শেখ হাসিনার পাশে থেকে ‘সোনার বাংলা’ গড়তে চান সাঈদ খোকন
বাবা প্রয়াত মেয়র মোহাম্মদ হানিফের মতো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে থেকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।
তিনি বলেন, আপনাদের সবার প্রিয় নেতা আমার বাবা মেয়র মোহাম্মদ হানিফ জীবনের সবটুক দিয়ে চেষ্টা করেছিলেন প্রিয়নেত্রী শেখ হাসিনাকে বাঁচাবার জন্য। বাবার সেই দৃষ্টান্ত আমাদের সামনে রয়েছে। আমরা সমস্ত কিছু দিয়ে শেখ হাসিনার পাশে থেকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে চাই।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নগর ভবন মেয়র হানিফ অডিটোরিয়ামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৩ তম জন্মদিন উপলক্ষে ডিএসসিসি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র একথা বলেন। এরআগে মেয়র বঙ্গবন্ধু কন্যার জন্মদিন উপলক্ষে ৭৩টি খাঁচাবন্দী পাখি অবমুক্ত করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ডিএসসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রি: জেনা: ডা. মো. শরীফ আহমেদ, সচিব মোস্তফা কামাল প্রমুখ।
মেয়র বলেন, জীবনে নানা পর্যায়ে আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। বহু স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। সবশেষ বিদেশে যাওয়ার আগ পর্যন্ত দেখা হয়েছে, কথা হয়েছে সার্বিক বিষয়ে তাকে অবহিত করেছি। পথচলাকালে বহু স্মৃতি রয়েছে, বহু আবেগ অনেকটাই রক্তে মিশে গেছে। আমাদের নেত্রী এদেশে স্বৈরাচারে পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। ধর্মনিরপেক্ষতা তুলে ধরেছেন। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষ তার অধিকার ভোগ করতে পারেন সেই অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। অর্থনৈতিক মুক্তি সংগ্রামের সূচনা করেছেন। একসময় বঙ্গবন্ধুকে দিয়ে বাংলাদেশ চিনত আজকে শেখ হাসিনাকে দিয়ে বাংলাদেশকে চিনে। এটা বাস্তব।
এ সময় তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, আমার দুই মেয়ে ইউনির্ভাসিটি অব মেলবোর্নে পড়াশোনা করে। মাত্র এক সপ্তাহ আগে আমাকে টেক্সট পাঠিয়েছে তাদের ক্লাসে যে লেকচার হচ্ছিল সেই লেকচারে প্রধানমন্ত্রীকে নারী ক্ষমতায়নের রেফারেন্স হিসেবে দেওয়া হয়েছিল। আমাদের নেত্রী আজকে বাংলাদেশকে ছাপিয়ে বিশ্বনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। তিনি দশ লাখ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছেন, এটা বিশ্বে বিরল ঘটনা। শুধু রোহিঙ্গা নয়, যখন আওয়ামী লীগের একটা ছোট্ট কর্মী বিপদে পড়লে শেখ হাসিনা তার পাশে দাঁড়িয়েছেন।
সাঈদ খোকন বলেন, নিজে একজন আওয়ামী লীগের ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে আমার জীবনেও অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আজ এখানে। বাবার হাত ধরে রাজনীতিতে এসেছি। রাজনীতির চলার পথে বাবাকে হারিয়েছি। বাবার অনুপস্থিতিতে অভিভাবকের পুরো ভূমিকা আমার নেত্রী নিয়েছেন। একজন অভিভাবক যা করতেন, তাই করেছেন, এক বিন্দু কম করেননি। এই মায়া এই স্নেহ আমার সারাজীবন, সমস্ত কিছু দিয়েও শোধ করতে পারব না।