বঙ্গবন্ধু সেতুতে ঝুঁকি নিয়ে চলছে ট্রেন, পৃথক রেলসেতু জানুয়ারিতে



তৌফিকুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
বঙ্গবন্ধু সেতুর উপর দিয়ে ধীরগতিতে চলছে ট্রেন, ছবি: সংগৃহীত

বঙ্গবন্ধু সেতুর উপর দিয়ে ধীরগতিতে চলছে ট্রেন, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গবন্ধু সেতুর উপর ট্রেন উঠলেই কমে যায় ট্রেনের গতি। বিগত সময়ে সেতুতে ফাটল দেখা দেওয়ায় সেতুর উপর ট্রেন ধীরগতিতে চালানো হয় বলে জানা গেছে। বঙ্গবন্ধু সেতুতে কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলাচল করছে ট্রেন। এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন ৩৫ টি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করে। প্রতিটি ট্রেনের বঙ্গবন্ধু সেতু পার হতে সময় লাগে ২৭ মিনিট। এজন্য পৃথক রেল সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিলো ২০১৬ সালে। যার কাজ আগামী বছরের ডিসেম্বর মাসে শুরু করার কথা বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

বৃহৎ এই প্রকল্প হাতে নেওয়ার তিন বছর পার হয়ে গেলেও তেমন কোন অগ্রগতি হয়নি। এখন পর্যন্ত সেতু নির্মাণে সম্ভাব্যতা যাচাই, নকশা প্রণয়ন, তদারকির কাজ ও পরামর্শক নিয়োগের কাজেই ব্যয় হয়েছে।

রেল সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, 'বঙ্গবন্ধু সেতুতে ট্রেন চালানো ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় পারাপারের সময় ও গতি অনেক কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর এই সেতু দিয়ে রেলে পণ্য পরিবহনও বন্ধ রয়েছে। এজন্যই পৃথক রেল সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে’।

বঙ্গবন্ধু রেলসেতু প্রকল্প সূত্র জানা গেছে, সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ও জাপানের উন্নয়ন সংস্থা জাইকার সহযোগিতায় এই রেল সেতু নির্মাণ করা হবে। নয় হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে। যার মধ্যে জাইকা দেবে সাত হাজার ৭২৪ কোটি টাকা। আর সরকার এই প্রকল্পে অর্থ দিবে ২ হাজার ১০ কোটি টাকা।

প্রকল্প সূত্রে আরো জানা যায়, যমুনা নদীর ওপর ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘের ডুয়েল গেজ ডাবল লাইনের এই রেলসেতু নির্মাণ করা হবে। বর্তমান বঙ্গবন্ধু সেতুর ৩০০ মিটার উজানে এই রেল সেতুটি নির্মাণ হবে। এর উভয় দিকে ভায়াডাক্ট থাকবে ৫৮০ মিটার। যমুনা ইকোপার্কের পাশ দিয়ে এটি বিদ্যমান বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম অংশের রেলপথের সঙ্গে যুক্ত হবে। পশ্চিম অংশে তিনটি স্টেশন বিল্ডিং, তিনটি প্ল্যাটফর্ম ও শেড, তিনটি লেভেল ক্রসিং গেট ও ছয়টি কালভার্ট নির্মাণ করা হবে। আর রেল সেতুর পূর্ব অংশে লুপ লাইন, ১৩টি কালভার্ট ও দুটি সংযোগ স্টেশন নির্মাণ করা হবে।

রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন জানিয়েছেন, ‘যমুনা সেতুর উপরে পৃথক রেল সেতু নির্মাণের কাজ আগামী বছরের জানুয়ারি মাস থেকে শুরু হয়ে যাবে। এই রেল সেতু নির্মাণ হলে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের গতি হবে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে স্বাভাবিক গতির চেয়েও কম গতিতে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করে। এছাড়া ট্রেনের বিভিন্ন রুটে ডাবল লাইন নির্মাণের কাজও চলমান আছে’।

বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক মোঃ কামরুল আহসান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘রেল সেতুর মাঠ পর্যায়ের কাজ প্রায় গুছিয়ে আনা হয়েছে।  দরপত্র মূল্যায়নও চূড়ান্ত অবস্থায় আছে । আমরা আশা করছি রেল সেতুর মূল কাজ জানুয়ারিতেই শুরু করতে পারবো। বর্তমানে প্রকল্পের কাজ চলমান আছে। রেল সেতু নির্মাণ হলে পুনরায় পশ্চিমাঞ্চলে রেল সেবায় গতি পাবে’।

   

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি: ১১ বছরেও শোক কাটেনি স্বজনদের



রাজু আহম্মেদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি: ১১ বছরেও শোক কাটেনি স্বজনদের

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি: ১১ বছরেও শোক কাটেনি স্বজনদের

  • Font increase
  • Font Decrease

 

যশোর জেলার ঝিকরগাছা এলাকার রাহেনা খাতুন। তার মেয়ে মুক্তা আক্তার ২০১০ সালে বাবা মায়ের অভাবের সংসারের হাল ধরতে চাকরি নিয়েছিলেন রানা প্লাজার আট তলার গার্মেন্টসে। চাকরিতে যোগদানের পর মায়ের সংসারের সব খরচ চালাতেন তিনি। দুঃখ দুর্দশার জীবন থেকে পরিবারে কিছুটা স্বস্তির দেখা মিলছিলো মুক্তার আয়ের টাকায়। তবে সে সুখ টিকেনি। ২০১৩ সালে রানা প্লাজা ট্রাজেডিতে নিহত হন মুক্তা। নিঃস্ব হয়ে পড়ে মুক্তার মা রাহেনা খাতুন।

মেয়ে হারানো ১১ বছরেও শোক কাটেনি অসহায় এই মায়ের। বুকভরা আর্তনাদ নিয়ে সাভার এসেছেন ষাটোর্ধ্ব রাহেনা খাতুন। মেয়ে হারানোর বেদনায় কেঁদে বুক ভাসাচ্ছেন তিনি।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে কথা হয় মুক্তার মা রাহেনা খাতুনের সাথে। মেয়ের স্মৃতি স্মরণ করে তিনি বলেন, অভাবের সংসারে হাল ধরবে। তাই এসেছিল ঢাকায়। ১৮ বছর বয়স তখন মুক্তার। আমাকে বিকাশে টাকা পাঠাতো। গাড়িতে টাকা পাঠাতো। যখন চাইতাম ৫০০, ৮০০ টাকা দিত। সেই মেয়ে আমার ডাকে না। কল দেয় না। জোর করে আমার মেয়েকে মেরে ফেলছে মালিক। মেয়ের ছবি খুলতে পারি না।  বুক ফেটে যায়। মেয়ের অস্তিত্ব পাব সে আশায় আসি প্রতি বছর মেয়েকে তো পাই না।


এদিকে একি ট্র্যাজেডিতে বড় ছেলে হারিয়ে শূন্যতায় ধুকে মরছেন জামালপুর মেস্টা ইউনিয়নের শিমল তলি এলাকার খুরশিদা বেগম। বাবার মৃত্যুর পর মায়ের দুঃখ সইতে না পেরে খুরশদার বড় ছেলে আল আমিন শান্ত কাজের জন্য এসেছিল ঢাকায়। কোথাও কোনো কাজ না পেয়ে আল আমিন কাজ নিয়েছিলো রানা প্লাজার গার্মেন্টসে। তবে ছেলের ইনকামের টাকার সৌভাগ্যই কাল হয়েছিলো খুরশিদার জীবনে। মায়ের কষ্ট মুছতে এসে পৃথিবী থেকে নিজেই হারিয়ে গেছেন মা পাগল ছেলে।

খুরশিদা বেগম বলেন, আজও আমার চোখে আমার ছেলে ভাসে। পন্স স্যান্ডেল পরে হেঁটে আসে। আম্মু আম্মু বলে ডাকে। আমার ছেলে আমাকে কল দিত বলত মা খেয়ে নাও। আমি খাব না তুমি না খেলে। তুমি তো আমার সব আম্মু। তুমি নিজের খেয়াল রাখবা আম্মু। এখন আর আমার ছেলে ডাকে না।

খুরশিদা আরও বলেন, আমার পাগল ছেলে মায়ের ঋণ শোধ করতে চাইছিলো। মাকে ভালো রাখবে তাই ঢাকা আসছিলো। আমিও ছেলের কামাই খেতে চাইছিলাম। সে আমার প্রতি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিজেই চলে গেলো।


রানা প্লাজা ট্রাজেডিতে খুরশিদা ও রাহেনা খাতুনের সন্তান ও প্রিয়জন হারানোর মতো এমন করুণ গল্প আছে ১১৭৫টি পরিবারের। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভার বাস স্ট্যান্ডের পাশেই নির্মিত রানা প্লাজা নামের বহুতল ভবনটি ধসে পড়ে। সে সময় ভবনটির নিজ তলায় বিপনীবিতান ও ৮ম তলা পর্যন্ত ছিল পোষাক কারখানা। পোষাক কারখানায় প্রায় ৫ হাজার শ্রমিক কর্মরত ছিল। তাদের মধ্যে ১১৭৫ নিহত হন। এখনো ভয়াবহ সেই দুর্ঘটনায় আহত হয়ে আতঙ্ক নিয়ে বেঁচে আছে প্রায় ২ হাজারের বেশি মানুষ।

নিহতের স্বজন ও আহতদের অভিযোগ রানা প্লাজার ট্র্যাজেডির এত বছরেও পূরণ হয়নি ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি। আশ্বাসের বিশ্বাসে ১১ বছর কেটে গেলেও শাস্তি হয় নি রানা প্লাজা ট্র্যাজেডিতে দোষী ব্যক্তিদের। বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ ইন্ডাস্ট্রিয়াল এই দুর্ঘটনায় আদায় হয়নি শ্রমিকের ন্যায্য দাবিও। ফলে হতাশা ও ক্ষোভ নিয়েই বছরের পর পর স্বজন হারার ব্যথা নিয়ে চলছে পরিবারগুলো।

এদিকে শ্রমিক নেতারা বলছেন, সরকারের সদিচ্ছার অভাবেই এখনও শ্রমিকরা ন্যায্য পাওনা বুঝে পায়নি। বিশ্ব যেখানে সাক্ষী। সেখানে শ্রমিকের সাক্ষা গ্রহণের নামে না আ অজুহাতে কার্যকর হচ্ছে দোষীদের বিচার। ফলে ভুক্তভোগীদের ক্ষতিপূরণ ও দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার দাবি তাদের।

;

যশোরে প্রেমিকাকে শ্বাসরোধে হত্যা, প্রেমিক আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

যশোরে প্রেমিকাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেও শেষ রক্ষা হয়নি প্রেমিকের। অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

এদিকে, বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে যশোর সদর উপজেলার বুকভরা বাওড়ের পাশ থেকে প্রেমিকা মিতুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

স্থানীয়রা জানায়, বুধবার সকালে যশোর সদর উপজেলার বুকভরা বাওড়ের পাশে শাড়িপরা এক নারীর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এসময় তার কাছে একটি মোবাইল ফোন পড়ে ছিল। তারা খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।

এ বিষয়ে ডিবি’র (ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চ) এসআই (উপপরিদর্শক) খান মাইদুল ইসলাম রাজীব জানান, নিহত মিতুর বাড়ি সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায়। এক সময় তিনি মুসলমান ছিলেন। তখন তার নাম ছিল খাদিজা। পরে ধর্মান্তরিত হয়ে তিনি হিন্দুধর্ম গ্রহণ করেন। তিনি তার এলাকার এক যুবকের সঙ্গে যশোরে ঘুরতে আসেন। একপর্যায়ে ওই যুবক তাকে ওই শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে অভিযান চালিয়ে গোয়েন্দাদের একটি দল ওই যুবককে আটক করে। ওই যুবকের নাম ও ঠিকানা চানতে চাইলে মাইদুল বলেন, এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পরে প্রেসব্রিফিং করে হত্যার বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

এদিকে, হালসা গ্রামের একটি সূত্র জানায়, আটক প্রেমিকের নাম মৃন্ময়। তিনিও পাটকেলঘাটার বাসিন্দা। বুধবার সকাল ১০টায় হালসা গ্রাম থেকে ডিবির একটি দল মৃন্ময়কে আটক করে।

 

;

নওগাঁয় ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় মাদ্রাসা শিক্ষকের জেল-জরিমানা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
নওগাঁয় ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় মাদ্রাসা শিক্ষকের জেল-জরিমানা

নওগাঁয় ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় মাদ্রাসা শিক্ষকের জেল-জরিমানা

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁ জেলার বদলগাছী থানার উত্তর পাকুরীয়া গ্রামের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা মামলায় মাদ্রাসা শিক্ষককে দশ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে এক মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। এ রায় প্রদান করেছেন নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. মেহেদী হাসান তালুকদার। জরিমানার অর্থ ধর্ষণ চেষ্টার শিকার ছাত্রীকে প্রদানের নির্দেশ দেন বিচারক। বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে এ রায় ঘোষণা করেন বিচারক।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৯ মে সকাল ছয়টার সময় নয় বছরের ছাত্রী একই গ্রামের আরবি শিক্ষক আবুল হাসান (২৫) এর বাড়িতে আরবি পড়তে যায়। সে সময় অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীরা না আসায় ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। ছাত্রীটির মা বদলগাছী থানায় অভিযোগ করলে তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা থাকায় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। আদালত আট জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বুধবার রায়ের জন্য দিন ধার্য করেন। আসামিকে দশ বছর সশ্রম কারাদনণ্ড ও পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে এক মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডের রায় পড়ে শুনানো হয় এবং আসামিকে সাজা পরোয়ানা মূলে জেলা কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে বিশেষ কৌশলী এ্যাডভোকেট আজিজুল হক ও আসামি পক্ষে এ্যাডভোকেট মামুনূর রশিদ মামলা পরিচালনা করেন। রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং আসামি পক্ষ উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানান।

;

বৃষ্টির পরও চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১.২ ডিগ্রি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বস্তির বৃষ্টির পরও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপদাহ অব্যাহত রয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) বেলা তিনটায় এ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ২১ শতাংশ।

এর আগে, মঙ্গলবার মধ্যরাতে চুয়াডাঙ্গায় ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে স্বস্তির বৃষ্টি হয়। তাতেও কমেনি তাপমাত্রা। প্রচণ্ড রোদ-গরমে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠছে।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার (২০ এপ্রিল) এ জেলায় সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। রোববার (২১ এপ্রিল) ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি, সোমবার (২২ এপ্রিল) ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি ও মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। আজ বুধবার বেলা তিনটায় রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২১ শতাংশ।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাত একটার দিকে চুয়াডাঙ্গায় ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি শুরু হয়। এসময় ১ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।

তিনি আরও জানান, চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মাঝারি থেকে তীব্র তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে। এই তাপপ্রবাহ আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে।

টানা কয়েকদিনের তাপদাহ থেকে মুক্তি পেতে চুয়াডাঙ্গায় গত মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে বৃষ্টি জন্য নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। এসময় তারা মহান আল্লাহর দরবারে রহমতের বৃষ্টি প্রার্থনা করে কেঁদে কেঁদে বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন। এরপর রাতেই শুরু হয় স্বস্তির বৃষ্টি। তবে বৃষ্টির পরও কমেনি এ জেলার তাপমাত্রা।

চুয়াডাঙ্গা শহরের মুদি ব্যবসায়ী মারুফ হাসান জানান, রাতে বৃষ্টির পর ভেবেছিলাম গরম হয়ত একটু কমবে। কিন্তু বেলা বাড়ার সাথে সাথে দেখছি তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে।

;