ফরিদপুরে আধিপত্য নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২৫

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফরিদপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে গুরুতর আহত ১২ জনকে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, দুই জন কে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ ও এক জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের খাইরদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

বিজ্ঞাপন

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ও ঘারুয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষক দলের সভাপতি করিম মোল্লার মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। গত ২৫ জানুয়ারি ঘারুয়া ইউনিয়নে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে খারদিয়া গ্রাম থেকে কৃষক দলের একটি মিছিল বের করলে প্রতিপক্ষ বিএনপি নেতা আনোয়ারের লোকজন বাধা সৃষ্টি করে। এ নিয়ে কয়েকদিন ধরে এলাকায় উভয় দলের মাঝে থমথমে অবস্থা বিরাজ করতে থাকে।

এছাড়াও শনিবার আনোয়ার, ঘারুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নয়ন খা, ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ইয়াদ আলী মীর, মন্নু ও ইউনিয়ন যুবলীগে যুগ্ম সম্পাদক চান মিয়াকে নিয়ে খিচুড়ি খাওয়ার আয়োজন করেন। পূর্বের জের ধরে আনোয়ারের গ্রুপের লোকজন সঙ্গবদ্ধ হয়ে প্রথমে তারা রবিবার সকালে শরিফাবাদ বাজারে মহড়া দেয়।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে ঘারুয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষক দলের সভাপতি করিম মোল্লা জানান, ৫ আগস্টের পরে বিএনপি নেতা আনোয়ার, আওয়ামী লীগের লোকজনকে সাথে নিয়ে আমাদের ওপর অত্যাচার করে, গত ২৫ জানুয়ারি আমাদের কৃষকদলের মিছিল বের করতে বাধা দেয়, গতকাল শনিবার সে ঘারুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মতিয়ার, বর্তমান সভাপতি নয়ন খা, এদেরকে নিয়ে খিচুড়ি খাওয়ার আয়োজন করে আওয়ামী লীগের লোকজন নিয়ে দলভারি করে আমার বাড়িতে ঘেরাও করে রাখে তখন ইজ্জত বাঁচাতে তাদের ধাওয়া করা হয়।

এ ব্যপারে বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন জানান, নিক্সন চৌধুরীর এক নম্বর সমর্থক নিরু খলিফার লোকজন আমাদের বিএনপি নেতা কর্মীর ওপরে হামলা চালিয়ে আহত করেছে।

এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোকছেদুর রহমান কে জানান, রাজনৈতিক কোন বিষয় নয়। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গ্রামবাসীর মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। কয়েকজন আহত হওয়ার ঘটনা শুনেছি। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।