মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে ইলিশের দাম বেশি: প্রতিমন্ত্রী
পাইকারি ইলিশ ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে দাবি করে, মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে ঢাকায় বেশি দামে ইলিশ বিক্রি হয় বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রমতিন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু।
তিনি বলেন, মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে ঢাকায় বেশি দামে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। তবে আমাদের নজরদারি রয়েছে। আগে প্রতিকেজি ইলিশ আড়াই হাজার টাকা উঠে গিয়েছিলো এখন সেটা নেমে এসেছে।
সোমবার (৭ অক্টোবর) মৎস ও প্রাণিসম্পদক মন্ত্রণালয়েরর সভাকক্ষে ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০১৯’ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ইলিশের দাম নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না কেন জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মুক্তবাজার অর্থনীতিতে নিয়ন্ত্রণের খুব একটা সুযোগও নেই। তাছাড়া অসাধু ব্যবসায়ীরা তো কিছুটা কারসাজি করেই থাকে। খুচরা বাজারে ৭০০ গ্রাম থকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ প্রতিকেজি ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকার কমে পাওয়া না গেলে পাইকারি বাজারে প্রতিকেজি ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
৩০০ টাকা দামে ইলিশ কোথায় পাওয়া যাচ্ছে জানতে চাইলে খসরু বলেন, ‘আমাদের সোয়ারি ঘাটে যান, বিভিন্ন ঘাটে যান পাইকারিতে ৭০০ গ্রাম থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ ৩০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু কয়েকটা হাত বদল হয়ে মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে খুচরা বাজারে এলে ইলিশের দামটা বৃদ্ধি পাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘মৎস্য আহরণের পরে আমাদের ল্যান্ডিং স্টেশনে এনে জেলে ভাইয়েরা মাছ বিক্রি করে। সেখানে ৩০০ টাকা কেজিতেই ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। শুধু তাই না ৩০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়াতে আমাদের জেলে ভাইয়েরা অনেক খুশি।’
অভিযান প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী বুধবার (৯ অক্টোবর) থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। এই সময়ে ইলিশের আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ থাকবে। এই সময়ে মা ইলিশ ডিম পাড়ে। ৮০ শতাংশ ইলিশ ডিম পাড়ে। তারা ডিম পাড়ে মূলত মিঠা পানিতে। তাই আশ্বিনের পূর্ণিমার চারদিন আগে এবং পূর্ণিমার পর ১৮ দিন মোট ২২ দিন দেশের উপকূলীয় অঞ্চল, নদীর মোহনাসহ যেসব জেলা ও নদীতে ইলিশ পাওয়া যায়, সেখানে মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকবে।