ফটিকছড়িতে আধিপত্য বিস্তারের জেরে বিএনপি কর্মীকে হত্যা

  • স্টাফ করেসপনেড্নট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুরে আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে মো. শহীদ (৩২) নামের এক বিএনপি কর্মীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় চন্দনা নামের এক নারীও আহত হন।

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার দাঁতমারা ইউনিয়নের বড় বেতুয়া সেলিমের দোকান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

বিজ্ঞাপন

নিহত শহীদ কুমিল্লার সাইফুল ইসলামের ছেলে। ফটিকছড়ি উপজেলার সেমুতাং গ্যাস ফিল্ড সংলগ্ন কালাপানি এলাকায় তার শ্বশুরবাড়ি। আ.লীগ সরকার পতনের পর শহীদ বড় বেতুয়া এলাকায় আমান নামের এক বন্ধুর বাড়িতে থাকতেন। তিনি উপজেলা বিএনপি নেতা মো. সরোয়ার আলমগীরের অনুসারী ছিলেন। রাজনৈতিক কোন্দলে এ হত্যাকাণ্ড বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

বিএনপির একটি পক্ষ বলছে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই এ হত্যাকাণ্ড। অন্যদের দাবি, অপকর্মে অতিষ্ট হয়ে স্থানীয় লোকজন শহীদকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয়রা জানায়, উপজেলা বিএনপির নেতা মো. সরোয়ার আলমগীর ও আজিম উল্লাহ বাহার চৌধুরীর অনুসারীদের দুই গ্রুপের আধিপত্য বিদ্যমান দীর্ঘদিন ধরে। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে গত ৫ আগষ্ট আ.লীগ সরকার পতনের পর থেকে এলাকায় বালুর মহাল দখল, চুরি ও বিভিন্ন অপকর্মে দুই গ্রুপের লোকজনের মধ্যে বিরোধ চলে। সেখানে শহীদের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ হাত ছিল। ফলে দুই পক্ষই নিজেদের অবস্থান পাকাপোক্ত করতে আধিপত্য বিস্তারে মরিয়া হয়ে উঠেন।

আলমগীরের অনুসারী দাঁতমারা ইউনিয়ন বিএনপির নেতা মো. একরামুল হকে অভিযোগ, প্রতিপক্ষের স্থানীয় নেতা আহমদ সাফার নেতৃত্বে সায়েদ, রফিক, সোহেল, রুবেলসহ ২০-৩০ জন তাকে রড় ও লাঠি-সোটা দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে।

তিনি বলেন, শহীদ সরোয়ার আলমগীর ভাইয়ের অনুসারী ছিলেন। বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার হওয়া দরকার।

তবে বিষয়টি দলীয় নয়, ব্যক্তিগত বলে দাবি করছেন বাহারের অনুসারী দাঁতমারা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. বোরহান উদ্দিন। তিনি বলেন, শহীদ বেতুয়া এলাকায় অবস্থান নিলে বিক্ষুদ্ধ লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে তার ওপর চড়াও হয় এবং মারধর করেন। আহত অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যু হয়। পরে হামলাকারীরা পালিয়ে যান। শহীদ বিএনপির একজন সমর্থক মাত্র। ফলে বিষয়টি দলীয় নয়, ব্যক্তিগত।

ভূজপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুবুল হক বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতাল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

তিনি বলেন, ঘটনায় স্থানীয় বিএনপির গ্রুপিং বিষয়টি জড়িত থাকতে পারে। আমরা বিস্তারিত খবর নিচ্ছি। এই ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।