শিক্ষায় এগিয়ে রিটা-মন্ডল, ধনসম্পদে সাদ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, রংপুর
রিটা রহমান, তৌহিদুর রহমান মন্ডল ও  রাহগির আল মাহি সাদ, ছবি: সংগৃহীত

রিটা রহমান, তৌহিদুর রহমান মন্ডল ও রাহগির আল মাহি সাদ, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুতে রংপুর-৩ শূন্য আসনে উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী ছয় প্রার্থীর মধ্যে শিক্ষাগত যোগ্যতায় সবচেয়ে এগিয়ে আছেন বিএনপির রিটা রহমান ও খেলাফত মজলিসের তৌহিদুর রহমান মন্ডল। তারা দুজনই স্নাতকোত্তর পাস।

অন্যদিকে ধনসম্পদে এগিয়ে রয়েছেন এরশাদপুত্র রাহগির আল মাহি সাদ। রংপুর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দেয়া হলফনামা থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

বিএনপিতে সদ্য যোগ দেয়া ধানের শীষের প্রার্থী রিটা রহমানের শিক্ষাগত যোগ্যতা মাস্টার্স (এমএ) পাস এবং খেলাফত মজলিসের প্রার্থী তৌহিদুর রহমান মন্ডল স্নাতকোত্তর পাস করেছেন। আর জাতীয় পার্টির প্রার্থী রাহগির আল মাহি সাদ এরশাদ স্নাতক, এরশাদের ভাতিজা সাবেক সংসদ সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ এইচএসসি পাস। এছাড়া গণফ্রন্টের কাজী মোঃ শহীদুল্লাহ্ ও এনপিপির শফিউল আলম স্বশিক্ষিত।

এই ছয় প্রার্থীর মধ্যে শিক্ষাগত যোগ্যতায় রিটা রহমান ও তৌহিদুর রহমান মন্ডল এগিয়ে থাকলেও ধনসম্পদে এগিয়ে আছেন সাবেক রাষ্ট্রপ্রধানের পুত্র সাদ এরশাদ। হলফনামায় দেওয়া তথ্যানুযায়ী, সাদ এরশাদের আয়ের নিজস্ব কোন উৎস নেই। তবে তার উপর নির্ভরশীলদের বার্ষিক আয় ৫৮ লাখ ৬৩ হাজার ২৯৬ টাকা দেখানো হয়েছে।

এছাড়া অস্থাবর সম্পত্তির বিবরণে সাদ এরশাদের নগদ ৬ কোটি ২৮ লাখ ৫২ হাজার ৪৩৯ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ ২ কোটি ৬৫ লাখ ১২ হাজার ২৯১ টাকা রয়েছে। তার শেয়ার ও সঞ্চয়পত্র রয়েছে ৬০ লাখ ২০ হাজার টাকা ও স্বর্ণ রয়েছে মাত্র ৫ হাজার টাকার। নগদ ও বৈদেশিক মুদ্রাসহ মোট অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৯৫ কোটি ৩৬ লাখ ৯ হাজার ৭৩০ টাকা দেখানো হয়েছে।

রাজনীতিতে নবীন হলেও সাদ এরশাদ পেশায় একজন প্রবাসী ব্যবসায়ী। তার নিজ নামে স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে ৭৮ কোটি ৮৮ লাখ ৫ হাজার টাকার। এর মধ্যে ৩৩ লাখ টাকা সমমূল্যের কৃষি জমি, ২৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকা মূল্যের আবাসিক দালান ও বাণিজ্যিক সম্পদ রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে ৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা মূল্যের বাড়ি অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে।

স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ও বিভিন্ন খাতের আয়সহ সাদ এরশাদ বর্তমানে ১৮ কোটি ১১ লাখ ৮ হাজার ২৬ টাকার মালিক। এ সম্পদ থাকা স্বত্বেও সাদ এরশাদ হলফনামায় ৭ লাখ টাকা দেনার কথা উল্লেখ করেছেন।

আরও পড়ুন: রংপুর-৩ আসনে রাজু-সাদ-রিটাসহ ৭ প্রার্থী বৈধ

অন্যদিকে এরশাদের ভাতিজা সাবেক সংসদ সদস্য হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফের অস্থাবর সম্পদে নগদ ৩৪ লাখ টাকা রয়েছে। ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানে রয়েছে ৩১ লাখ ২১ হাজার ২০৯ টাকা ৩ পয়সা। তার নিজ নামে থাকা বাস, ট্রাক ও জীপ গাড়ির মূল্য দেখানো হয়েছে ৩৩ লাখ ৭১ হাজার ২৩৭ টাকা। ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য, আসবাবপত্রসহ অন্যান্য সরঞ্জাম রয়েছে ২ লাখ ২০ হাজার টাকার। আর স্বর্ণ রয়েছে ২০ ভরি। যার আনুমানিক মূল্য ৭ লাখ টাকা।

আসিফের স্থাবর সম্পদে কোন কৃষি জমি নেই। তবে পৈত্রিকসূত্রে প্রাপ্ত সম্পদে বাড়িসহ আবাসিক ও বাণিজ্যিক দালান দেখানো হয়েছে। এছাড়া আয়ের উৎসে বাড়ি ও দোকান ভাড়া পান ৩৮ হাজার টাকা। ব্যবসা থেকে ৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, ব্যাংকে সুদ ২ লাখ ৩০ হাজার ৭৯৮ টাকা দেখানো হয়েছে। তিনি সাধারণ ব্যবসায়ী ও প্রথম শ্রেণির একজন ঠিকাদার।

এদিকে বিএনপির প্রার্থী রিটা রহমান নিজেকে পেশায় সাংবাদিক ও লেখক হিসেবে উল্লেখ করেছেন। কৃষিখাত ও পেশাগতভাবে তার আয় ৪ লাখ টাকা। অস্থাবর সম্পদে নগদ ২ লাখ টাকা রয়েছে। ২'শ ডলার বৈদেশিক মুদ্রা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রয়েছে ৩ লাখ ৭৪ হাজার টাকা। সঞ্চয়পত্রসহ বিভিন্ন স্থায়ী বিনিয়োগে রয়েছে ৮ লাখ টাকা। তিন লাখ টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী ও আসবাবপত্র রয়েছে। এছাড়া তার ৫০ ভরি স্বর্ণ রয়েছে। স্থাবর সম্পদে ১৫ বিঘা জমিসহ অকৃষি জমি, আবাসিক ও বাণিজ্যিক অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে।

আরও পড়ুন: সাদ-রিটার শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী এরশাদের অভিমানী ভাতিজা

   

আইপিইউর এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের চেয়ারম্যান হলেন স্পিকার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী

  • Font increase
  • Font Decrease

ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের এক বছরের জন্য চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। 

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

১৪৮তম আইপিইউ অ্যাসেম্বলির গভর্নিং কাউন্সিলের সমাপনী সেশনে স্পিকারের অংশগ্রহণ বুববার (২৭ মার্চ) স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে ‘১৪৮তম আইপিইউ অ্যাসেম্বলি' উপলক্ষে অনুষ্ঠিত গভর্নিং কাউন্সিলের সমাপনী সেশনে বক্তব্য রাখেন।

এ সেশনে আইপিইউর প্রেসিডেন্ট ড. টুলিয়া অ্যকসন, আইপিইউ সেক্রেটারি জেনারেল মার্টিন চুংগংসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

;

ফটিকছড়িতে সেপটি ট্যাংকে পড়ে ‍শিশুর মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ফটিকছড়িতে সেপটি ট্যাংকে পড়ে ‍শিশুর মৃত্যু

ফটিকছড়িতে সেপটি ট্যাংকে পড়ে ‍শিশুর মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে সেপটি ট্যাংকে পড়ে মো. রোহান (৫) নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে উপজেলার আজাদীবাজার এলাকার রনজুরহাট সংলগ্ন অলি আহমদ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে।

নিহত শিশু রোহান ওই এলাকার প্রবাসী মো. শাহজাহানের ১ম সন্তান এবং রোহান স্থানীয় এক মাদ্রাসায় নুরানি বিভাগের শিক্ষার্থী।

নিহত রোহানের আপন মামা মো. আব্বাস বলেন, আমার বোনের পার্শ্ববর্তী ফুফু শাশুড়ির ঘরে টয়লেটের সেপটি ট্যাংক পরিষ্কার করার জন্য ট্যাংকির ঢাকনি তুলে সেখানে প্লাস্টিক দিয়ে ডেকে রাখা হয়। ভাগনে রোহান বেশিরভাগ সময় ওই ঘরেই থাকে। আজকে দুর্ভাগ্যবশত রোহান ওই ট্যাংকিতে পড়ে যায়। সেখান থেকে উদ্ধার করে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করে।

ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল হুদা জানান, ঘটনাটি আমরা শুনেছি। এ ঘটনায় থানায় এখনো কোনো অভিযোগ হয়নি।

;

প্রস্তাবিত সড়ক পরিবহন আইন: নৈরাজ্য ও নিরাপত্তাহীনতা বাড়বে সড়কে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সড়ক পরিবহন (সংশোধন) আইন, ২০২৪ এর কয়েকটি ধারায় শাস্তি ও জরিমানার পরিমাণ কমানোর উদ্যোগে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। তরুণ শিক্ষার্থীদের অভূতপূর্ব আন্দোলনের প্রেক্ষিতে অনেক প্রত্যাশা নিয়ে সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ প্রণীত হওয়ার পর তার কার্যকর বাস্তবায়ন দূরে থাক, সড়কে বিশৃঙ্খলা, অনাচার ও নিরাপত্তাহীনতার মাত্রা ক্রমবর্ধমান হারে বেড়েছে। টিআইবি মনে করে, জনস্বার্থ বিবর্জিত প্রস্তাবিত সংশোধনীর ফলে আইনটি তার উদ্দেশ্য থেকে বিচ্যুত হয়ে আরো দুর্বল হয়ে পড়বে এবং মালিক-শ্রমিক পক্ষের হাতে সড়ক ব্যবস্থাপনার জিম্মিদশা আরো বাড়বে।

গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, আইনের অন্তত ১২টি ধারায় পরিবর্তন এনে এবং অধিকাংশ ধারায় চালক ও চালকের সহকারীদের জেল জরিমানা ও শাস্তি কমিয়ে সড়ক পরিবহন সংশোধন আইন-২০২৪ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সংবাদ সূত্রে জানা যাচ্ছে, আইনের ৬৯, ৭০, ৮১, ৮৪, ৮৫, ৮৬, ৯০, ৯৮, ১০৫ ধারায় শাস্তি ও জরিমানার পরিমাণ কমানো হয়েছে।

তবে সড়ক পরিবহন আইন ২০২৪-এ যানবাহনের বিমা বাধ্যতামূলক করা [ধারা ৬০ (২)], সুপারভাইজার সংযুক্ত করা [ধারা ৭১] এবং গণপরিবহনে ভাড়ার চার্ট প্রদর্শন অথবা নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া দাবি বা আদায় সংক্রান্ত ধারা লঙ্ঘনের দণ্ড আলাদাভাবে করা [ধারা ৮০] হয়েছে। এ তিনটি সংশোধনীর সঙ্গে টিআইবির গবেষণালব্ধ সুপারিশের সামঞ্জস্য থাকায় সতর্ক সাধুবাধ জানিয়ে টিআইবি নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘সড়ক পরিবহন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলায় এনে তা জনগণের জন্য নিরাপদ করে তুলতে যেখানে জরিমানা ও শাস্তির বিধান যৌক্তিকভাবে বাড়ানো প্রয়োজন ছিলো, সেখানে সংশোধনীর মাধ্যমে শাস্তি কমিয়ে দেওয়া হলে সড়কে বিশৃঙ্খলা বাড়াবে এবং জনগণের জন্য আরো বেশি অনিরাপদ হয়ে উঠবে। একইসঙ্গে, চালক-শ্রমিকদের আইন না মানার প্রবণতার পাশাপাশি সড়কে অনিয়মকেও উৎসাহিত করবে। সড়ককে নিরাপদ করে তুলতে নানা উদ্যোগের কথা বলা হলেও, অবস্থাদৃষ্টে সরকারের অবস্থান ঠিক তার উল্টোদিকে বলে প্রতীয়মান হয়। এমন সংশোধনের ফলে সড়কে অনিয়ম-দুর্নীতি, নৈরাজ্য আরো বৃদ্ধি পাওয়ার ঝুঁকি যেমন সৃষ্টি হবে, তেমনি সড়ক-মহাসড়কে অনাকাঙ্খিত মর্মান্তিক মৃত্যুর মিছিল কেবল দীর্ঘই করবে।’

টিআইবির সাম্প্রতিক গবেষণায় পরিবহন মালিক-শ্রমিকপক্ষের হাতে সড়ক ব্যবস্থাপনার জিম্মিদশার প্রকটতার বিষয়টি উঠে আসে উল্লেখ করে ড. জামান বলেন, ‘সড়ক আইনের সংশোধনের মাধ্যমে শাস্তি ও জরিমানা কমিয়ে আনার বিষয়টি এ জিম্মিদশার সঙ্গে দৃশ্যত সম্পর্কিত। আইনে সংশোধন এনে শাস্তি কমানোর পেছনে সরকারের ওপর রাজনৈতিক মদদপুষ্ট মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের যে প্রভাব রয়েছে, তা বলাই বাহুল্য। এই সংশোধনী সংসদে গৃহীত হলে জনগণের স্বার্থ ভূলুণ্ঠিত হবে। এ আত্মঘাতী পথ থেকে সরে আসার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

সংশোধন প্রক্রিয়ার কোনো ধাপেই প্রস্তাবিত সংশোধনীর খসড়া খাতসংশ্লিষ্ট অংশীজনদের জন্য উন্মুক্ত না করায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক। টিআইবি মনে করে, সড়কে জনগণের চাহিদা ও জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতের প্রেক্ষিতে যাদের শৃঙ্খলায় আনতে আইনটি তৈরি করা হয়েছে, তাদের চাপে এবং স্বার্থে আইনের সংশোধন করা হলে আইনের সর্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা থাকবে না। একইসঙ্গে যে উদ্দেশ্যে আইনটি করা হয়েছিল তা থেকে সরে দাঁড়ানো হবে। এমতাবস্থায়, খসড়া আইনটি চূড়ান্ত করার পূর্বে বিশেষজ্ঞ এবং অন্যান্য অংশীজনের মতামতের ভিত্তিতে অগ্রসর হওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছে টিআইবি।

;

‘উপকূলীয় এলাকার পানির সমস্যা ভাবার ওয়াসার সময় হয়েছে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

উপকূলীয় এলাকার পানির সমস্যার দিকে ওয়াসার তাকানোর সময় এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সুজিত কুমার বালা।

২৮ মার্চ (বৃহস্পতিবার) সকালে বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ) – এর ‘কমিউনিটিভিত্তিক জলবায়ু সহনশীলতা ও নারীর ক্ষমতায়ন কর্মসূচি (ক্রিয়া)’ প্রকল্প আয়োজিত আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। এ আয়োজনের প্রতিপাদ্য ছিল ‘জলবায়ু ঝুঁকিপ্রবণ এলাকায় নিরাপদ পানির প্রাপ্যতা: প্রেক্ষিত জেন্ডার।’

ড. সুজিত কুমার বালা বলেন, ‘উপকূলীয় এলাকায় সুপেয় পানির প্রাপ্যতার অভাব রয়েছে। বন্যা, ঘূর্ণিঝড়ের সময় পানি সংকট আরও বেড়ে যায়। প্রাকৃতিকভাবে এই সংকট মোকাবিলার চেষ্টা চলছে, তবে তা পর্যাপ্ত নয়। ওয়াসা ঢাকাকেন্দ্রিক হলেও আমার মনে হয় এখন আমাদের উপকূলীয় এলাকার পানির সমস্যার দিকে তাকানোর সময় এসেছে।’

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ওয়াটারএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান। তিনি বলেন, ‘সারা দেশে মাত্র ১৫ শতাংশ মানুষ পাইপ ওয়াটার সাপ্লাইয়ের সুবিধা ভোগ করছে আর নিরাপদ পানির সুবিধা আছে ৬০ শতাংশ মানুষের। এ ছাড়া পানির লবণাক্ততা ২৬ মিলিয়ন মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে। গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত লবণ পানি ব্যবহারের কারণে শিশুমৃত্যুর ঝুঁকিও বাড়ছে।

‘পানি সংগ্রহ থেকে শুরু করে সরবরাহ পর্যন্ত নারীদের সম্পৃক্ততা বেশি থাকার কারণে বৈশ্বিকভাবে তাদের ‘ওয়াটার ম্যানেজার’ বলা হয়। কিন্তু পানি সংগ্রহের কাজে অতিরিক্ত সময় দিতে গিয়ে নারীরা আয় বৃদ্ধিমূলক ও কৃষি কাজে অংশ নিতে পারে না। এতে আর্থিকভাবে তারা পিছিয়ে থাকছেন।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন এনজিও ফোরাম ফর পাবলিক হেলথ-এর নির্বাহী পরিচালক এসএমএ রশিদ, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর-এর নির্বাহী প্রকৌশলী শর্মিষ্ঠা দেবনাথ, সুইডেন দূতাবাসের উন্নয়ন সহযোগিতা বিভাগের প্রোগ্রাম অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ধরিত্রী কুমার সরকার ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোঃ রবিউল আলম।

ক্রিয়া প্রকল্প বাস্তবায়ন এলাকা থেকে পানি নিয়ে ভুক্তভোগী দুজন নারী ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তাদের সমস্যার কথা জানান। পানির অপ্রাপ্যতা, সংগ্রহ করার জটিলতা, অনিরাপদ পানি ব্যবহারের ফলে বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব, লবণাক্ততার কারণে পারিবারিক সহিংসতা বৃদ্ধির কথা তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানের সভাপ্রধান এমজেএফ-এর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন, ‘পানির যোগান দিতে গিয়ে নারীরা নানাভাবে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়। সুপেয় পানি একটি মানবাধিকার। আমরা পানি নিয়ে নানা সংকটের কথা আলোচনা করি কিন্তু নারীদের দুর্ভোগের বিষয়টি অত গুরুত্ব পায় না।

‘এসব সমস্যার সমাধানে চাই সামষ্টিক উদ্যোগ। সরকারের একার পক্ষে সব সম্ভব নয়। তাই আমাদের মতো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরকারের সঙ্গে মিলে কাজ করার উপায় খুঁজে বের করতে হবে।’

আলোচনা শেষে শাহীন আনাম অতিথিদের আলোকচিত্র প্রদর্শনী ঘুরে দেখান। প্রদর্শনীর বিষয় ছিল ‘জলবায়ু পরিবর্তন ও নারীর দুর্বলতা।’

;