'বিজিবি না ডাকলে নো-ম্যানস ল্যান্ডে কেউ আসবেন না’: বিজিবি অধিনায়ক
-
-
|

ছবি: সংগৃহীত
‘আমাদের ট্রেনিং আছে, আমাদের হাতে অস্ত্র আছে, মনোবল আছে। সীমান্তে আমরাই আগে ডিল করবো। বিজিবি না ডাকলে নো-ম্যানস ল্যান্ডের পাশে কেউ এসে ব্যাঘাত ঘটাবেন না।' কথাগুলো বলছিলেন মহানন্দা ব্যাটালিয়ন ৫৯ বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্নেল গোলাম কিবরিয়া।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বিকালে জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার বিনদপুর ইউনিয়নের চৌকা সীমান্ত এলাকার বাখেরআলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সীমান্তে চোরাচালান রোধে জনসাধারণের নিরাপত্তায় সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।পাশাপাশি চোরাচালান রোধে, দেশের সীমান্ত সুরক্ষায় ও নাগরিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিজিবিকে সব ধরনের সহযোগিতা করার আহ্বান জানান ৫৯ বিজিবি অধিনায়ক।
পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকদের ধন্যবাদ। তারা শুরু থেকে সত্য সংবাদ প্রকাশ করে আসছে। অনেকে অনেক রকম গুজব ছড়াচ্ছে তা থেকে আমাদের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আজহার আলী, শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম কিবরিয়া, ৫৯ বিজিবির সহকারী পরিচালক মো. বেলাল ওসি, শাহবাজপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. তোজাম্মেল হক, সোনামসজিদ বিওপির কোম্পানি কমান্ডার শাহজাহানসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, পেশাজীবী নেতা, স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষক, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের ৮ জানুয়ারি (বুধবার) চৌকা সীমান্তে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে বিএসএফ সদস্যরা তাদের সীমান্তবর্তী জনগণকে সাথে নিয়ে নো-ম্যান্স ল্যান্ড থেকে ৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সীমান্ত সুরক্ষার নামে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ শুরু করলে বাধা দেয় ওই সীমান্তে দায়িত্বরত ৫৯ বিজিবির সদস্যরা। এ সময় তাদের সাথে দেশ রক্ষার্থে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সীমান্তে জড়ো হয় হাজারো বাংলাদেশি নাগরিক। পরে বিজিবির বাধায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ বন্ধ করলেও ১০ দিন পর ১৮ জানুয়ারি (শনিবার) সীমান্তবর্তী জমির গম কাটাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়ায় দুই দেশের সীমান্তের বাসিন্দারা। এতে কয়েকজন বাংলাদেশি আহত হন। ওই সময় বিজিবির পক্ষ থেকে পতাকা বৈঠকের আহ্বান করা হলে বিএসএফ এই সংঘর্ষের জন্য দু:খ প্রকাশ করে বিএসএফ। বর্তমানে সীমান্তের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।