রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সাম্প্রতিক সময়ের আলোচিত সন্ত্রাসী শুটার আনোয়ার ওরফে কবজি কাটা আনোয়ার ৭ জনের হাতের কবজি কেটেছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
সংস্থাটি বলছে, মোহাম্মদপুর, আদাবর ও রায়েরবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় মাদক, ছিনতাই ও চাঁদাবাজির রাজত্ব গড়ে তুলেছে। এই রাজত্ব গড়তে গিয়ে আনোয়ার ৭ জনের কবজি কাটাসহ বহু মানুষকে কুপিয়ে আহত ও পঙ্গু করেছে। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর আগারগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব-২।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান র্যাব-২ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি খালিদুল হক হাওলাদার।
তিনি বলেন, র্যাবের হাতে গ্রেফতারের পর আনোয়ার স্বীকার করেছে তিনজনের কবজি কেটেছে কিন্তু আমাদের তদন্তে দেখা গেছে আনোয়ার ৭ জনের কবজি কেটেছে।
টার্গেট ব্যক্তির ওপর হামলা ও ছিনতাইয়ের সময়ে আনোয়ারের স্টাইল হলো, যে ব্যক্তির ওপর হামলা করা হবে তার আশেপাশের রাস্তায় কৃত্রিম যানজট সৃষ্টি করে। এরপর তারা যানজট কমাতে সহযোগিতা করার নামে কৃত্রিম ব্লক সৃষ্টি করে। পরবর্তী আনোয়ার এসে টার্গেট ব্যক্তির ওপর হামলা করে। পাশাপাশি সে আসার আগে সামনে ও পেছনে একাধিক টিম থাকে।
এক প্রশ্নের জবাবে র্যাব-২ এর অধিনায়ক বলেন, গত ৫ আগস্টের পর যৌথ বাহিনীর অভিযানে পাঁচ শতাধিক ছিনতাইকারী গ্রেফতার করেছি। মোহাম্মদপুরে অপরাধের সংখ্যা শূন্যে নামিয়ে আনব।
মোহাম্মদপুরে আগে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় অপরাধ হতো। কিন্তু পরিবর্তিত সময়ে এসে কারা অপরাধীদের মদদ দিচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যখন সামাজিক অস্থিরতা শুরু হয়, আপনারা জানেন ৫ আগস্টের পর একটি রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়। এই পরিবর্তনের জের ধরে সন্ত্রাসীরা তৎপর হয়ে ওঠে। ৫ আগস্টের পর মোহাম্মদপুরে যে পরিমাণ অপরাধ বেড়েছিল আমরা যৌথভাবে অভিযান করে জেনেভা ক্যাম্পসহ মোহাম্মদপুরের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কাজ করছি। মোহাম্মদপুর ও আদাবর কেন্দ্রিক কোনো সন্ত্রাসী ও গডফাদারের স্থান হবে না।
আনোয়ারের মদদ দাতাদের বিষয় জানতে চাইলে র্যাব-২ এর এক কর্মকর্তা বলেন, আমারা আনোয়ারের পেছনে দীর্ঘদিন লেগেছিলাম। আমাদের কাছে তথ্য আছে মোহাম্মদপুরের এক্সেল বাবু নামে এক ব্যক্তি তাকে মদদ দিচ্ছে। সে আড়ালে থেকে আনোয়ারকে ছত্রছায়া দেয়। আমরা কাজ করছি তথ্য প্রমাণ পেলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে।