একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা বেড়েছে হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত দেশের সর্বোত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে। হিমশীতল বাতাস অব্যাহত রয়েছে। বেড়েছে শীতের প্রকোপ।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বিজ্ঞাপন
এর আগে শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। গত বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সারা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতা ৯৫ শতাংশ। প্রতি ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ ১১ থেকে ১২ কিলোমিটার।
গত বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সারা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর গত মঙ্গলবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বিজ্ঞাপন
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, গত তিনদিন জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে। তবে শুক্রবার শৈতপ্রবাহ কেটে গেছে। শৈতপ্রবাহ না থাকলেও জেলার ওপর দিয়ে উত্তরের হিমশীতল বাতাস বয়ে যাচ্ছে। হালকা কুয়াশার সঙ্গে বইছে উত্তরের ঝিরিঝিরি হিমেল বাতাস। সকালের হাড় কাঁপানো শীতের মধ্যেই গায়ে শীতের কাপড় জড়িয়ে কর্মজীবী মানুষ ছুটছেন কাজের সন্ধানে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, গত টানা ৩ দিন পঞ্চগড়ে সারা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। তবে শুক্রবার হঠাৎ করে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। আজ শনিবার সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতে সাময়িক সময়ের জন্য তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে শৈত্যপ্রবাহ কেটে গেছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেনের ভাতিজা ঠিকাদার জাহিদুল ইসলাম সজিবকে আটক করেছে হাতীবান্ধা থানা পুলিশ।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে হাতীবান্ধা উপজেলার হাটখোলা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়েছে।
আটককৃত, জাহিদুল ইসলাম সজিব হাতীবান্ধা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেনের ভাতিজা।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ফৌজদারি কার্যবিধি ৫৪ ধারায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেনের ভাতিজা জাহিদুল ইসলাম সজিবকে আটক করা হয়। সজিবের বিরুদ্ধে কোন মামলা আছে কিনা সে বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন বলে জানান পুলিশ।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহামুদুন নবী জানান, ফৌজদারি কার্যবিধি ৫৪ ধারায় তাকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে কোন মামলা আছে কিনা তা খোঁজখবর নিয়ে জানানো হবে।
গুঁড়িয়ে দেয়া আ'লীগ ও জাসদ কার্যালয় ব্যক্তি মালিকানার দাবি
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম,বগুড়া
|
ছবি: বার্তা২৪.কম
জাতীয়
বগুড়া শহরের সাতমাথা এলাকায় ছাত্র- জনতার গুঁড়িয়ে দেয়া জেলা আওয়ামী লীগ ও জেলা জাসদের কার্যালয় ব্যক্তি মালিকানা সম্পত্তি দাবি করে সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে।
শনিবার( ০৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বগুড়া শহরের সুত্রাপুর এলাকার উজ্জল নামের ব্যক্তি এই সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে দেন।
উজ্জলের বড় ভাই মিজানুর রহমান বলেন, ১৯৫২ সালে আমার দাদা কোরবান আলী ক্রয় সুত্রে ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ জায়গার মালিক। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের আগে পর্যন্ত জায়গা তার দখলে ছিল। দেশ স্বাধীনের পর জায়গা বেদখল হয়ে যায়। এনিয়ে আদালতে মামলাও হয়েছিল। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল জায়গা দখল করে তাদের অফিস করায় আমরা এতদিন দখলে নিতে পারিনি। এতদিন রাজনৈতিক দল গুলোর ভয়ে আমরা চুপ ছিলাম। ছাত্র জনতা গত বৃহস্পতিবার রাতে অফিস ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দিলে আমরা সাহস করে সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে দেই।
বগুড়া জেলা জাসদের সদস্য অ্যাডভেকেট আব্দুল লতিফ পশারি ববি বলেন,যারা মালিকানা দাবি করছে তাদের মামলা ১৯৯৪ সালে সিভিল কোর্ট মালিকানা খারিজ করে। এরপর মটর মালিক সমিতি মালিকানা দাবি করে মামলা করে। সেই মামলাও খারিজ হয়ে যায়। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ২০০৯ সালে এই জায়গা অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে রেকর্ড হয়।
তিনি আরও বলেন, ১৯৪৮ সাল থেকে সেখানে ছাত্রলীগের অফিস ছিল। ৭৩ সালে জাসদকে এক বছরের ইজারা দেয়া হয়। এরপর মামলার কারণে পরবর্তীতে আর ইজারা নবায়ন করা হয়নি।
বগুড়া সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভূমি) পলাশ চন্দ্র সরকার বলেন, থানা পুলিশের মাধ্যমে ঘটনাটি জেনছি। সেখানে সার্ভেয়ার পাঠানো হয়েছে। নথিপত্র দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঢাকা নৌ পুলিশের সহায়তায় যৌথ অভিযানে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে চোরাই বাল্কহেড কেটে বিক্রয় চক্রের সক্রিয় চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে নারায়ণগঞ্জ নৌ পুলিশ। এসময় পোস্তগোলা থেকে বাল্কহেডের কাটা অংশের প্রায় ৩০ টন ওজনের মালামালও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন নৌ-পুলিশ সদর দফতরের পুলিশ সুপার (মিডিয়া) কাজী নুসরাত এদীব লুনা।
পুলিশ সুপার জানান, ২৩ জানুয়ারি মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া থানাধীন বাউশিয়া ইউনিয়নের চর বাউশিয়া ফরাজীকান্দি নদীর ঘাট হতে ‘এমবি মাছিয়াতা দরবার শরীফ‘ নামের একটি বালুবাহী বাল্কহেডের স্টাফরা বালু আনার জন্য সিরাজগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এসময় বাল্কহেডের খরচ বাবদ নগদ টাকা ও প্রয়োজনীয় জ্বালানি তেলসহ নিয়ে যায় তারা। পরে বাল্কহেডের স্টাফরা বালুবাহী বাল্কহেডটি চুরি করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
তিনি বলেন, খবর পেয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি নৌ পুলিশের সদর দফতর নারায়ণগঞ্জ নৌ পুলিশকে দ্রুততার সাথে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের নৌ পুলিশ জোরদার অভিযান পরিচালনাসহ তাদের গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। ঢাকার শ্যামপুর থানার সহায়তায় নারায়ণগঞ্জ নৌ পুলিশ ও ঢাকা অঞ্চলের নৌ পুলিশের যৌথ অভিযানে পোস্তগোলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে শুক্রবার একজন আসামীকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। সেই সঙ্গে তার হেফাজত থাকা চোরাইকৃত বাল্কহেডটির ৪১১টি কাটা অংশ (যার ওজন প্রায় ৩০টন) উদ্ধার করা হয়। একই সময় ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে চোরচক্রের আরো তিনজন সহযোগীসহ মোট চারজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
এই সংক্রান্তে মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানায় মামলা করা হয়েছে এবং অনান্য সহযোগীদের গ্রেফতারে জোর অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানান তিনি।
ঝিনাইদহে বছরের পর বছর তামাক চাষ ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে ধানসহ বিভিন্ন রকমের ফসলের চাষ দিনদিন কমে যাচ্ছে। তামাক চাষিদের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে পেঁয়াজ চাষের ভরা মৌসুমেও পর্যাপ্ত সার পাচ্ছেন না চাষিরা। এরই মধ্যে জেলার শৈলকুপা ও হরিণাকুণ্ডুতে পেঁয়াজ ও অন্যান্য চাষিরা সার সংকটের অভিযোগ করেছেন। অন্যান্য ফসলের তুলনায় বেশি লাভজনক হওয়াই প্রতিবছর সর্বনাশা তামাক চাষে আগ্রহী হচ্ছে এই অঞ্চলের চাষিরা।
এদিকে তামাকজাত পণ্যে বেশি ভ্যাট আরোপ ও বিজ্ঞাপনে নিষেধাজ্ঞা দিলেও তামাক চাষে কৃষকদের নিরুৎসাহীত করা যাচ্ছে না। ফলে কমে যাচ্ছে খাদ্যজাত, ডাল ও মসলা জাতীয় ফসলের উৎপাদন। এছাড়া চরম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন এলাকার সাধারণ মানুষ। এলাকাবাসী জানান, তামাক চাষের জন্য প্রান্তিক কৃষকদের বিভিন্ন সিগারেট কোম্পানি অগ্রিম সার, টাকাসহ নানাভাবে প্রলোভন দিচ্ছে। ফলে কৃষকরা অন্য ফসলের পরিবর্তে তামাক চাষে ঝুঁকছে।
জানা যায়, বিগত ৪ বছরে জেলায় তামাক চাষ বেড়েছে প্রায় দ্বিগুন। জেলাশহর তলীতে ব্রিটিশ অ্যামেরিকান টোব্যাকোর তামাক ক্রয় কেন্দ্র থাকায় হাতের কাছে একটি নিশ্চিত বাজার তৈরি হয়েছে। সরকারের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রয়োগ ও মনিটরিং নেই বলেই বেশি লাভের আশায় কৃষক তামাক চাষে ঝুঁকছে এমন অভিযোগ সচেতন মহলের। তামাকের বেশি ফলন পেতে অতিরিক্ত সারের ব্যবহারে জেলার বিভিন্ন জায়গায় সারের সংকট দেখা দিয়েছে। জেলার ৬টি উপজেলায় কম-বেশি তামাক চাষ হলেও হরিণাকুণ্ডু, শৈলকুপা, সদর ও মহেশপুরে বেশি হয়।
ঝিনাইদহ কৃষি বিভাগ বলছে, ব্রিটিশ-অ্যামেরিকান টোব্যাকো, জাপান টোব্যাকো ইন্টারন্যাশনালসহ অন্যান্য তামাক বাজারজাতকারী কোম্পানিগুলো চাষিদের তামাক চাষে উদ্বুদ্ধ করছে। তারা তামাকের চারা রোপণ থেকে শুরু করে সার-কীটনাশক কেনার জন্য কৃষকদের অগ্রিম টাকা প্রদান করে ও উৎপাদিত তামাক কেনার নিশ্চয়তা দেয়। এই কারণে খাদ্যজাতীয় ফসল বাদ দিয়ে এই অঞ্চলের কৃষকরা তামাক চাষের দিকে ঝুঁকছে।
ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সংগৃহীত তথ্যমতে, জেলায় ২০২১-২২ অর্থবছরে ১৬০ হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হয়। পরের বছর ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২৫১ হেক্টর জমিতে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১৯৩ হেক্টর ও ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ২২৪ হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে জেলার মহেশপুর উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ৮৪ হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছর থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছর পর্যন্ত হরিণাকুণ্ডু উপজেলাতে ১২৪ হেক্টর, ১০২ ও এবছর সর্বচ্চো ১৫৫ হেক্টর জমিতে তামাকের চাষ করা হয়েছে।
হরিণাকুণ্ডু উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরীফ মোহাম্মদ তিতুমীর বলেন, উপজেলায় সবচেয়ে বেশি চাঁদপুর ইউনিয়নে তামাক চাষ করা হয়েছে। তামাক চাষিরা তামাক বাজারজাতকারী কোম্পানির নিকট থেকে অগ্রিম আর্থিক সহায়তা পেয়ে থাকে। একারণে চাষিরা তামাক চাষে ঝুকছে। তামাক চাষিদের চাহিদার কারণে অন্যান্য চাষিরা চাহিদা অনুযায়ী সার পাচ্ছে না। ফলে অন্যান্য ফসলের আবাদ ব্যহত হচ্ছে।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার উদয়পুর গ্রামের তামাক চাষি বিপ্লব বলেন, আলু-পেঁয়াজ চাষ করলে বাজারে কতদামে বিক্রি হবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই। কিন্তু তামাক চাষ করলে দেশে যুদ্ধ বাধুক বা দুর্ভীক্ষ হোক বিঘা প্রতি ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা লাভ দেয় কোম্পানি। একারণে তামাক চাষ করা। তিনি বলেন, গতবছর আমার ১০ বিঘা জমিতে তামাকের চাষ ছিল, এবছরও ১০ বিঘা করেছি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক বিঘা জমিতে ৫০০-৬০০ কেজি তামাক উৎপাদন হয়। গতবছর কৃষকের কাছ থেকে কোম্পানি ২২৬ টাকা দরে প্রতিকেজি তামাক ক্রয় করেছে। উৎপাদিত তামাকের বিক্রি নিয়ে কোনো ঝামেলা পোহাতে হয় না। তামাকের বাজার স্থীর। কোম্পানিই কৃষকের কাছ থেকে সব তামাক কিনে নেয়। তামাক চাষে নিশ্চিত লাভ দেখে কৃষকরা অন্যান্য ফসল বাদ দিয়ে তামাক চাষে আগ্রহী হচ্ছে।
হরিণাকুণ্ডু উপজেলার বড়-ভাদড়া গ্রামের কৃষক লিটন মোল্লা বলেন, এবছর এক বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছিলাম কিন্তু পরিপক্ক করে ক্ষেত থেকে তুলে বাজারে নিয়ে গিয়ে যে দামে বিক্রি করেছি তাতে বীজের দামই ওঠেনি। পানের বরজ আছে। বাকি টাকায় সার-কিনতে গেলে সারের ডিলাররা আমাদেরকে দিচ্ছে না। তামাক চাষিরা নগদ টাকায় সার কিনে ক্ষেতে দিচ্ছে। তামাকের ক্ষেতে সার লাগে বেশি। যেকারণে আমাদের ইউনিয়নে ঢ্যাপ সারের সংকট দেখা দিয়েছে।
সরকারের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন নিয়ে কাজ করা এনজিও পদ্মা সমাজ কল্যাণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, তামাক চাষিদের বাজারের একটা নিশ্চয়তা রয়েছে যা অন্যান্য ফসল চাষিদের বেলায় নেই। তামাক চাষিদের কোম্পানি থেকে অগ্রিম অর্থ প্রদান করা হয় কিন্তু অন্যান্য ফসলের ক্ষেত্রে ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়া খুব কষ্টের বিষয়। অন্যান্য ফসলের বাজারের অনিশ্চয়তা থেকেই মানুষ তামাক চাষে আগ্রহী হচ্ছে। তাছাড়া সরকার তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সঠিক প্রয়োগ ও মনিটরিং করেনা। কৃষি বিভাগও চাষের সঠিক পরিমাণ প্রকাশ না করে গোপন রাখে। তামাক যে একটি ক্ষতিকারক আবাদ এটা কৃষকরা জানেই না। যেকারণে তারাও নির্দিধায় চাষ করে যাচ্ছে। সরকার তৎপর হলেই ক্যাবল তামাক নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।
ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ও জেলা তামাক নিয়ন্ত্রণ কমিটির সদস্য কৃষিবিদ ষষ্টি চন্দ্র রায় বলেন, আমরা তামাক চাষিদের বিকল্প ফসল চাষে উৎসাহিত করছি। তামাক কোম্পানিগুলো চাষিদের অগ্রিম অর্থ দেয় বলে জেনেছি। সরকার তামাক চাষ নিষিদ্ধ করেনি। কিন্তু আমরা নিয়মিত বিকল্প চাষে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি। আশা করা যায়, আগামীতে তামাক চাষ এই জেলায় কম হবে।