বাগেরহাটে ওএমএসের ৬০০ বস্তা চাল জব্দ, গ্রেফতার ২
-
-
|

ছবি: বার্তা ২৪
বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট কেরামত আলী মার্কেটে একটি ব্যক্তিগত গোডাউন থেকে ৬শ' বস্তা ওএমএস (খোলাবাজারে বিক্রির জন্য) সরকারি চাল জব্দ করেছে পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ফকিরহাট মডেল থানার পুলিশ এ চাল জব্দ করে। এ সময় চাল কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গোডাউন থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা হলেন ফকিরহাট উপজেলার কাথলী গ্রামের প্রফুল্ল মজুমদারের ছেলে আশাতীত মজুমদার (২১) ও বারাশিয়া গ্রামের দাবির উদ্দীন ভূইঁয়ার ছেলে আব্দুর রসূল (৪৫)। আশাতীত হলেন ‘মজুমদার ভান্ডার’ নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও গোডাউনের মালিক প্রফুল্ল মজুমদারের ছেলে এবং আব্দুর রসূল ওই গোডাউনের কর্মচারী।
পুলিশ জানায়, নিম্ন আয়ের মানুষকে স্বস্তি দিতে সরকারের ওএমএস কার্যক্রমের আওতায় সারাদেশে কম মূল্যে চাল বিক্রি চলছে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে মজুমদার ভান্ডার নামক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের গোডাউনে সরকারি খাদ্য অধিদপ্তরের লোগোযুক্ত ৩০ কেজির ৬শ' বস্তা ওএমএসের চাল গোপনে বিক্রির উদ্দেশ্যে অন্য বস্তায় ভরে। এসময় অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে সরকারি চাল সহ ২জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে উক্ত চাল জব্দ করা হয়।
মজুমদার ভান্ডারের মালিকের ছেলে আশাতীত মজুমদার জানান, বগুড়ার করতোয়া চাউল কলের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান মেসার্স আসিফ এন্টারপ্রাইজ থেকে তারা ৩০ কেজি ওজনের ৬৬৭ বস্তা ওএমএসের চাল ৯ লাখ ৩৪ হাজার টাকায় ক্রয় করেন। বুধবার সকালে সেই চাল গোডাউনে পৌঁছালে বিভিন্ন দোকানে পাইকারী ও খুচরা বিক্রির জন্য নুরজাহান রাইস নামে একটি জনপ্রিয় ব্রান্ডের বস্তায় পরিবর্তনের কাজ শুরু করেন। রাত ৯টার দিকে পুলিশ এসে তাকে ও একজন কর্মচারীকে গ্রেফতার করেন এবং খাদ্য অধিদপ্তরের লোগোযুক্ত সব চাল জব্দ করেন।
ফকিরহাট মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম আলমগীর কবীর বলেন, রাতে অভিযান চালানোর পর তাৎক্ষণিকভাবে চালের বস্তাগুলো জব্দ করা হয়েছে। বস্তাগুলো থানা হেফাজতে নেওয়ার কাজ শুরু করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।