ধানমন্ডি ৩২-সহ বাংলাদেশে সাম্প্রতিক ভাঙচুরের পরিস্থিতির জন্য ভারতও দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এই মুহূর্তে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তার জন্য পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতও দায়ী। আমাদের দেশ থেকে যিনি পালিয়ে গিয়েছেন উনাকে আশ্রয় দিয়েছেন, কথা বলার সুযোগ দিয়েছেন। যার কারণে ভারতে বসে ঘৃণা ছড়ানোর সুযোগ পাচ্ছে।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৭টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।
এসময় উপ প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে ভারত সরকারকে নির্দেশ করা হয়েছে যাতে শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানো হয়, বাংলাদেশের আদালতও বলেছে। বাংলাদেশে গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাবুনাল কর্তৃক গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি শেখ হাসিনা ভারতে বসে বসে উস্কানি ছড়াচ্ছেন। গ্রেফতারি পরোয়ানার পর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নোট অব ভারভারাল পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এর কোনো প্রতি উত্তর এখনও ভারত জানায়নি। ফলে সেখানে থেকে শেখ হাসিনার বক্তব্যের কারণে দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি ভারত আমাদের সাথে প্রতিবেশীসুলভ আচরণ করবে। আমাদের দেশে গণহত্যা যিনি চালিয়েছেন তাকে বিচারের মুখোমুখি করার মানুষের যে আকাঙ্ক্ষা এটি পূরণে ভারত সহযোগিতা করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
উপ প্রেস সচিব আরও বলেন, সাম্প্রতিক ভাঙচুরের বিষয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট। সরকার একাধিক বিবৃতি দিয়ে অবস্থান পরিষ্কার করেছে।
চট্টগ্রাম বন্দর প্রসঙ্গে বলেন, সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার দাভোস সফরে তিনি অনেকগুলো বৈঠক করেছেন। চট্টগ্রাম বন্দরকে কেন্দ্র আরো বিদেশি বিনিয়োগের বিষয়ে তিনি আহ্বান জানিয়েছেন।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আজাদ মজুমদার বলেন, পণ্য আমদানির বিভিন্ন ধাপসহ কোথায় কোথায় সঙ্গতি আছে, তা চট্টগ্রামের সাংবাদিকরা প্রতিবেদন করার মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে তুলে ধরতে পারেন।
সরকারের প্রেস উইং গুজব ও অপতথ্যের বিরুদ্ধে কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিশ্ব খ্যাতনামা সংবাদ মাধ্যমও বাংলাদেশের বিষয়ে অপতথ্য ছড়িয়েছিল। প্রেস উইং এটি শক্তভাবে মোকাবেলা করেছে। সেই সংবাদ মাধ্যম পরে ভুল তথ্য সরিয়ে নিয়েছে।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অন্তর্বর্তী কালীন কমিটির সদস্য মুস্তফা নঈমের সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সদস্য সচিব জাহিদুর রহমান কচি, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান, প্রেসক্লাবের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি কাজী আবুল মনসুর প্রমুখ।