বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শিক্ষক পরিষদের (বিএনটিসি) মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মোহাম্মদপুরের টোকিও স্কয়ারের রোজমেরি হলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুস সালাম শিক্ষকদের উদেশ্যে বলেন, আপনারা যারা শিক্ষক আছেন তারা আজকে থেকেই দায়িত্ব নিবেন যাতে আগামী নির্বাচন পরিচালনাটা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে করা যায়। এর জন্য কি কি করা যায় সেটা আপনারাই সিদ্ধান্ত নেবেন। প্রয়োজনে আমাকে বলবেন কোন কাজটা করলে ভালো হয়।
আপনারা বলেছেন আগামী নির্বাচনটা কঠিন হবে। আমি মনে করি আমরা যদি সবাই একসাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে পারি তাহলে আগামী নির্বাচন অনেক সহজ হবে।
দেশের মানুষ গত ১৭ বছর দেখেছে। তারা গত ৫০ বছর ধরে দেখছেন এদেশের রাজনীতিতে কার কি অবস্থা, কোন দলের কি অবস্থান। রাজনীতি শুধু মুখে বলা বা টাকা পয়সা যোগার করে ভোট কিনে নিলাম সেটাই রাজনীতি, এই রাজনীতি চলবে না। আমাদের নেতা জিয়াউর রহমান প্রমান করে দিয়েছিলেন যে রাজনীতি করতে হলে জনগণের কাছে যেতে হবে। জনগণের পাশে থাকতে হবে। রাজনীতি করতে হলে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতে হবে। চুরি বাটপারি করা যাবে না। জবরদখল করা যাবে না। শহীদ জিয়াউর রহমান রাজনীতিতে এই অবস্থানটা ফিরিয়ে এনেছিলেন। কিন্তু গত ১৬-১৭ বছরে হাসিনা সেটা শেষ করে দিয়েছে। রাজনীতিটাকে স্বচ্ছতার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ম্যাক জিনিয়াস স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা মো. কামরুল হাসান বলেন, শিক্ষক হিসেবে আপনারা প্রত্যেকে হচ্ছেন এক একটা ইনস্টিটিউশন। তাই আমি মনে করি এখানে অনেকগুলো ইনস্টিটিউশন উপস্থিত আছে।
তিনি বলেন, আমরা যে নেতার আদর্শ ধারণ করে চলি তিনি রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিল মাত্র ৪ বছর। উনি যখন রাষ্ট্র ক্ষমতা গ্রহণ করেন ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল। আর ৩০ এপ্রিল তিনি ১৯ দফা দেন। আর আজকে আমাদের যে ৩১ দফা তার সাথে মিল আছে। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান একজন ভিশনারী লিডার ছিলেন, ১৯৭৭ সালের ৩০ এপ্রিল আর্থ সামাজিক উন্নয়ন কর্মসূচি হিসাবে ১৯ দফা কর্মসূচি গ্রহন করেন। সেখানে রাষ্ট্রের সকল সংস্কারের উপাদান ছিল, শিক্ষকরা হচ্ছে সমাজের দর্পন,ওনাদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা জানতে পারবেন শহীদ রাস্ট্রপতি কতো ভিশনারী লিডার ছিলেন।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক মুহাম্মাদ লিয়াকত আলী।
এছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন মকবুল হোসেন কলেজের উপাধ্যক্ষ নূরে আলম নীরব, মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজের অধ্যাপক আশরাফ আলী সুমন, অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক, জামিলা আইনুল আনন্দ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ মোজাম্মেল পাটোয়ারী, মোহাম্মদপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো.হাসিবুর রহমান ও শিক্ষক প্রতিনিধি, মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক শেখ ফরিদ হোসেন, লালমাটিয়া মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান, মোহাম্মদপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও শিক্ষক প্রতিনিধি মো.হাসিবুর রহমান প্রমুখ।