'একটা পৃথিবী, একটাই বাংলাদেশ'
'একটা পৃথিবী, একটাই বাংলাদেশ। বাঁচাও পৃথিবী, বাঁচাও বাংলাদেশ, বাঁচাও প্রজন্ম। এই স্লোগানে পালিত হচ্ছে বৈশ্বিক জলবায়ু সপ্তাহ'।
বৈশ্বিক জলবায়ুর পরিবর্তন মোকাবেলায় শিল্পোন্নত দেশের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করার দাবিতে শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশসহ (টিআইবি) কয়েকটি পরিবেশবাদী সংগঠন।
মানববন্ধনে টিআইবি'র নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, জলবায়ু মোকাবেলা করার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায় ব্যর্থ হয়েছেন। তারা তাদের ব্যর্থতার দায়ভার স্বীকার করুক এবং দায়িত্বশীলদের মতন আচরণ করুক। জলবায়ু মোকাবেলার জন্য প্যারিস চুক্তির আওতায় যে সকল চুক্তি হয়েছে তার দ্রুত বাস্তবায়ন করা হোক। এ চুক্তি থেকে তারা কোনো ভাবেই যেনো সরে না আসে।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য মানবসভ্যতা আজ ধ্বংসের মুখোমুখি। এজন্য কার্বন নিঃসরণ হওয়া সকল প্রকল্প বাতিল করতে হবে। নবায়নযোগ্য প্রকল্প চালু করতে হবে। উন্নত দেশের কারণে যেসব দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, যে সব দেশ জ্বালানি ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প হাতে নিয়েছে তারা তাদের আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসুন। যারা এই সিন্ধান্ত নিয়েছেন, যারা এই সকল প্রকল্পের বিনিয়োগ করছেন তাদেরকে বলব আপনাদের সন্তানদের কথা চিন্তা করে, আপনাদের পরবর্তী প্রজন্মের কথা চিন্তা করে আত্মঘাতী প্রকল্প থেকে সরে আসুন।
বাংলাদেশ কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের যে প্রকল্প হাতে নিয়েছে তাতে বাংলাদেশের জলবায়ু ও পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হবে। সুন্দরবন ধ্বংস হয়ে যাবে। প্রাকৃতিক পরিবেশ বিপর্যয়ে পড়বে। এই ব্যাপারে সরকারকে দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি আবো বলেন, ভারত ও চীন নিজেদের দেশে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প থেকে সরে এসেছে। কিন্তু আমাদের দেশেকে জিম্মি করে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
এই মানববন্ধনে বৈশ্বিক তাপমাত্রা সীমিত করা ও বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার সর্বোচ্চ ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রাখার লক্ষ্যে কয়েকটি সুনির্দিষ্ট দাবি তুলে ধরেছেন।
কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে শিল্পোন্নত দেশসমূহকে সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি প্রদান করতে হবে। শিল্পোন্নত দেশগুলোতে তেল, কয়লা এবং গ্যাসভিত্তিক পাওয়ার প্লান্ট কার্যক্রম দ্রুততার সাথে বন্ধ করতে হবে।
উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বন ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর নতুন কয়লাভিত্তিক পাওয়ার প্লান্ট স্থাপন বন্ধ করতে হবে। বাংলাদেশকে এক্ষেত্রে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে এবং কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওপর সরকারের চলমান প্রাধান্যের অবসান করে অনতিবিলম্বে নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে হবে
নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধিতে প্রযুক্তি হস্তান্তর ও অর্থায়ন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, যেমন ভর্তুকি প্রদান করতে হবে।