৮ মাসে সড়কে প্রাণ হারিয়েছেন ৩ হাজার ২৯৩ জন
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত আট মাসে দেশে মোট সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ২ হাজার ৯১৭টি। এতে প্রাণ হারিয়েছেন ৩ হাজার ২৯৩ জন।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ বাস্তবায়নে বিলম্ব, জনমনে হতাশা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গণপরিবহন খাতের চরম নৈরাজ্যের কারণে যাত্রী হয়রানি, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও সড়ক দুর্ঘটনা উদ্বেগজনক হারে ঘটছে। সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা নানা রকম প্রতিশ্রুতি, কমিটি গঠন, বৈঠক ও সুপারিশমালা দেওয়ার মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে।
এ সময় বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, ‘হিসাব মতে সাত কিলোমিটার বেগে একটি গাড়ি চললে প্রতি সেকেন্ডে যায় ৫০ ফুট। ফলে এক সেকেন্ডের সামান্য অসতর্কতায় ৫০ ফুট জায়গার মানুষের ক্ষতি হতে পারে। তাই চালকদের সতর্কতা প্রয়োজন, সেই সঙ্গে বিশ্রামও প্রয়োজন। পাঁচ ঘণ্টার বেশি একটানা গাড়ি চালানো ঠিক না। কিন্তু আমাদের চালকরা দিনে কয়েক ট্রিপ মারছেন। ফলে তিনি ঠিকমতো বিশ্রামের সময় পান না।’
তিনি আরো বলেন, ‘চালকদের জন্য টয়লেটের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। গাবতলী, মহাখালী ও যাত্রাবাড়ী আন্তঃজেলা পরিবহন এলাকা। ঢাকা শহরের গাড়ি চালকরা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত টয়লেট করেন কোথায়? সিটি করপোরেশনের টয়লেটে জনপ্রতি নেওয়া হয় পাঁচ টাকা করে। তারপর প্রশ্ন আসে বাৎসরিক ছুটি কতদিন? বিনোদন কি আছে তাদের জন্য? পেনশন আছে কিনা, ঝুঁকি ভাতা আছে কিনা। শ্রম আইন অনুযায়ী যা পাওয়ার কথা তার কিছুই তারা পান না।’
দৈনিক প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খান বলেন, ‘বিচার বিভাগের প্রতি তাদের আস্থা থাকা উচিত। দুর্ঘটনার পর ক্ষতিরপূরণের জন্য যে ট্রাস্টে যাবেন, সে ট্রাস্টের সদস্য কারা কারা হবে, তা সরকার ঠিক করে দেয়। যাতে করে আপনি কোনোভাবে কোর্টে যেতে না পারেন। নিয়ম অনুযায়ী, ক্ষতিপূরণের জন্য প্রথমে ট্রাস্টে আবেদন করবেন, তারা ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করে দেবেন। তাতে সংক্ষুব্ধ হলে আপিল করবেন। সেখানে ক্ষুব্ধ হলে সালিশে যাবেন, সেটাও সরকার দ্বারা নিয়োগপ্রাপ্তদের কাছে। সেখানেই সব চূড়ান্ত হবে, তারপর কোনো কোর্টে যাওয়া যাবে না। এটা হলো সরকারের অবস্থান।’
রোড অ্যান্ড সেফটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন- বুয়েটের অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. মোয়াজ্জেম হোসেন ও রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক হাসিনা বেগম।