বিনা উদ্ভাবিত সরিষার সুবাদে দুই ফসলের জমিতে হবে তিন ফসল

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

দ্বিফসলি জমিতে দুটি ধানের চাষের মধ্যবর্তী সময়ে মাত্র ৮০ দিনের মধ্যেই উচ্চ ফলনশীল জাতের সরিষা উৎপাদন করা সম্ভব বলে দুই ফসলের জমিতে তিন ফসল চাষ করা যাবে বলে জানিয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃষি বিভাগ।

বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট-বিনা উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল জাত বিনা সরিষা-১১ জাতের সরিষায় দেশী জাতের থেকে বিঘা প্রতি ২-৩ মণ করে বেশি ফলন পাওয়া যাবে বলেও জানিয়েছে তারা।

বিজ্ঞাপন

রোববার (০২ ফেব্রুয়ারী) সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের চরবাগডাঙ্গায় মাঠ দিবসের অনুষ্ঠানে এসব তথ্য দেন, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।

মাঠ দিবসের অনুষ্ঠানে বিনার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও কৃষি বিভাগের কর্মকতারা জানান, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট-বিনা উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল জাত বিনা সরিষা-১১ রোপনের ৮০-৮৩ দিনের মধ্যেই ফলন দেয়। পাশাপাশি এর গাছ বড় হওয়ায় জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার উপযোগী। এমনকি দেশী জাতের সরিষার তুলনায় এর রোগ-বালাই অনেক কম। দেশী জাতের সরিষা যেখানে বিঘা প্রতি ৩-৪ মণ ফলন দেয়, সেখানে বিনা-১১ জাত বিঘা প্রতি ৬ মণ সরিষা উৎপাদন হয়।

বিজ্ঞাপন

মাঠ দিবসের অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট-বিনার মহাপরিচালক ড. মো. আবুল কালাম আজাদ। এসময় তিনি বলেন, ভোজ্য তোলের চাহিদা মেটাতে সবচেয়ে ভালো বিকল্প হতে পারে সরিষা চাষ। তাই সরিষার চাষাবাদ বাড়াতে হবে। সেক্ষেত্রে উচ্চ ফলনশীল বিনা সরিষা-১১ কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে। কারন এই জাতটি যেমন একদিকে ফলন বেশি দেয়, তেমনি রোগবালাইও কম।

মাঠ দিবসে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. পলাশ সরকার উপস্থিত কৃষকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, জমিতে সারের দাম কম বলে অতিরিক্ত প্রয়োগ করা যাবে না। কৃষি কর্মকর্তাদের সাথে পরামর্শ করে সঠিক নিয়মে সঠিক পরিমাণে সার প্রয়োগ করবেন। কারন অতিরিক্ত সার প্রয়োগে মাটির গুণাগুণ নষ্ট হয়। সয়াবিনে তেল কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি করা হয়। এটি বিভিন্ন রকম ক্যান্সারের কারন। তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এর বিকল্প হতে পারে সরিষার তেল। সরিষার তেল সব খাবারে ব্যবহার করা যায়। তবে নতুন জাতগুলো চাষাবাদ করতে হবে। কারন এসব জাত উচ্চ ফলনশীল।

বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট-বিনা'র গবেষণা কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বিনা চাঁপাইনবাবগঞ্জ উপকেন্দ্র মাঠ দিবসের আয়োজন করে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সহযোগিতায় সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের গোয়ালডুবি গ্রামে এই মাঠ দিবস আয়োজন করা হয়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. পলাশ সরকারের সভাপতিত্বে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিনা'র গবেষণা কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ শীর্ষক প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মাহবুবুল আলম তরফদার, উপ-প্রকল্প পরিচালক ড. মোহাম্মদ আশিকুর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ বিনা উপকেন্দ্র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. মো. আজাদুল হক, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সুনাইন বিন জামান।