থাইল্যান্ড ভ্রমণের অভিজ্ঞতা



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, থাইল্যান্ড থেকে ফিরে
এভাবে সাজানো গোছানো থ্যাইল্যান্ডের সাগরপাড়, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

এভাবে সাজানো গোছানো থ্যাইল্যান্ডের সাগরপাড়, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কোনো দেশে গেলে সেই দেশের লোকাল বাস কিংবা সিটি পরিবহনে ভ্রমণ করা আমার এক রকম শখের মতো হয়ে গেছে। এর পেছনে দু’টি কারণ রয়েছে, একটি হচ্ছে সেই দেশের জীবনমান সম্পর্কে ধারণা নেওয়া, পাশাপাশি খরচটাও সাশ্রয় করা।

সম্প্রতি ব্যাংকক শহরে লোকাল বাসে উঠতে গিয়ে দারুণ এক অভিজ্ঞতা হয়েছে। গন্তব্য ছিল ব্যাঙ্কাপি, এটুকু সম্বল। বাসের নম্বর রুট সবই অজানা, বাস স্টপেজটিও ফাঁকা। কয়েক গজ দূরে জুতার দোকানে ঢুকে দেখি, দুই কিশোরী। একটির বয়স পনেরর কাছাকাছি হবে, অপরটির নয়-দশের মতো।

বড় মেয়েটি এক ক্রেতাকে জুতা দেখাচ্ছিল। তার কাছে ব্যাঙ্কাপির বাসের তালাশ করতেই চটপট জবাব দিল, আই ডোন্ট নো। জাস্ট ওয়েট এ মোমেন্ট। টক উইথ মাই মাদার। ছোটো মেয়েটিকে ক্রেতা সামলানোর নির্দেশ দিয়ে দোকানের পেছনের কোনের প্যাঁচানো সিঁড়ি দিয়ে দৌড়ে উপরে উঠে গেল কিশোরীটি। মুহূর্তেই আবার মেয়েটি নেমে এল। পেছন পেছন চোখ কচলাতে কচলাতে নেমে এলেন কিশোরীর মা। ওই নারী ইংরেজি বলতে পারেন না। কিশোরী দোভাষির ভূমিকা নিয়ে আমাদের জিজ্ঞাসা শুনে তার মাকে থাই ভাষায় বলল। ওর মা আবার তাকে ব্রিফ করলে, মেয়েটি আমাদের সঙ্গে করে দোকানের বাইরে এসে বাস স্টপ দেখিয়ে দিল। আর বলল, বাস নম্বর সিক্স জিরো।

কয়েক মিনিট পরেই দেখা মিলল ৬০ নম্বর বাসের। শুধু নম্বটি ইংরেজিতে। আর সবই থাই ভাষায়। বাসে উঠে নারী সুপারভাইজারকে বলতেই নির্ধারিত ভাড়া কেটে নিলেন। তাকে জানিয়ে দিলাম আমরা ব্যাঙ্কাপি চিনি না। ব্যাঙ্কাপি চলে এলে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার অনুরোধসহ।

কেউ মনে করতে পারেন, হয়তো মেয়েটি ভালো ছিল বলে দারুণভাবে সহযোগিতা করেছে। কিন্তু না পরের দিন আবার বাস ধরব, এবার গন্তব্য সুকুম্ভিত-৩ থেকে ব্যাংকক হাসপাতাল। ফুটপাতে এক নারী দোকানি তখন সবেমাত্র দোকান খুলে পসরা সাজাচ্ছিলেন। তাকে রাস্তা জিজ্ঞেস করলাম। কিন্তু তিনি ইংরেজি জানেন না, আকারে ইঙ্গিতে হাসপাতালের রাস্তা খোঁজার বিষয়টি বুঝতে পেরে প্রায় ১শ’ গজ সঙ্গে করে নিয়ে সামনে একটি বড় সাইনবোর্ডে ব্যাংকক লেখা দেখিয়ে দিলেন। আমরা যখন না সূচক জবাব দিলাম। তখন আরেকটি মেয়ের কাছে নিয়ে গেলেন। ওই মেয়েটি বেশ ভালোই ইংরেজি জানেন বলে মনে হলো। ঝটপট জনিয়ে দিলেন বাসের নম্বর এবং কোন স্টপেজে নামতে হবে।

Thai
এভাবে সাজানো গোছানো থ্যাইল্যান্ডের সাগরপাড়, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

 

আরেকটি ঘটনা চাতুচাক মার্কেটের। সহকর্মী মুবিনুল ভাই একটি পণ্য কিনতে চান। মোবাইল ফোনে ছবি দেখালেন এক নারী দোকানিকে। এখানে বলে নেওয়া অবশ্যক থাইল্যান্ডের বেশিরভাগ দোকানি নারী। ওই নারী নিজের দোকান ছেড়ে পরের গলিতে এসে আমাদের দোকান দেখিয়ে দিলেন। এ দোকানি ইংরেজি না জানায় এখানে দোভাষির কাজ সারলেন নিজের দোকান ফেলে।

আমার দেশের কোনো দোকানির কাছে এমন আচরণ আশা করা যায়? অনেকে তো কথাই বলতে চান না। খুব বেশি হলে বলবেন, সামনে দেখেন, পরের গলিতে থাকতে পারে।

আরেকটি ঘটনা, এয়ারপোর্টে যাওয়ার জন্য ট্যাক্সি আগেই বুকিং দেওয়া ছিল। প্রায় ৪০ মিনিট আগেই হাজির। যথা সময়ে রেডি হয়ে নিচে নেমে তাকে অনুরোধ করলাম, আমরা আগে নাস্তাটা সেরে নিতে চাই। এতে যাত্রার শুরুতে নির্ধারিত সময়ের ৩০ মিনিট গড়িয়ে যেতে পারে। ড্রাইভার মাথা ঝাঁকিয়ে হ্যাঁ সূচক জবাব দিলেন। লাগেজ গাড়িতে ওঠানো, নামানো, এয়ারপোর্ট পৌঁছে ট্রলি এনে লাগেজ তুলে দিতে তার প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা। আবার ভাড়াও কিন্তু নির্ধারিত ৫শ’ বাথেই নিলেন। আমরা বাঙালিরা হলে অপেক্ষমাণ সময়ের বাড়তি ভাড়া আদায়ে সচেষ্ট থাকতাম।

এ রকম আরও বেশ কয়েকটি ঘটনা শ্রদ্ধায় যেন মাথা নুয়ে পড়ার মতো। আর আমরা কি করছি? ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং খুঁজে হয়রান হচ্ছিলাম। বনানী এগারো নম্বরে ডাচ্-বাংলার ফাস্ট ট্যাকে গেলে দায়িত্বরত কর্মকর্তা বললেন, আমাদের এখানে জমা দিতে পারবেন, টাকা পাবেন কালকে। আপনি যদি এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে জমা দেন, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে পেয়ে যাবেন।

তার কাছে জানতে চাইলাম, কোথায় এজেন্ট ব্যাংকিং পাওয়া যাবে? তিনি বললেন, আমি এ এলাকায় নতুন এসেছি, জানি না। এরপর খুঁজতে খুঁজতে গুলশান ১ নম্বর থেকে হাতিরঝিলে যাওয়ার পথে আরেকটি ফাস্ট ট্র্যাকে গেলে তিনিও জানালেন, এখানে জমা দিলে পর দিন পাবেন। তার কাছে জানতে চাইলাম, এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের ঠিকানা। বললেন, গুগলে সার্চ দেন, পেয়ে যাবেন।

পাল্টা প্রশ্ন করলাম, আপনার সামনে তো কম্পিউটার খোলা, একটু সার্চ দিয়ে বলা যায় কি না? উত্তর এলো, আমার এখানে শো করবে না। এ হলো বাংলাদেশ আর ব্যাংককের পার্থক্য।

thai
ব্যাংকক শহরের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে নদী, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

 

ট্যুর অপরেটর এক্সিলেন্স এশিয়ার ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবি সিদ্দিক টিটো এক েদিন বলেছিলেন, আমাদের পর্যটন স্পটের মানুষজন ট্যুরিস্ট ফ্রেন্ডলি নন। আমাদের আচরণগত পরিবর্তন আনতে হবে। এবার সেটা হাড়ে হাড়ে টের পেলাম, মানুষ কেন বারবার থাইল্যান্ডে যেতে চায়।

আমার বেশ কয়েকজন কলিগ রয়েছেন। যাদের সঙ্গে মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ভারতসহ অনেক দেশ সফর করেছি। তাদের যদি বলি, চলেন মালয়েশিয়া যাই। তারা বলেন, আগ্রহ নেই। তবে সুযোগ পেলে আবার থাইল্যান্ড যেতে চাই।

থাইল্যান্ডের লোকজন বেশিরভাগই ভালো, খুবই আন্তরিক। তবে কিছু ট্যাক্সিচালক একটু বাড়তি দাম হাঁকিয়ে থাকেন। যে কারণে এ ক্ষেত্রে একটু সচেতনতা জরুরি।

   

গরমে জানটা শ্যাষ হয়া গেইল!



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের সাহেব আলী। এই অইদের (রোদ) ঠ্যালায় জানটা ব্যার হয়া যাবার নাগছে বাহে! গরীম মানুষ বাঁচে কেমন করি। জারের (শীত) সমায় (সময়) কনকনা ঠান্ডা আর গরমের সমায় গরম। হামরা ঘর থাকি ব্যার হওয়া যায় না। জানটা শ্যাষ (শেষ) হয়া গেইল।

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রবাহে সৃষ্ট দাবদাহে অতিষ্ট লালমনিরহাটের জনজীবন। বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষ ক্রমশ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। আগুন ঝরা বাতাসে নারী-শিশুসহ কর্মজীবী মানুষ দিন দিন অসুস্থ্য হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়কে যানবাহন ও যাত্রীর সংখ্যা কম, জরুরি কাজ ছাড়া কেউ বাহিরে বের হচ্ছেন না।

বৃহস্পতিবার দুপুরে কথা হয় হাতীবান্ধা উপজেলার ভ্যানচালক নুরআলম সাথে, তিনি বলেন, বৈশাখের চনচনা অইদোত রোদে মাল নিয়া ভ্যান চালাইতে কষ্ট হয়। গরমের ঠ্যালায় কইলজা ফাটি যায়। ওই জন্যে ঠান্ডাত (গাছের ছায়া) একনা দম নিবার নাগছি।

তিনি আরো বলেন, কোথাও ঠান্ডার আভাস নাই। এভাবে চলতে থাকলে আমরা কর্মহীন হয়ে পড়বো। পরিবার পরিজনের মুখে দু’মুঠো ভাত তুলে দেয়া দুরুহ ব্যাপার হয়ে পড়বে। রিকশাচালক হামিদুল ইসলাম বলেন, ‘গত চার-পাঁচ দিন ধরে আয় রোজগার কমে গেছে। বেলা সাড়ে ১০-১১টার পর রাস্তায় আর কোনো যাত্রী থাকে না।

বাসচালক আকবর আলী বার্তা২৪.কমকে জানান, গরমের কারণে লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়কের বিভিন্ন জায়গায় পিচ (বিটুমিন) উঠে গাড়ির চাকার সাথে লেগে যায়। এতে খুব সতর্ক অবস্থায় গাড়ী চালাতে হয়েছে।

লালমনিরহাট জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ রমজান আলী বার্তা২৪.কমকে জানান, প্রচন্ড গরমে শিশু ও বয়স্করা ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়েছে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দৈনিক শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। জেলার প্রতিটি হাসপাতালে শিশু রোগী ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সময়ে তরল জাতীয় খাবার গ্রহণ, যথাসম্ভব বাহিরে বের না হওয়া, সাথে খাবার পানি রাখা, ছাতা ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার।

কুড়িগ্রাম আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র বার্তা২৪.কমকে বলেন, দুপুর ১২টায় লালমনিরহাটে তাপমাত্রা ৩৮.৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।

লালমনিরহাট জেলা তথ্য অফিসার শাহজাহান আলী (অতিরিক্ত দায়ত্বি) বার্তা২৪.কমকে জানান, লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশে জেলার সর্বত্র সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রয়েছে।

;

কুয়াকাটায় জেলের জালে ২৬ কেজির কোরাল



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, (কলাপাড়া-পটুয়াখালী)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পটুয়াখালির কুয়াকাটায় বঙ্গোপসাগরে রাসেল মাঝি (৩৫) নামের এক জেলের জালে ধরা পড়েছে ২৬ কেজি ওজনের একটি কোরাল মাছ।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর ১.৩০ মিনিটে কুয়াকাটা মেয়র মৎস্য মার্কেটের মনি ফিস আড়তে মাছটি নিয়ে আসা হয়। এসময় মাছটি এক নজর দেখতে ভিড় জমায় উৎসুক জনতা। পরে কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পাইকারি মাছ ব্যবসায়ী বিক্রম চন্দ্র নিলামের মাধ্যমে ৩০ হাজার টাকায় মাছটি কিনে নেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বঙ্গোপসাগরের বলেশ্বর নদীর সাগর মোহনায় মাছটি ধরা পড়ে।

মাছ পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে রাসেল মাঝি বলেন, প্রতিদিনের মত গত সোমবার (২২ এপ্রিল) ধুলাস্বার ইউনিয়নের বাবলাতলা বাজার থেকে (মায়ের দোয়া) নামের ট্রলার নিয়ে গভীর সাগরে যাই। পরে বলেশ্বর নদীর সাগর মোহনায় জাল ফেলার পর অন্যান্য মাছের সঙ্গে এ কোরাল মাছটি ধরা পড়ে। মাছটির ওজন বেশি হওয়ায় আমাদের ট্রলারে তুলতে অনেক বেগ পেতে হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এর আগেও আমার জালে ১০ থেকে ১৫ কেজি ওজনের কোরাল মাছ ধরা পড়েছিলো। তবে আমার জালে ধরা এটিই সবচেয়ে বেশি ওজনের কোরাল। মাছটি খুব ভাল দামে বিক্রি করেছি। এত বড় মাছ পেয়ে আমার ট্রলারে থাকা জেলেসহ আমি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি।

মাছটি ক্রয় করা ব্যবসায়ী বিক্রম চন্দ্র বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে মাছের ব্যবসা করি, এত বড় কোরাল আসলে সব সময় পাওয়া যায় না। মাছটি দেখেই আমার পছন্দ হয়েছে। তাই নিলামে আমিই বেশি দাম হেঁকে এ মাছটি ক্রয় করেছি। মাছটি বিক্রির জন্য আজই ঢাকায় পাঠাবো। আশা করছি আমি ভালো মানের লাভ করতে পারব।

কলাপাড়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, কোরাল মাছ খুবই সুস্বাদু। শিশুদের মানসিক বিকাশে কোরাল মাছ গুরুত্বপূর্ণ। আশা করছি বৃষ্টি হলে জেলেদের জালে ইলিশের পাশাপাশি আরও বড় বড় মাছ ধরা পড়বে।

;

বিশ্বনাথে নারী কাউন্সিলরের মামলায় ৭ জনের জামিন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়রের গাড়ি চাপায় হত্যা চেষ্টার অভিযোগে নারী কাউন্সিলরের দায়ের করা মামলায় ৮ জনের মধ্যে দুই কাউন্সিরসহ ৭ জনকে জামিন দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সিলেটের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রট প্রথম আদালতে জামিন আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। তবে মামলার প্রধান আসামি মেয়র মুহিবুর রহমান আদালতে জামিন আবেদন করেননি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুমন পারভেজভ

জামিন প্রাপ্তরা হলেন - কাউন্সিলর ফজর আলী, কাউন্সিলর বারাম উদ্দিন, পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও পৌরসভার উদ্যোক্তা সুরমান আলী, দক্ষিণ মীরেরচর গ্রামের মৃত রুস্তম আলীর ছেলে মিতাব আলী, রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত তবারক আলীর ছেলে আনোয়ার আলী, রহমাননগর গ্রামের শমসের আলীর ছেলে মেয়রের গাড়ি চালক হেলাল মিয়া ও জানাইয়া গ্রামের মৃত তোতা মিয়ার ছেলে আব্দুস শহিদ।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিশ্বনাথ থানায় বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করে নারী কাউন্সিলর রাসনা বেগম। মামলা নং-(৫)। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি রাখা হয় আরও ৪/৫ জন।

এ ব্যাপারে অ্যাডভোকেট সুমন পারভেজ বলেন, এই মামলার প্রধান আসামি মেয়র মুহিবুর রহমান জামিন আবেদন করেননি। তবে মেয়র ছাড়া বাকি ৭ জন আসামি জামিন আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

;

নারী চিকিৎসককে ইভটিজিং করায় যুবকের কারাদণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক নারী চিকিৎসককে হয়রানি করার অপরাধে সাগর হোসেন (২৬) নামে এক যুবককে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত সাগর হোসেন দৌলতপুর থানা বাজার এলাকার বিপ্লব হোসেনের ছেলে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওবায়দুল্লাহ।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তোহিদুল ইসলাম জানান, ওই যুবক বেশ কিছু দিন ধরে আমাদের এক নারী চিকিৎসককে নানাভাবে হয়রানি করে আসছিল।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে হাসপাতালে এসে একইভাবে তাকে হয়রানি করতে গেলে আমরা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করি।

পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওবায়দুল্লাহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বখাটে সাগর হোসেনকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। পরে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

;