মাংস ব্যবসায়ীকে হত্যাচেষ্টা, ৪ জনকে পুলিশে সোপর্দ
-
-
|

ছবি: বার্তা২৪.কম
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে মো: আলম শেখ (৪৫) নামে এক মাংস ব্যবসায়িকে পরিত্যক্ত ইটভাটায় ডেকে এনে হাত-পা বেঁধে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় আলম শেখের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুঁটে এসে হাতেনাতে ৪ জনকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। পরে তারা পুলিশকে খবর দিয়ে তাদের কাছে সোপর্দ করে।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামাল উদ্দিন। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে বালিয়াকান্দি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভীমনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত আলম শেখ ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার মাঝবাড়ী এলাকার সেলিম শেখের ছেলে এবং গাজীপুরের টঙ্গির চেরাগআলী বড় দেওয়া ফকির মাকের্টের মাংস ব্যবসায়ি। আলম শেখকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয়রা চিকিৎসার জন্য বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে ভর্তি করেছে।
এ ঘটনায় আটককৃতরা হলেন ঠাকুরগাঁওয়ের সদর থানার হরেন রায়ের ছেলে সবুজ রায় (২২), একই জেলার ইয়াকুবপুরের মৃত মাহফুজ আলী শেখের ছেলে হিরা শেখ (২৮), আশরাফুল আলী শেখের ছেলে আবু বক্কও সিদ্দিক (১৮) ও রাজবাড়ী সদরের ধুনচি এলাকার আনু মন্ডলের ছেলে ফরহাদ মন্ড (৩৮)।
আলম শেখ বার্তা২৪.কমকে জানান, তিনি ফরহাদের কাছে অনেক দিনের কিছু টাকা পাবেন। সেই টাকা নিতে এবং বেড়াতে আসতে ফরহাদ তাকে রাজবাড়ীতে আসতে বলেন। সেই টাকা নিতে আসার পর জামালপুর বাজার থেকে ফরহাদের স্ত্রী তাকে রিসিভ করে ভীমনগর নিয়ে আসেন। ভীমনগর থেকে তাকে একটি পরিত্যক্ত ইটভাটায় নিয়ে যান। সেখানে আগের থেকেই ফরহাদ ও বেশ কয়েকজন ইটভাটার শ্রমিক অবস্থান করছিল। তাকে ইটভাটায় নিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে তারা তাকে হাত-পা-মুখ বেঁধে মাটিতে চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। এ সময় তিনি চিৎকার দিলে স্থানীয়রা ছুঁটে এসে তাদের চারজনকে হাতেনাতে আটক করে।
হত্যাচেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করে জনতার হাতে আটক হওয়ার সময় অভিযুক্ত ফরহাদ বলেন, আলমের টুঙ্গির বাসার কাছে তার বাসা ছিল। আলম তার স্ত্রীকে বিরক্ত করতো। মুঠোফোনে আলম প্রায়ই তার স্ত্রীকে কুপ্রস্তাব দিত। তার স্ত্রীকে সে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়। বিষয়টি নিয়ে তাকে আর না আগানোর জন্য বললে সে ওখানকার স্থানীয় বখাটে লোক দিয়ে তাকে মারধর করেছে এবং টাকা নিয়েছে। এ ঘটনাটি টুঙ্গির ওখানকার অনেকেই জানেন।
বালিয়াকান্দি থানার ওসি জামাল উদ্দিন বার্তা২৪.কমকে জানান, রাতে স্থানীয়রা তাকে বিষয়টি অবগত করলে তিনি তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে ছুঁটে গিয়ে আহত আবস্থায় আলমকে উদ্ধার করেন। এ সময় স্থানীয়রা এ ঘটনার সাথে যুক্ত চারজনকে আটক করে গণপিটুনি দিয়েছেন। পুলিশ আটক চারজনকে তাদের হেফাজতে নিয়েছেন। এ ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পাওয়ার পর আইনিপ্রক্রিয়া শুরু হবে। তখন প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।