ঘন কুয়াশার কারণে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ফেরি চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত পৌনে ৩টা থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং ২টা থেকে আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
বিজ্ঞাপন
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্পোরেশন আরিচা কার্যালয়ের বাণিজ্য বিভাগের ডিজিএম নাসির হোসেন চৌধুরী বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকেই পদ্মা-যমুনা নদী এলাকায় কুয়াশা পড়তে শুরু করে। মধ্যরাতের দিকে কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে যায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌরুট এলাকা।
ঘন কুয়াশার কারণে নৌরুটের দিক নির্ণয় করতে না পেরে রাত পৌনে ৩টা থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং রাত ২টা থেকে আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। নদী এলাকায় কুয়াশা কমে গেলে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হবে বলে জানান নাসির হোসেন চৌধুরী।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বলেছেন, অবস্থানের কারণে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অতি চমৎকার।
তিন বলেন, বহুকাল আগে ১৯৮৭ সালে আমাকে একটা সম্মেলনে ডাকা হয়েছিল এখানে। তখন একটা প্রবন্ধ পাঠ করেছিলাম। এর শিরোনাম ছিল ‘গ্রোয়িং আপ উইথ জায়ান্টস’। আমি ব্যাখ্যা করেছিলাম, আমাদের বাংলাদেশের একটি সুবর্ণ সুযোগ, জাতি হিসেবে আমাদের যে অবস্থান, চমৎকার অবস্থান।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসেস আয়োজিত ‘বার্ষিক সম্মিলনে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের দুই পাশে দুই মহাশক্তি। ভারত আর চীন। তারা দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাবে, আমরা যেহেতু মাঝখানে আছি, আমাদের ফেলে যেতে পারবে না। তাদের বাতাসে আমরা উড়তে থাকব। সেই থেকে আমার বদ্ধমূল ধারণা, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অতি চমৎকার, এর অবস্থানের কারণে।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আমাদের অপূর্ব সুযোগ, আমাদের সামনে বিস্তীর্ণ মহাসাগর। আমাদের উপকূল এক মস্ত বড় সুযোগ। পৃথিবীর দরজা আমাদের সামনে খোলা। আমরা এতদিন ব্যবহার করতে জানিনি। এখন যে মুহূর্তে এর ব্যবহার শুরু করব, আমাদের অর্থনীতিকে কেউ লোহার দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখতে পারবে না।
তিনি বলেন, আমাদের উত্তরে হলো বিখ্যাত হিমালয় পর্বতমালা, যেখানে জমে আছে শক্তি, হাইড্রোপাওয়ার। কত শক্তি দরকার বাংলাদেশের, সেখানে সব জমা আছে। হারিয়ে যাচ্ছে না, শুধু নেওয়ার অপেক্ষা, শুধু প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে একটা সম্পর্ক গড়া, যাতে এই ৪০ মাইল, যে দূরত্বটুকু নেপাল আর বাংলাদেশের মধ্যে রয়েছে, সেটুকু অতিক্রম করা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাণীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) তারিকুল ইসলাম। তিনি জানান, শনিবার রাত থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- উপজেলার বোদলা গ্রামের শহিদুল্লার ছেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জারজিস হাসান মিঠু (৪৫),পশ্চিম বালুভরা গ্রামের মুনসুর আলীর ছেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক আনোয়ার হোসেন (৬০) এবং উপজেলার চকাদিন গ্রামের করিম শেখের ছেলে কাশিমপুর ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সুলতান মাহমুদক(৪৩)।
বিএনপির দলীয় অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় জড়িত সন্দেহে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের রোববার আদালতে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান,গত ২৬ আগস্ট উপজেলা বিএনপির দলীয় অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের অভিযোগে উপজেলা বিএনপির সম্পাদক মোসারব হোসেন মামলা করেন।
ময়মনসিংহের ফুলপুরে ড্রাম ট্রাক চাপায় সাইকেল আরোহী আল মুবিন কাউসার (১৩) নামে এক মাদ্রাসার শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত আল মুবিন কাউসার উপজেলার গোদারিয়া গ্রামের এহছানুল হকের ছেলে এবং নূরে মদীনা ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার নাজেরা শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পৌরশহরের গোদারিয়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় আল মুবিন কাউসার দুপুরে পৌরশহরের গোদারিয়া এলাকায় সাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হয়। ঘুরাঘুরির এক পর্যায়ে দ্রুতগামির একটি ড্রাম ট্রাক তাকে চাপা দেয়। এসময় আল মুবিন কাউসার গুরুতর আহত হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।
ফুলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাদি বলেন ঘাতক ড্রাম ট্রাকটি আটক করা হয়েছে। এ বিষয় আইন গত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা ও তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে টানা ৪৮ ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে তিস্তাপাড়ের ৫ জেলার লাখো মানুষ।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ -স্লোগানে কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কর্মসূচি সফল করতে সব ধরনের প্রস্তুতিও প্রায় সম্পন্ন করেছে আয়োজক কমিটি।
জানা গেছে, ভারতের সিকিমে জন্ম নেয়া তিস্তা নদী ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে ঐতিহাসিক এ তিস্তা নদী। যা নীলফামারী জেলার কালীগঞ্জ সীমান্ত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও গাইবান্ধা জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী বন্দর হয়ে ব্রহ্মপুত্র নদের সঙ্গে মিশেছে এ নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৩১৫ কিলোমিটার হলেও বাংলাদেশ অংশে রয়েছে প্রায় ১২৫ কিলোমিটার।
উজানে গজলডোবা বাঁধ নির্মাণ করে ভারত সরকার তিস্তা নদীর পানি একতরফা ব্যবহার করছে। এতে তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা বঞ্চিত থেকে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ফলে বর্ষা শেষ হতেই বাংলাদেশ অংশে তিস্তা মরুভুমিতে পরিণত হয়ে জীব বৈচিত্রে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। আবার বর্ষাকালে ভারত অতিরিক্ত পানি ছেড়ে দিয়ে নদী ভাঙন ও বন্যার মতো ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে পড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বাংলাদেশ অংশের রংপুর বিভাগ। মূলত, পানির প্রয়োজনে পানি শূন্য আবার যখন প্রয়োজন নেই তখন পানি দিয়েই বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলকে ডুবিয়ে রাখে ভারত। এভাবে তিস্তাকে নিজেদের স্বার্থে এক তরফা শাসন করছে ভারত।
এ কারণে তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা নিয়ে দীর্ঘ দিন আলোচনা হচ্ছে উভয় দেশের উচ্চ পর্যায়ে। পানির ন্যায্যা হিস্যা দাবি আদায়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন বিভিন্ন সময় নানান কর্মসূচি পালন করেছে। তিস্তা নদী আর এর পানি ন্যায্য হিস্যা নিয়ে বহু আন্দোলন সংগ্রাম হলেও সুফল পায়নি তিস্তাপাড়ের মানুষ। তিস্তাকে পুঁজি করে সরকারি ও বিরোধী দলগুলো বিভিন্ন সময় আন্দোলন সংগ্রাম করে নিজেরা ক্ষমতায় সফল হলেও সুফল মেলেনি নদীপাড়ের মানুষের। ভাগ্যেরও উন্নয়ন ঘটেনি তিস্তাপাড়ের মানুষের।
অপর দিকে জন্মলগ্ন থেকে খনন না করায় তিস্তা নদীর তলদেশ ভরাট হয়েছে। ফলে বর্ষাকালে সামান্য বৃষ্টিপাত আর উজানের ঢেউয়ে নদীর দু'কুল বন্যায় প্লাবিত হয়। বন্যায় ভেসে যায় ফসল আর তীব্র ভাঙনে বিলিন হয় বসতভিটা আবাদি জমিসহ স্থাপনা। লোকালয়ে প্রবেশ করে প্রতি বন্যা মৌসুমে পরিবর্তন হচ্ছে নদীর গতিপথ। প্রতিবছর তিস্তা নদীর ভাঙনে হাজার হাজার পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়ছে। বন্যা শেষে ধু ধু বালু চরে পরিণত হয়ে চাষাবাদের অনুপযোগি হয়ে পড়ছে রংপুর অঞ্চলের ৫টি জেলার হাজার হাজার হেক্টর জমি।
তিস্তাপাড়ের এ দুর্ভোগ দুর্যোগের কারণে অর্থনৈতিকভাবে প্রতিবছর পিছিয়ে পড়ছে উত্তরাঞ্চল। রংপুর বিভাগের উন্নয়নের প্রধান বাঁধা তিস্তা নদী। এ নদীকে শাসন করতে পারলেই তা আর্শিবাদে পরিণত হবে। এ অঞ্চলে প্রতিবছর নদী ভাঙন রোধে বাঁধ, বন্যার্ত আর ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তা দিতে শত শত কোটি রাষ্ট্রীয় টাকা অপচয় হলেও কার্যত কোন ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটেনি তিস্তা পাড়ের মানুষের।
তিস্তাপাড়ের কৃষক জমির উদ্দিন বলেন, তিস্তার ভাঙনে ১২/১৪ বার বসত ভিটা সরিয়ে নিয়েছি। শুস্ক মৌসুমে বালু জমিতে কঠোর পরিশ্রম করে যা চাষাবাদ করে পাই সেটুকু দিয়ে চলে পুরো বছর। শুস্ক মৌসুমে বাড়ি তৈরি করি। বর্ষার বন্যায় তা ভেসে বা ভেঙে যায় নদীতে। যা আয় করি তা সবই তিস্তায় বিলীন হচ্ছে। তাই চাই স্থায়ী বাঁধ। যাতে ফসল নষ্ট না হয় বা বসতভিটা ভেসে না যায়।
তিস্তাপাড়ের জেলে অবিনাশ চন্দ্র জানান, বাপ দাদারা তিস্তা নদীতে সারা বছর মাছ ধরত। তিস্তা নদীর শুঁটকি সারাদেশে চলে যেত। এখন বর্ষার ২/৩ মাস মাছ ধরতে পারলেও বাকি সময় পরিবারের খাবার যোগানো কষ্ট হয়ে পড়ে। পানি না থাকায় অনেক জেলে তাদের পেশার পরিবর্তন করেছেন। আগের মত নেই তিস্তা নদীতে মাঝি মাল্লাদের ডাক হাক। তিনিও দাবি করেন দ্রুত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে।
মাঝি সাদ্দাম হোসেন বলেন, ৪ মাস তিস্তায় নৌকা চললেও বাকি সময় পায়ে হেঁটে যায় মানুষ। খরস্রোত তিস্তা বর্ষা শেষেই যৌবন হারিয়ে ফেলে। ফলে নৌকা বা খেযাঘাটে আর তেমন যাত্রী মেলেনা। আগে সারা বছর নৌকা চলত নদীর বুকে। এখন বর্ষার শেষে নদীর বুকে ধু ধু বালু চর।
মহিষখোচার কৃষক তাহাজুল বলেন, তিস্তা নদী আমাদের জন্য অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্ষায় অতিরিক্ত পানিতে ডুবতে হয়, শুস্ক মৌসুমে পানির অভাবে ফসল পুড়ে নষ্ট হয়। তিস্তার স্থায়ী সমাধান চাই। খনন করে দুই পাড়ে স্থায়ী বাঁধ ও সেচ ব্যবস্থা চালু করলে হাজার হাজার হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হবে।
তিস্তাপাড়ের আদিতমারী সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক (অবঃ) আবু তাহের বলেন, তিস্তা নদী শাসন করতে পারলে উত্তরাঞ্চলের কৃষি বিপ্লব ঘটবে, শিল্প বিপ্লব ঘটনাও সম্ভব। বন্যা ভাঙন রোধে যে অর্থ প্রতিবছর তিস্তায় ভেসে যায়। তা আর যাবে না স্থায়ী বাঁধ হলে। একই সাথে চাষাবাদের আওতায় আসবে হাজার হাজার হেক্টর ফসলি জমি। সব মিলে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে পিছিয়ে পড়া তিস্তাপাড়ের মানুষই হবে প্রথম সাঁড়ির জাতীয় অর্থনৈতিক যোদ্ধা।
কর্মসূচি সফল করত নদী পাড়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ একাধিক স্থানে মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। থাকবে তিস্তা পাড়ের মানুষের সুখ দুঃখের ওপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, ভাওয়া গানের আসর, দিনভর থাকবে ঘুড়ি উৎসবসহ নানান গ্রামীণ খেলাধুলা। স্থানীয়রা নিজেরা চাল ডাল সহায়তা দিয়ে পরিবেশন হবে খিচুসহ প্রয়োজনীয় খাবার। এভাবে টানা ৪৮ ঘণ্টা তিস্তা নদীর তীরেই অবস্থান করবেন রংপুরের ৫টি জেলার কয়েক লাখ মানুষ। দীর্ঘ দিন ধরে চলছে প্রচারাভিযান। ব্যাপক লোক সমাগমের প্রত্যশা আয়োজক কমিটির।
তিস্তা রক্ষা আন্দোলনের প্রধান বিএনপি'র সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক উপমন্ত্রী আসাদুল হাবীব দুলু বলেন, আমাদের এ আন্দোলন কোন দল বা মতের নয়। এটি গোটা রংপুর অঞ্চলের মানুষের গণদাবি। যার মাধ্যমে তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়সহ তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে। আমরা চাই, তিস্তা মহাপরিকল্পনার মাধ্যমে অবহেলিত এ অঞ্চলে স্যাটেলাইট ভিলেজ, অর্থনৈতিক অঞ্চল, পর্যটন কেন্দ্র, গড়ে উঠুক কৃষি ও শিল্প বিপ্লব। রংপুর অংঞ্চলের মানুষ দাবি আদায়ে আজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। যৌতিক দাবি পুরন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এ আন্দোলন চলতে থাকবে। প্রথম দফায় যে ৪৮ ঘণ্টা টানা অবস্থান কর্মসূচি ঘোষনা করা হয়েছে তা সফল করতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।