বুড়িগঙ্গায় ধোয়া হচ্ছে হাসপাতালের কাপড়, ছড়াচ্ছে সংক্রমণ



নাজমুল হাসান সাগর, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
বুড়িগঙ্গার ধারে সারিবদ্ধভাবে কাপড় শুকাচ্ছেন ধোপারা

বুড়িগঙ্গার ধারে সারিবদ্ধভাবে কাপড় শুকাচ্ছেন ধোপারা

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানী ঢাকার মূল শহর থেকে অদূরেই কামরাঙ্গী চর থানা শহর। ঢাকার মতোই আধুনিক নগরায়নের পথে হাঁটছে এই শহরটি। খুব অল্প পরিসর নিয়ে গড়ে ওঠা এই শহরের চারপাশ দিয়েই বয়ে গেছে বুড়িগঙ্গা নদী। নদী বেষ্টিত  এই চরটির সাথে বাইরের যোগাযোগ রক্ষার জন্য রয়েছে তিনটি পরিচিত ঘাট। লোহারপুল, কাঠেরপুল আর খোলামোড়া নামের এই ঘাটগুলো দিয়ে যারা নিয়মিত চলাচল করেন, তাদের চোখে দুইটি ব্যাপার অবশ্যই পড়বে। এক, এই ঘাট সংলগ্ন নদীর পানি অত্যন্ত নোংরা আর রোগ জীবাণুতে ভরা। দুই, এমন নোংরা-জীবাণুযুক্ত পানিতে  সকাল থেকে শুরু করে পর্যন্ত বিকেল পর্যন্ত ধোপারা নানা কাপড় ধুয়ে পরিষ্কার করেন।

একটা সময় সাধারণত উচ্চ বর্ণ বা ধনাঢ্য পরিবারের সদস্যদের পরিধেয় বস্ত্র  বুড়িগঙ্গার পানিতে পরিষ্কার  করে জীবিকা নির্বাহ করতেন ধোপারা। সময়ের পরিক্রমায় দূষিত হয়েছে বুড়িগঙ্গা, এর পানি পরিণতি বিষাক্ত পানিতে। তবে এখনও  ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ভেদে এখানে বিভিন্ন লন্ড্রি ও গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির কাপড় ধোয়া হয়। সব থেকে অবাক করা বিষয় হচ্ছে এমন নোংরা পানিতেও পরিষ্কার করা হচ্ছে বিভিন্ন হাসপাতালে প্রতিদিন ব্যবহার করা কাপড়গুলোও! অপারেশন থিয়েটারে ব্যবহৃত চাদর, মাস্ক, পর্দা থেকে শুরু করে বিছানার চাদর, বালিশের কাভার, জানালা-দরজার পর্দা যাবতীয় কাপড় এই নোংরা পানিতে পরিষ্কার করা হয়।

জানা যায়, ঢাকা মেডিকেল থেকে শুরু করে অভিজাত যত হাসপাতাল আছে সব হাসপাতালের কাপড়ই এখানে পরিষ্কার করেন তারা। টেন্ডারের মাধ্যমে কাজগুলো অন্যদের বুঝিয়ে দিয়েই দায়িত্ব ছেড়ে দেয় হাসপাতালগুলো। কোন ধরণের নজরদারি নেই স্বাস্থ্য ঝুঁকির মতো এমন স্পর্শকাতর বিষয়ে। সরকারি হাসপাতালগুলোতে এসবের বিষয়ে গুরুত্ব দেবার মতো কোন নির্দেশনাই নেই।

এ প্রসঙ্গে কথা হয় মিডফোর্ড হাসপাতালের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা শাহীন শাহ বাপ্পির সাথে। তিনি বলেন, এটি খুবই নতুন একটি বিষয়। হাসপাতালের দৈনন্দিন ব্যবহার্য্য কাপড়গুলো যে, বুড়িগঙ্গার নোংরা পানিতে ধোয়া হয় সেটা আমরা শুনেছি কিন্তু কোনো দিন খতিয়ে দেখা হয়নি। আপনাদের মাধ্যমে বিষয়টি আমরা জানলাম এখন এই বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেব।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তহমিনা বার্তাটায়েন্টেফোর.কমকে বলেন, ‘এই ধরনের কাপড় থেকে মূলত রোগীরা দুই জায়গায় জীবাণু আক্রমণের শিকার হতে পারে। প্রথমত রোগীদের থাকার বেড আর দ্বিতীয়ত অপারেশন থিয়েটার বা ওটিতে। তবে, অপারেশন থিয়েটারে এই ধরণের কাপড় থেকে রোগীরা রোগ জীবাণুতে আক্রান্ত হবে না। কারণ, অপারেশন থিয়েটারে যেসব কাপড় বা যন্ত্র ব্যবহার করা হয় সেগুলোকে সম্পূর্ণভাবে জীবাণু মুক্ত করার জন্য ট্রেলাইজেশন করা হয়। অটোক্যাড নামে এক ধরণের যন্ত্রের মাধ্যমে এটা করা হয়।

ময়লা পানিতে কাপড় পরিষ্কার করলে যেভাবে জীবাণু ছড়াতে পারে তার বর্ণনা তুলে ধরে সানিয়া তহমিনা বলেন, ‘যে কোন ব্যবহার্য্য কাপড় যদি নদীর পানিতে ধোয়া হয় তাহলে দুই ধরণের ইফেক্ট হতে পারে। একটা হলো কাপড় থেকে পানিতে জীবাণু যেতে পারে। এছাড়া কাপড় এবং পানি দুই স্তর থেকেই জীবাণু আক্রান্ত হতে পারে। প্রশ্রাব, পায়খানাসহ অপারেশন থিয়েটারে ব্যবহার করা রক্তাক্ত কাপড় এবং কফ-থুতুসহ ডায়রিয়া, টাইফয়েড ও কলেরার মতো রোগ জীবাণু পানির সাথে মিশে যাচ্ছে। প্রশাব তো বটেই বিশেষ করে পায়খানার সাথে ইকোলাই নামে এক ধরণের ব্যাকটেরিয়া থাকে যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য খুব ক্ষতিকর।

এছাড়া জণ্ডিস আক্রান্ত রোগীর ভাইরাস থেকে পানি দূষিত হচ্ছে যার মাধ্যমে ওই পানি ব্যবহার করা মানুষ খুব দ্রুত নানা রোগে আক্রান্ত হবে। অন্য দিকে রক্ত বা পুঁজ থেকে এক ধরণের বিশেষ ব্যাকটেরিয়া পানিতে মিশে যাচ্ছে। ওই ব্যাকটেরিয়াযুক্ত পানি যদি কাটা-ছেঁড়া কোন মানুষের ক্ষতস্থানে প্রবেশ করে তাহলে ইনফেকশনের মাধ্যমে তার পঙ্গুত্ব বরণও করতে হতে পারে! শুধু ব্যাকটেরিয়াই নয় নদীতে থাকা বিভিন্ন টক্সিক এর কারণে এসব পানি খাওয়া বা অন্যান্য কাজে যারা ব্যবহার করেন তাদের ডায়রিয়া, কলেরা, টাইফয়েড, জণ্ডিসসহ ইউরিন ইনফেকশনের মতো মারাত্মক রোগ হতে পারে। এসব পানিতে গোসলের সময় যদি পানি চোখে প্রবেশ করে তাহলে চোখে ইনফেকশন হতে পারে। আবার নিঃশ্বাসের সাথে এখানকার জীবাণু শরীরে ভেতরে প্রবেশ করে লাঞ্চের বিভিন্ন ধরণের সমস্যা যেমন, শ্বাসকষ্ট ও অ্যাজমার মতো জটিল রোগ হতে পারে। বিশেষ করে চর্ম রোগ হবেই।’

ঘাটগুলো ঘুরে দেখা যায়, অতিমাত্রায় ব্লিচিং পাউডার মেশানো নানা কাপড়ও ধোয়া হচ্ছে নদীর পানিতে। এতে করে তীব্র ও ঝাঁঝালো গন্ধে সেখানে অবস্থান করাও কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। অত্যন্ত ক্ষতিকারক কেমিকেল যুক্ত ব্লিচিং পাউডারের কারণে যেমন চার পাশের পরিবেশ হুমকির মুখে তেমনি নদীর পানি ও জীব-বৈচিত্র্য ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।

   

চরফ্যাসনে হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ভোলা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভোলার চরফ্যাশনে হিটস্ট্রোকে মিরাজ (২৭) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকালে দুলারহাট থানার আবুবক্করপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে তার মৃত্যু হয়। নিহত যুবক মিরাজ ওই গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।

প্রতিবেশী আরিফ জানান, যুবক মিরাজ প্রচণ্ড রোদে দুপুরে তার নিজ বাড়িতে কাজ করছিলো। প্রায় দুই ঘণ্টা তীব্র রোদে থাকার পর হঠাৎ তার বুকে ব্যথার অনুভব হয়। বিকালে ব্যথা আরও তীব্র হলে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

চরফ্যাসন হাসপাতালে কর্মরত সাব-অ্যাসিস্টেন্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মো. জাহিদ হাসান জানান, হাসপাতালে আনার আগেই ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে যুবক মিরাজ হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন।

;

ফেনীতে গরমে চাহিদার সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডাবের দাম



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশের ন্যায় ফেনীতেও বইছে তীব্র তাপদাহ। কয়েকদিনের তীব্র গরমে বেড়েছে ডাবের চাহিদা, সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডাবের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে ডাবের চাহিদা তুঙ্গে। তবে সরবরাহ কম থাকায় বাজারদর ঊর্ধ্বমুখী। প্রায় ৬০ টাকা বেড়ে ছোট সাইজের ডাব বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। অন্যদিকে মাঝারি ও বড় আকারের ডাব বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। এটি রেকর্ড মূল্য মনে করছে ক্রেতারা।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ফেনী শহরের ট্রাংক রোড, নাজির রোড, শহীদ শহিদুল্লাহ কায়সার সড়ক, কলেজ রোড ও সদর হাসপাতাল মোড়, মুক্তবাজার এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি ডাবের দোকানে ক্রেতাদের ভিড়। দাম বেশি হলেও গরমের ক্লান্তি কাটাতে ডাব কিনে খাচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।


শহরের নাজির রোড এলাকায় ডাব বিক্রি করেন রিফাত। বার্তা২৪.কম-কে তিনি বলেন, ঈদের ছুটির পর পাইকাররা ডাবের দাম ৩০ থেকে ৬০ টাকা বাড়িয়েছে। গত বছরে ব্যবসায় এত বেশি দাম কখনো দেখিনি। এমনকি কোভিড-১৯ মহামারির সময়ও এত দাম ছিল না। বেশি দামে ক্রয় করতে হচ্ছে তাই বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।

মুক্তাবাজারের ডাব বিক্রেতা এসানুল হক বলেন, সবসময় ঈদের পরপর চাহিদা কম থাকত, কিন্তু এবার তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে চাহিদা বেড়ে গেছে।উৎপাদকদের কাছ থেকে সরবরাহকারীরা বেশি দামে ডাব কিনেছেন, আর তাই পাইকারি বাজারে ডাবের দাম বাড়ছে বলে জানান এই বিক্রেতা।

সাফওয়ান নামে এক ক্রেতা বলেন, আমাদের দেশে ব্যবসায়ীরা সুযোগ পেলেই দাম বাড়িয়ে দেয়। গরমে ডাবের ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম হয়নি। তারপরও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মায়ের জন্য ১৪০ টাকায় একটি ডাব কিনেছি। দাম যেমনই হোক না কিনে তো আর পারি না।


শহরের হাসপাতাল মোড়ে কথা হয় সাহাবউদ্দিন নামে আরেক ক্রেতার সঙ্গে। ডাবের বাজারদর নিয়ে তিনি বলেন, ১২০ টাকার নিচে তেমন কোনো ভালো ডাব নেই। যেভাবে গরম পড়ছে কিছুটা স্বস্তির জন্য এখানে এসেছি। সব দোকানেই দাম প্রায় একই।

শহরের নাজির রোড এলাকার খুচরা ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফ বলেন, গরমে গত কয়েকদিন স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ৩০-৪০টি ডাব বেশি বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে ডাবের সংকট থাকায় দাম কিছুটা বেশি। আমরা খুচরা পর্যায়ে সাধারণত কেনা দামের চেয়ে কিছু বেশি দামে বিক্রি করি। খুচরা পর্যায়ে দাম বৃদ্ধির সঙ্গে আমাদের কোনো হাত নেই।

ফেনী মহিপাল ফল আড়তের আব্দুল হাকিম নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, ফেনী শহরে যেসব ডাব বিক্রি হয় সেগুলো মূলত নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর এলাকার। অল্প কিছু ডাব জেলার উপকূলীয় উপজেলা সোনাগাজী থেকে আসে। এখানে ডাবের কোনো আড়তও নেই। সপ্তাহের নির্দিষ্ট কিছু দিনে ট্রাকে করে ডাবগুলো এনে খুচরা বিক্রেতাদের দিয়ে যায়। গত এক সপ্তাহে প্রতিটি ডাবের দাম ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে। সঙ্গে বেচাকেনাও বেড়েছে।

শহরের শহীদ শহীদুল্লাহ্ কায়সার সড়কের এডাব ব্যবসায়ী কাইয়ুম বলেন, গরমে প্রতিদিন এখন ৬০ থেকে ৭০টি ডাব বিক্রি হচ্ছে। নোয়াখালী ও সোনাগাজী অঞ্চলের পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেনা ডাব মানভেদে খুচরা পর্যায়ে ১৩০-১৪০ টাকা দরে বিক্রি করছি। তবে ঠান্ডা মৌসুমে একই ডাব ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হয় বলেন তিনি।

;

নীলফামারীতে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর সদরে ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এখনো নিহত ব্যক্তির নাম, পরিচয় জানা যায়নি।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ভোরে শহরের সংগলশী ইউনিয়নের সুবর্ণখুলি গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সংগলশী ইউনিয়নের সুবর্ণখুলি গ্রামে চলমান রেললাইন হতে ১০ ফিটের বাহিরে এক মহিলার লাশ পড়ে থাকতে থেকে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। এখনো নিহত ব্যক্তির নাম পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

এবিষয়ে সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত ব্যক্তির নাম, পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

;

রাজ-পরীর সংসারে নতুন ২ অতিথি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বাঘ রাজ ও বাঘিনী পরীর ঘর আলোকিত করে এসেছে নতুন তিন অতিথি। যদিও একটা শাবক মৃত ছিল। এ নিয়ে চিড়িয়াখানায় বাঘের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ টিতে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাতে বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন চিড়িয়াখানার ভারপ্রাপ্ত কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ।

তিনি বলেন, রোজার ঈদের দুই দিন আগে ৯ এপ্রিল সকাল আটটার দিকে বাঘ রাজ-পরীর সংসারে তিনটি মেয়ে বাঘ শাবক জন্ম নেয়। তখন আমরা একটি শাবক মৃত অবস্থায় পায়। বাকি দুটি শাবক মায়ের সঙ্গে আছে। সুস্থ আছে, দুধও খাচ্ছে। ঈদের সময় একটু ব্যস্ততা ছিল তাই আমরা বিষয়টি তখন জানাতে পারিনি।

‘এনিয়ে রাজ-পরীর ঘরে মোট ১২টি বাঘ ও শাবক রয়েছে। যার মধ্যে ৪টি পুরুষ, বাকি সব মেয়ে। জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা করে নতুন শাবক ‍দুটির নাম দেওয়া হবে। আমরা আরও একমাস পর দর্শনার্থীদের জন্য শাবকগুলো উন্মক্ত করব, বলেন চিড়িয়াখানার এ কর্মকর্তা।

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় নতুন দুই শাবকসহ বর্তমানে বাঘের সংখ্যা মোট ১৯টি, যার মধ্যে ১৩টি মেয়ে ৬টি পুরুষ। ১৯টির মধ্যে ৫টি সাদা বাঘ‌।

গতবছর চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় জন্মগ্রহণ করা এক জোড়া বাঘ দিয়ে প্রাণী বিনিময়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা হতে এক জোড়া জলহস্তী চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় আনা হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৯ ডিসেম্বর ৩৩ লাখ টাকায় কেনা ১১ মাস বয়সী রাজ এবং ৯ মাস বয়সী পরীকে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় আনা হয়। ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই বেঙ্গল টাইগার দম্পতি রাজ-পরীর তিনটি ছানার জন্ম হয়। যার মধ্যে দুটি ছিল ‘হোয়াইট টাইগার’, অন্যটি কমলা-কালো ডোরাকাটা। পরদিন একটি সাদা বাঘ শাবক মারা যায়। অন্য সাদা বাঘিনীটি ‘শুভ্রা’। কমলা-কালো বাঘিনীটির নাম দেওয়া হয় ‘জয়া’। শুভ্রা বাংলাদেশে প্রথম সাদা বাঘ। এর আগে দীর্ঘ পাঁচ বছর চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা বাঘ শূন্য ছিল।

;