'জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে দুর্নীতি বিরোধী অভিযান'
দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নের জন্য দুর্নীতি বিরোধী অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের সমাজের একটি বড় সমস্যা হলো দুর্নীতি। দুর্নীতি সমাজে ব্যাপক বৈষম্য তৈরি করছে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করছে। সে কারণেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছে এবং এ নীতি বাস্তবায়নের জন্য দুর্নীতি বিরোধী অভিযান চালাচ্ছে। আমরা দুর্নীতি দূর করে সুনীতি প্রতিষ্ঠা করতে চাই।’
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক কর্তৃক উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণিতে অধ্যয়নরত দুই সহস্রাধিক দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘শিক্ষার সব সূচকে বাংলাদেশ এগিয়ে গেলেও একটি বিষয় আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। তা হলো- সারা বিশ্বে এ তত্ত্ব প্রতিষ্ঠিত, যে জাতি যত উন্নত ও শিক্ষিত, সে জাতির মধ্যে অপরাধ প্রবণতা তত কম। কিন্তু বাংলাদেশে উন্নয়নের গতি ও শিক্ষার হার বাড়লেও সামাজিক অপরাধ কমছে না। সবচেয়ে বেশি উদ্বেগের বিষয় হলো- শিক্ষিত লোকের মাধ্যমেই অপরাধগুলো বেশি ঘটছে এবং এমন কোনো অপরাধ নেই, যেটা শিক্ষিত লোকের মাধ্যমে ঘটছে না। এটা কেন হচ্ছে, তা নিয়ে ভাববার সময় এসেছে। আমাদের পরিবার, সমাজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
এ সময় শিক্ষার্থীদের মাদক ও অনৈতিক কাজের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।
‘যুগোপযোগী ও মানসম্পন্ন শিক্ষা ব্যবস্থা ছাড়া সুশিক্ষিত ও দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলা সম্ভব নয়। তাই সবার জন্য মানসম্পন্ন শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করা আমাদের জাতীয় কর্তব্য। শুধু সরকারের পক্ষে এ বিশাল দায়িত্ব পালন করা দুরূহ ব্যাপার। সরকারের পাশাপাশি সব বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, এমনকি ব্যক্তি বিশেষ এগিয়ে এলে সরকার নতুনভাবে উজ্জীবিত হবে,’ বলেন আইনমন্ত্রী।
গ্রাম ও শহরের লেখাপড়া সমান তালে চলছে দাবি করে আনিসুল হক বলেন, ‘কোনো শিক্ষার্থী যে প্রতিষ্ঠানেই পড়ুক না কেন, সে যেন মানসম্পন্ন শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে, সে ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হচ্ছে। শিক্ষা নিয়ে বাণিজ্য করার পথ বন্ধ করা হচ্ছে। কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করতে নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
ডাচ্-বাংলা ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান সায়েম আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির ও ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাশেম মো. শিরিন বক্তব্য দেন।