প্রতিযোগিতা যেন বলছে-আজকের দিনটা সত্যিই বিশেষ।
প্রথমেই যা চোখে পড়ে, তা হলো শিক্ষার্থীদের মুখে সেই গর্বিত হাসি, চোখে স্বপ্ন। অনেকেই নতুন পোশাক পরেছেন, গাউনে ও টুপি সাজে সজ্জিত। নতুন সাজে সাজানো এই তরুণ-তরুণীরা যেন আজকের দিনের একেকটি নায়ক। কিছু শিক্ষার্থী নিজেদের মা-বাবার সঙ্গে ছবি তুলছেন, কেউ বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় ব্যস্ত, অন্যদিকে অনেকেই হুট করে সেলফি নিয়ে ছবি ভাগ করে নিচ্ছেন। একটু পরেই শুরু হবে তাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়—সনদ গ্রহণ। আজকের দিনটি তাদের জন্য যেন এক নতুন শুরু, আর এটি তাদের জীবনের সবচেয়ে বিশেষ মুহূর্ত।
ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মুনতাসির রাশেদ বলেন, আজকের দিনটার জন্য অনেক অপেক্ষা করেছি। নতুন পোশাক, ক্যামেরার সামনে হাসি—সব মিলিয়ে অন্যরকম এক অনুভূতি।
বন্ধুদের সঙ্গে ব্যস্ত ছবি তুলছিলেন মাহিরা সুলতানা। বললেন, আজকের দিনটা আর আসবে না। তাই স্মৃতিগুলো যত্ন করে ধরে রাখতে চাইছি।
সমুদ্রের বাতাসে বিদায়ের আবেগ
অনুষ্ঠানের মূল মঞ্চের পাশেই সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে শিক্ষার্থীরা। সামনের দিগন্তে নীল জলরাশি। সমুদ্রের বাতাস যেন তাদের প্রশান্তি দিচ্ছে, একইসঙ্গে মনে করিয়ে দিচ্ছে—আজ ক্যাম্পাস জীবনের শেষ দিন।
অনেকের চোখে আনন্দ, আবার অনেকের চোখে অশ্রু। স্নাতক শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান বললেন, এই বন্ধুত্ব, এই ক্লাস, গ্রুপ স্টাডি, ক্যান্টিনের আড্ডা—সবকিছুই মিস করবো।
স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী সাইয়্যেদ দাউদ বললেন, এই ডিগ্রি শুধু একটি কাগজ নয়, এটি পরিশ্রমের প্রতীক। সমুদ্রপাড়ে আজতের সময়টুকু, পাহাড়ের উপর সিআইইউ ক্যাম্পাস—সবকিছুই মনে থাকবে।
অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মতো অভিভাবকরাও ছিলেন আবেগপ্রবণ। সন্তানদের এমন অর্জন সরাসরি দেখতে পেয়ে গর্বিত তারা।
আইন বিভাগের রাফিয়া হোসেনের বাবা বললেন, আজ মেয়েকে সমাবর্তনের গাউন পরে দেখতে পেরে গর্বিত। এই অর্জনের পেছনে তার কঠোর পরিশ্রম ছিল।
এদিকে শিক্ষকরাও আবেগাপ্লুত। শিক্ষার্থীদের সফলতা দেখে তারা যেমন আনন্দিত, তেমনি কিছুটা আবেগীও।
সিআইইউর এক শিক্ষক বলেন, এই শিক্ষার্থীরা আমাদের গর্ব। আজ তারা নতুন দিগন্তে পা রাখছে। তাদের ভবিষ্যত উজ্জ্বল হোক।
সমুদ্রের গর্জন আর নোনাজলের বাতাসে বিদায় নিচ্ছেন সিআইইউর শিক্ষার্থীরা। তবে এই বিদায় শুধুই আনুষ্ঠানিক, স্মৃতি আর বন্ধুত্বগুলো থেকে যাবে আজীবন....
থিম সং আর সোনার বাংলার সুরে অনুষ্ঠান শুরু
এদিকে বেলা সাগে ১১টায় সমাবর্তন অনুষ্ঠানের শুরু হয় সিআইইউর থিম সং ‘শিক্ষা আমার অধিকার, গর্ব আমার সিআইইউ’ দিয়ে। সব শিক্ষার্থীরা একসঙ্গে গাইতে শুরু করেন, সুর আর কণ্ঠে মিলেমিশে হয়ে ওঠে একতাবদ্ধ। একেবারে পরবর্তী মুহূর্তে গাওয়া হয় ‘সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’, পুরো মাঠে এই সুর ছড়িয়ে পড়ে, যা শিক্ষার্থীদের মনে যেন নতুন প্রেরণা যোগায়। এই গানটি যেন আজকের দিনের অনুপ্রেরণা, শিক্ষার গৌরবকে তুলে ধরে।
অনুষ্ঠানটি শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই শুরু হয় পবিত্র ধর্মগ্রন্থগুলোর পাঠ, সবাই একযোগে শুনতে মনোযোগী হন।
২১৮৯ শিক্ষার্থীর স্বপ্নপূরণ:
এবারের সমাবর্তনে ২১৮৯ জন শিক্ষার্থী সনদ পাচ্ছেন। এর মধ্যে ১৪৫২ জন স্নাতক, ৭৩৭ জন স্নাতকোত্তর। ১৪ জন পাবেন ‘টপ অ্যাচিভার্স অ্যাওয়ার্ড’, আর ২ জনকে ‘ভ্যালেডিক্টোরিয়ান’ সম্মাননা দেওয়া হবে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীর মোহাম্মদ নুরুল আবসার বলেন, এই সমাবর্তন শুধু শিক্ষাজীবনের সমাপ্তি নয়, বরং শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ পরিশ্রমের স্বীকৃতি। তারা আজকের এই অর্জন দিয়ে ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে যাবেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ফাউজুল কবির খান। তিনি শিক্ষার্থীদের হাতে সনদ তুলে দেবেন।
বিশেষ অতিথিদের মধ্যে আছেন ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নুরুন আখতার, সমাবর্তন বক্তা হিসেবে শিল্পগ্রুপ ইয়ংওয়ান কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান কিহাক সুং।
পুলিশের তদন্তে জানা গেছে গত ৪ আগস্টের পর সারা দেশের ৪০টি মাজারে (মাজার/সুফি কবরস্থান, দরগা) ৪৪ বার হামলা চালানো হয়েছে। এসব হামলায় মাজার/দরগাহ এবং ভক্তদের ওপর হামলা, ভাঙচুর, মাজারের সম্পত্তি লুটপাট ও মাজারে আগুন দেওয়ার মট ঘটনা ঘটেছে।
সবচেয়ে বেশি সংখ্যক হামলার ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। এখানে ১৭টি মাজারে ভাঙচুর, লুটপাট করা হয়। এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগ ও ময়মনসিংহ বিভাগে যথাক্রমে ১০টি ও ৭টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। ময়মনসিংহ বিভাগের শেরপুর জেলায় একটি মাজারে চার বার হামলা হয়েছে।
গত ৪ আগস্টের পর সারা দেশের মাজারে হামলার বিষয়ে পুলিশের প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
৪৪টি হামলার ঘটনার সবকটিতেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এগুলোর মধ্যে বিভিন্ন থানায় সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার ভিত্তিতে বা পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ১৫টি নিয়মিত মামলা এবং ২৯টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। ফৌজদারি মামলায় মোট ২৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুটি নিয়মিত মামলায় এরই মধ্যে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। আরও ১৩টি নিয়মিত মামলা ও ২৯টি সাধারণ ডায়েরির তদন্ত চলছে।
এছাড়া সারাদেশে মাজার (মাজার, দরগাহ) নিরাপত্তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সমস্ত সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিদের পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। একইসঙ্গে স্থানীয়ভাবে বিবাদমান পক্ষগুলোর সঙ্গে শান্তি বৈঠকের আয়োজন করে সমস্যা সমাধানের পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে। কমিউনিটি পুলিশিং প্রচেষ্টার মাধ্যমে জনসাধারণ এবং ইসলামিক নেতাদের অংশগ্রহণ বজায় রেখে সংবেদনশীলকরণ কর্মসূচিতেও জোর দেওয়া হয়েছে।
প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, যেকোনও সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে। দোষীদের গ্রেফতারের জন্য ইতিমধ্যে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছে সরকার। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের ধর্মীয় স্থাপনাগুলোর (মাজার ও দরগাহ)নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়। সাম্প্রদায়িক সহিংসতার অভিযোগ নিতে পুলিশ ইতিমধ্যে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ করেছে। তারা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে।
সারা দেশে আজ অস্থায়ীভাবে মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পরে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। মেঘলা আকাশের কারণে তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে বলেও জানানো হয়।
গতকাল শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। তবে এই সময়ে সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। সেই সঙ্গে মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ অবস্থান করছে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে। আর এর বর্ধিতাংশ বিস্তৃত রয়েছে উত্তর পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত।
এদিকে আগামীকাল রোববার (১৯ জানুয়ারি) পূর্বাভাসে বলা হয়, এদিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। তবে এই সময়ে সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে।
অন্যদিকে আগামী সোমবার (২০ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আর এই সময়ে সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমতে পারে।