কুমিল্লা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোস্তাফিজ রহমান লিটন ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ভূইয়াসহ কুমিল্লা আদালতের ২০ আইনজীবীকে বহিষ্কারের দাবি করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীসহ জেলার আইনজীবীরা। এ নিয়ে বেশ ক্ষুব্ধ কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্যরা
গত বৃহস্পতিবার বৈষম্যবিরোধীরা ওই ২০ আইনজীবীর নাম ও ছবিসংবলিত ব্যানার জেলা আইনজীবী সমিতির ভবনের সামনে টাঙিয়েছেন। একইদিন সন্ধ্যা ছয়টার দিকে কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান (লিটন) ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম ভূঞার কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। শিক্ষার্থীরা বলেন,আন্দোলনের সময় এই আইনজীবীদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে, এরা কুমিল্লার আদালতে ঢুকতে পারবে না।
অভিযোগ সূত্র জানা যায়, মোস্তাফিজুর রহমান পিপি থাকা অবস্থায় বিএনপির আইনজীবীদের কোর্টে ঢুকতে দেয় নি এবং বেগম খালেদা জিয়ার মামলার সময় সে কোন শুনানি করতে দেয় নি। ঠাকুরপাড়ার এলাকা বাসী এডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে ও বহিষ্কারের জন্য আইনজীবী সমিতির অফিসে সমগ্র এলাকা বাসী স্বাক্ষর করে অভিযোগ করেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা মহানগরের আহ্বায়ক আবু রায়হান বলেন, আওয়ামী লীগের দোসর এই আইনজীবীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলাকারী ও হত্যাকারীদের বাঁচাতে বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করছেন। তাই কুমিল্লা আদালতের ২০ চিহ্নিত আওয়ামী আইনজীবীর ছবিসহ ব্যানার টাঙানো হয়েছে। কুমিল্লায় আওয়ামী ফ্যাসিবাদের কোনো ঠাঁই হবে না। যেখানে ফ্যাসিবাদ, সেখানেই প্রতিরোধ করা হবে।
এ প্রসঙ্গে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম ভূইয়া বলেন, ‘জুলাই–আগস্টের মামলায় আসামিদের আইনি সহায়তা দেওয়া যাবে না, এমন কোন সরকারি প্রজ্ঞাপন বা নির্দেশনা আমরা পাইনি। আইনজীবীরা আইনজীবী হিসেবেই দায়িত্ব পালন করে থাকেন। এ ছাড়া বাংলাদেশের সংবিধান ও বার কাউন্সিলের বিধান অনুযায়ী, কোন মামলার বাদী বা আসামিকে আইনগত সহায়তা দিতে হয়।’
এ বিষয় জানতে মোস্তাফিজুর রহমানকে (লিটন) একাধিক কল দিয়েও পাওয়া যায়নি।