মধুমতি মডেল টাউন প্রকল্প উচ্ছেদের সিদ্ধান্তে প্রতিবাদ সমাবেশ
সাভারে মধুমতি মডেল টাউন প্রকল্প উচ্ছেদের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। উপজেলার আমিনবাজারে মধুমতি মডেল টাউনের সামনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মধুমতি মডেল টাউনের প্লট মালিক ও সেখানে বসবাসকারীরা মূল ফটকে মধুমতি মডেল টাউন প্রকল্প উচ্ছেদের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে জড়ো হন। পরে তারা সেখানে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আরিচামুখী লেনের পাশে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা।
মধুমতি মডেল টাউন প্লট মালিক ঐক্য সোসাইটির প্রেসিডেন্ট ও নান্দনিক হাউজিংয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট এডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুস সাত্তার বলেন, আদালতের একটি রায়ের প্রেক্ষিতে রাজউক সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমাদেরকে উচ্ছেদ করে দিবে। ২৫ বছর আগে এখানে জায়গা কিনেছি, রেজিস্ট্রি করেছি, মিউটেশন করেছি, খারিজ করেছি এবং এখানে আমরা বসবাস করছি। কয়েক হাজার লোক বাড়ি করে এখানে বসবাস করছেন। আদালতের রায়ে ছিল ডাবল টাকা ফেরত দেয়া হবে। এটা আরও ১২ বছর আগে অর্ডার দিয়েছিল কোর্ট। কিন্তু সেই টাকা আজ পর্যন্ত আমাদেরকে দেয়নি।
তিনি বলেন, আমাদের কারেন্ট, রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে আমাদের এখান থেকে উচ্ছেদ করবে । আমাদের দলিল আছে, খাজনা দেওয়া আছে, মিউটেশন করা আছে আমরা বৈধভাবে বসবাস করছি না। আমাদের ক্ষতিপূরণের টাকা যদি বর্তমান বাজারমূল্য এবং নিয়ম অনুযায়ী দেয়া হয় তাহলে আমরা চলে যাব। আমাদের কোন আপত্তি নেই।
মধুমতি হাউজিং সোসাইটির সভাপতি সৈয়দ মোশারফ হোসেন বলেন, আমরা নিজের টাকায় জমি কিনেছি। রেজিস্ট্রি করা জমি মিউটেশন করা জমি। বৈধভাবে আমরা জমি কিনেছি আমরা অবৈধ কোন কিছু করিনি। আমরা এখানে ২০ বছর যাবত বাড়িঘর করে আছি। আমরা তো অবৈধ না। রোহিঙ্গারা এই দেশে বসবাস করতে পারছে তাদেরকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে না অথচ আমাদেরকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বেলা (বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি) একটা চক্রান্ত শুরু করেছে বেলার স্বার্থে। এখানে জীবনে কখনো কোনদিন জলাভূমি ছিল না এটি ছিল নাল জমি। বৈষম্যমূলকভাবে এখান থেকে আমাদের উচ্ছেদ করার চেষ্টা করা হচ্ছে আমরা এর প্রতিকার চাই।
মধুমতি মডেল টাউন হাউজিং সোসাইটির সাংগঠনিক সম্পাদক সুজাউদ্দিন আহমেদ বলেন, বেলা কর্তৃক ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় আমাদের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক রায় হয়েছে। যে বৈষম্যমূলক রায় দেয়া হয়েছে সেখানেও বলা আছে যারা হার্ড মানি বিনিয়োগ করেছে তাদের স্বার্থ সংরক্ষণ করতে হবে। তাদের রিসিট মূল্যের দুই থেকে তিন গুণ টাকা ফেরত দিতে হবে। ক্ষতিপূরণ না দিয়ে রাজউক চক্রান্তমূলকভাবে আমাদের উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র করছে।