সহজেই ভাঙছে না পাগলা মিজানের মাদক সিন্ডিকেট!



মনি আচার্য্য, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মোহাম্মদপুরের ৩২ নাম্বার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান ওরফে পাগলা মিজানকে রোববার (১৩ অক্টোবর) শ্রীমঙ্গলে বান্ধবীর বাসা থেকে আটক করে র‌্যাব।

আটকের পর থেকে পাগলা মিজানের বিরুদ্ধে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য বের হয়ে আসছে গোয়েন্দা তদন্তে। আমেরিকার টেক্সাসে ও সিডনিতে একাধিক বাড়ি গাড়িসহ মিজানের অবৈধ পথে আয় করা কোটি কোটি টাকার সন্ধান পাওয়া গেছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্রে জানা যায়, মোহাম্মদপুরের ত্রাস পাগলা মিজানের সকল অবৈধ আয়ের উৎস ছিল ৩২ নাম্বার ওয়ার্ড কেন্দ্রিক। আরও নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্প কেন্দ্রিক। ক্যাম্পকে ঘিরেই গড়ে উঠে পাগলা মিজানের অপরাধের সাম্রাজ্য।

মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পের স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জেনেভা ক্যাম্পে একক রাজত্ব ছিল পাগলা মিজানের। ক্যাম্প ও এর আশপাশের এলাকায় চাঁদাবাজি এবং মাদক ব্যবসার মূলহোতা তিনি। ক্যাম্পের গুটিকয়েক লোকের মাধ্যমে মাদকের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতেন তিনি। এছাড়া বর্তমানে পাগলা মিজান গ্রেফতার হয়ে রিমান্ডে থাকলেও এখনো ভাঙেনি তার মাদক ব্যবসার সিন্ডিকেট।

পাগলা মিজানের লোকজন  তার অনুপস্থিতিতে এখনও নানা কৌশলে মাদক ব্যবসা চালু রেখেছে ক্যাম্পে। মোবাইলের ফোনের মাধ্যমে ক্যাম্পে ইয়াবা ও গাঁজার রমরমা ব্যবসা চলছে। যা সহজে ভাঙবে না বলে মনে করছেন স্থানীয়রা বাসিন্দারা।

জেনেভা ক্যাম্পের মাদকের মূলহোতা পাগলা মিজান

স্থানীয় বাসিন্দা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্রে জানা যায়, ক্যাম্পের ইসতিয়াখ, আরশাদ, বেজি নাদিম ও আরমানসহ সর্বমোট ৪০ জনের একটি গ্রুপ পাগলা মিজানের নির্বাচনের সহযোগী হিসেবে কাজ করেন। কাউন্সিলর হওয়ার পর পাগলা মিজানের কাছে কর্মসংস্থান চান তারা। ওই সময় পাগলা মিজান নির্বাচনে সহযোগিতাকারীদের জেনেভা ক্যাম্পে মাদক ব্যবসা শুরু করতে বলেন।

এরপর তার মদদে ইসতিয়াখ ও আরশাদের নেতৃত্বে ক্যাম্পে গড়ে উঠে মাদক ব্যবসার সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেট প্রতিদিন মাদক বিক্রির ১-২ লাখ টাকা পৌঁছে দিত পাগলা মিজানের কাছে। এই সিন্ডিকেটের লোক নিয়োগ থেকে শুরু করে সব কিছুই তদারকি করতেন পাগলা মিজান। ক্যাম্পের কোনো যুবক মাদক ব্যবসায় জড়াতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে প্রথমে টাকা ও কর্মসংস্থানের লোভ দেখানো হত। তার পরেও রাজি না হলে মামলাসহ নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে মাদক ব্যবসায় আসতে বাধ্য করতেন পাগলা মিজান।

এখনও সক্রিয় পাগলা মিজানের মাদক সিন্ডিকেট

জেনেভা ক্যাম্পের বিহারিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ক্যাম্পে র‍্যাবের একাধিক অভিযান ও পাগলা মিজানের গ্রেফতারের পর ইসতিয়াখ ও আরশাদ গা ঢাকা দিয়ে থাকলেও, তাদের সক্রিয়তা কিন্তু কমে যায়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তারা আবার ফিরে আসবে। তবে এখন তারা মোবাইল ফোন ও সিন্ডিকেটের নেটওয়ার্ক কাজে লাগিয়ে ইয়াবা ও গাঁজার ব্যবসা ক্যাম্পে সচল রেখেছেন। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ফাঁকি দেওয়ার জন্য কিছু নতুন লোক নিয়োগ দিয়েছেন।

তবে আগের মত উন্মুক্তভাবে বিক্রি না হলেও আড়ালে এখনো ক্যাম্পে রমরমা মাদক  ব্যবসা চালাচ্ছে পাগলা মিজানের সিন্ডিকেট।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক ক্যাম্পের এক  বাসিন্দা বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, পাগলা মিজানের মাদক সিন্ডিকেট এখনও ক্যাম্পে সচল রয়েছে। মাদকের বিক্রেতা ও ক্রেতা একে অপরকে চিনে। ফলে তারা মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে কেনাবেচা করছে।

জেনেভা ক্যাম্পে পাগলা মাদক ব্যবসার বিষয়ে র‌্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারোয়ার আলম জানান, জেনেভা ক্যাম্প ভিত্তিক মাদক ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে পাগলা মিজানের বিরুদ্ধে। অভিযানে তার বাসা থেকে উদ্ধারকৃত টাকার চেক ও এফডিআর মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজির ও ক্যাসিনো সংশ্লিষ্ট আয়ের থেকে উৎস হতে পারে। এ সব বিষয় তদন্তে বেরিয়ে আসবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে র‌্যাব-২ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, আমরা মানি লন্ডারিং’র সুনির্দিষ্ট অভিযোগে পাগলা মিজানকে গ্রেফতার করেছি। তবে জেনেভা ক্যাম্পে মাদক ব্যবসার সঙ্গে পাগলা মিজান জড়িত বলে লোক মুখে অভিযোগ রয়েছে। যদিও এ বিষয়ে থানায় কোনো মামলা হয়নি বা আমাদের কাছেও অভিযোগ আসেনি।  সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

   

বগুড়ায় ধান ক্ষেতে পানি দিতে দেরি হওয়ায় সেচপাম্প মালিক খুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, বগুড়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ার গাবতলীতে ধান ক্ষেতে পানি দিতে দেরি হওয়াকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে সেচ পাম্পের মালিক আমিনুল ইসলাম (৪৩) খুন হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গাবতলী উপজেলার নেপালতলী ইউনিয়নের বুরুজ গ্রামের এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আমিনুল ইসলাম বুরুজ গ্রামের মোজাফফর হোসেনের ছেলে। ছুরিকাঘাতের সাথে জড়িত হৃদয় (২৩) নামের এক যুবককে স্থানীয় লোকজন আটক করে পুলিশে দিয়েছেন।

গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহত আমিনুলের ছোট ভাই আব্দুর রহমান জানান, তার বড় ভাই সেচ পাম্প দিয়ে বাণিজ্যিকভাবে বিভিন্ন জনের জমিতে পানি সেচ দিয়ে থাকেন। একই গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে দিপনের জমিতে সেচ দিতে দেরি হওয়াকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন আগে আমিনুলের বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হৃদয় নামের ওই যুবক সেচ পাম্পের কাছে গিয়ে আমিনুলকে তাৎক্ষণিক দিপনের জমিতে সেচ দিতে বলে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে তর্কবিতর্কের এক পর্যায় হৃদয় ছুরি বের করে আমিনুলের বুকে ও পাজরে আঘাত করে।

তিনি জানান, স্থানীয় লোকজন সঙ্গে সঙ্গে হৃদয়কে আটক করে এবং আমিনুলকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে দেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা ১১টায় তিনি মারা যান। এদিকে আমিনুল মারা যাওয়ার খবর পেয়ে দিপন সপরিবারে বাড়ি ছেড়ে আত্মগোপন করেন।

গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, আটক হৃদয়ের বাড়ি বগুড়া শহরের নিশিন্দারা এলাকায়। গাবতলীর বুরুজ গ্রামের তার নানা বাড়ি।সেখানে বেড়াতে গিয়ে আমিনুলকে ছুরিকাঘাত করে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। আমিনুল ইসলামের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।

;

পুলিশ হেফাজতে দুদক কর্মকর্তার মৃত্যু: আরও ১ আসামি গ্রেফতার



স্টাফ করেপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানায় পুলিশ হেফাজতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার অন্যতম আসামি এসএম আসাদুজ্জামানকে (৫২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন মোজাফফর নগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ পিবিআই মেট্রো ইউনিটের একটি টিম।

গ্রেফতার আসাদুজ্জামান ওই মামলা ৫ নম্বর আসামি। তিনি চান্দগাঁও থানা এলাকার বাসিন্দা।

এর আগে গত ২৫ ডিসেম্বর রাতে বাকলিয়া থানার রাহাত্তালপুল এলাকা থেকে ঐ মামলার আসামি জসীম উদ্দীন ও গত ১২ ফেব্রুয়ারি নগরের চকবাজার এলাকা থেকে আসামি মো. লিটনকে গ্রেফতার করে পিবিআই।

পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটের পরিদর্শক মো. ইলিয়াস খান বলেন, অবসরপ্রাপ্ত দুদক কর্মকর্তা ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর মৃত্যুর ঘটনায় নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে করা মামলার আসামি এসএম আসাদুজ্জামানকে বায়েজিদ বোস্তামী এলাকা গ্রেফতার করা হয়েছে।

গত বছরের ১৬ অক্টোবর চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছার আদালতে মামলাটি দায়ের করেন ভুক্তভোগী শহীদুল্লাহর স্ত্রী ফৌজিয়া আনোয়ার। মামলাটি আমলে নিয়ে চান্দগাঁও থানায় রেকর্ড করে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।

ওই মামলায় চান্দগাঁও থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. ইউসুফ, এএসআই সোহেল রানা, থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মবিনুল হক, চান্দগাঁও থানা এলাকার বাসিন্দা এসএম আসাদুজ্জামান (৫২), মো. জসীম উদ্দীম (৩৭), মো. লিটন (৪৮), রনি আক্তার তানিয়া (২৬) ও কলি আক্তারসহ (১৯) মোট নয়জনকে আসামি করা হয়েছিল।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ভুক্তভোগী ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ ২০১৮ সালে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক (ডিডি) পদ থেকে অবসর নেন। তিনি নগরের চান্দগাঁও থানার এক কিলোমিটার এলাকায় বসবাস করতেন। সেখানে জমি নিয়ে স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে বিরোধের জের ধরে গত ২৯ আগস্ট ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ ও তার শ্যালক মোহাম্মদ কায়সার আনোয়ারের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন রনি আক্তার তানিয়া নামে এক ব্যক্তি। আদালত মামলার শুনানি শেষে আদালতের বিচারক ওইদিনই অপরাধ আমলে নিয়ে অভিযুক্ত দুজনের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন।

ওই সমন সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী হারুন অর রশীদ গায়েব করে ফেলেন। ফলে আসামিরা আদালতে হাজির হওয়ার কোনো সমন পাননি। এরপর মামলার পরবর্তী তারিখ দেন আদালত। ওই তারিখে মামলার বাদী হাজির না হওয়ায় তার আইনজীবী সময়ের আবেদন করেন। কিন্তু ওইদিনই আদালত দুই আসামির বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করে দেন। এরপর গত ৩ অক্টোবর রাতে শহীদুল্লাহকে বাসা থেকে আদালতের ওয়ারেন্ট দেখিয়ে গ্রেফতার করে নগরের চান্দগাঁও থানা পুলিশ। থানায় নেওয়ার পর ভুক্তভোগী শহীদুল্লাহকে নির্যাতন করা হয়। একপর্যায়ে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ’র মৃত্যু হয়।

;

তিস্তা মহা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় মানববন্ধন করেছে তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম কমিটি।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলা পরিষদের সামনে লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহা সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এতে বক্তব্য রাখেন, তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম কমিটি-র সাধারণ সম্পাদক সফিয়ার রহমান, ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান, পাটিকাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ওছমান গনি, সিঙ্গিমারী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এম জি মোস্তফা ও সাংবাদিক আসাদুজ্জামান সাজু।

পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন তিস্তাপাড়ের লোকজন।

;

‘নাগরিক জীবনে সর্বত্র দায়িত্ব পালন করছে বাংলাদেশ পুলিশ’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ পুলিশের প্রায় দুই লাখ সদস্য আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি রাত দিন ২৪ ঘণ্টা নাগরিক জীবনে সর্বত্র দায়িত্ব পালন করে চলেছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মো. হাবিবুর রহমান।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে রাজারবাগ পুলিশ অডিটরিয়ামে বাংলাদেশ পুলিশ থিয়েটার অ্যান্ড কালচারাল ক্লাব আয়োজিত বার্ষিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ এখন বিভিন্ন সামাজিক দায়িত্ব পালন করে থাকে। দেশে তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে, পুলিশ শ্রমজীবী মানুষ ও পথচারী যারা পানি কিনে খেতে পারে না তাদের কথা বিবেচনা করে ডিএমপির ৫০টি থানা এলাকায় বিভিন্ন পয়েন্টে স্থায়ী/অস্থায়ীভাবে সুপেয় খাবার পানির ব্যবস্থা করেছে। সেইসঙ্গে স্যালাইন দেয়া হয়েছে এবং কিছু কিছু জায়গায় ঔষধও দেওয়া হচ্ছে।

হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমি গর্বের সঙ্গে বলতে চাই, বাংলাদেশ পুলিশের সেবা কেবল আইনশৃঙ্খলার ভেতরেই সীমাবদ্ধ নয়, সেটি তারা জাতিকে দেখিয়েছে। সবার আগে দেখিয়েছে ১৯৭১ এর ২৫ মার্চ রাতে। জাতীয়তার পরীক্ষায় বাংলাদেশ পুলিশ সবার আগে পরীক্ষা দিয়ে ভালো রেজাল্ট করেছিল।

‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে পুলিশ চেয়েছিলেন, আজকের বাংলাদেশের পুলিশ সেই অবস্থানে রয়েছে দাবি করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘বিভিন্ন সময় আমরা দেখেছি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বড় বড় সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। সেটি ২০১৩ সালের ৫ মে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সেদিন কতটা দক্ষতার সাথে মোকাবিলা করেছিল দেশবাসী তা জানে।’

‘এরপর করোনাকালীন বিশ্বব্যাপী যে অতিমারির সৃষ্টি হয়েছিল সেটিও মোকাবিলা করতে হয়েছে পুলিশকে। বাবা মা সন্তানের লাশ ফেলে চলে গেছে। সেই দায়িত্ব নিয়েছিল পুলিশ। বাড়ি বাড়ি খাবার দিয়েছে পুলিশ, হাসপাতালে নিয়ে গেছে পুলিশ। প্রখর রোদের ভেতর ঢাকা শহরের ট্রাফিক পুলিশ কীভাবে কাজ করে তা আমরা সবাই জানি। মানুষের কথা চিন্তা করে শুধু গরম না আরও যদি কোনো দুর্যোগ বিপর্যয় আসে পুলিশ বসে থাকতে পারে না, পুলিশ তার দায়িত্ব ঠায় দাঁড়িয়ে পালন করে।’

হাবিবুর রহমান বলেন, ‘পুলিশ জীবন বাঁচাতে প্রয়োজন হয়, ঠিক তেমনি জীবন সাঁজাতে সংস্কৃতির প্রয়োজন হয়। জীবন বাঁচাতে এবং সাজাতে সবক্ষেত্রেই পুলিশের সতর্ক অবদান রয়েছে। সেই প্রতিজ্ঞা নিয়েই পুলিশের মাঝে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা।’

বক্তব্য শেষে প্রদীপ জ্বালিয়ে তিন দিনব্যাপী পুলিশ বার্ষিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ২০২৪-এর উদ্বোধন করেন ডিএমপি কমিশনার।

;